Neeraj Chopra: নীরজকে ক্রিকেট খেলতে দেখতে চান শেফালি, কী বললেন অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন?

সময় বের করে দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছে গিয়েছিলেন নীরজ চোপড়া। গ্যালারিতে বসে মেয়েদের ফাইনাল দেখা উদ্দেশ্য। জ্যাভলিন চ্যাম্পিয়ন দেশের মেয়েদের তাঁরই মতো চ্যাম্পিয়ন হতে দেখলেন।

Neeraj Chopra: নীরজকে ক্রিকেট খেলতে দেখতে চান শেফালি, কী বললেন অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন?
Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 30, 2023 | 5:20 PM

পচেস্ট্রুম: বিশ্বকাপ ফাইনালে মাঠে নামার আগে ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ মহিলা দলের (U19 Women’s World Cup 2023) ড্রেসিংরুমে প্রবেশ নীরজ চোপড়ার । ২০২০ টোকিয়ো অলিম্পিকে জ্যাভলিনে সোনাজয়ী অ্যাথলিট নীরজ। অনুশীলনের ফাঁকে কিছুটা সময় বের করে দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। অবশ্যই গ্যালারিতে বসে মেয়েদের ফাইনাল দেখা উদ্দেশ্য। জ্যাভলিন চ্যাম্পিয়ন দেশের মেয়েদের তাঁরই মতো চ্যাম্পিয়ন হতে দেখলেন। গর্বের মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করে রাখলেন। যদিও শুধুমাত্র খেলা দেখাই উদ্দেশ্য ছিল না। ফাইনালের লড়াইয়ের আগে দেশের ছোটদের পেপটক দিলেন নীরজ (Neeraj Chopra)। ২৩ বছরের জ্যাভলিন থ্রোয়ার অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন এই বয়সেই বর্শার ফলায় অর্ধেক বিশ্ব জিতে নিয়েছেন। একজন চ্যাম্পিয়নই বোঝাতে পারেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতি। বিদেশের মাটিতে সাফল্যের তেরঙা উড়তে দেখার অনুভূতি। নীরজ মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হলেন শেফালি, তিতাসরা। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ইতিহাস গড়ে বিশ্বকাপ এল ঘরে। বিস্তারিত TV9 Bangla-য়।

শেফালিদের কী মন্ত্র দিয়েছিলেন নীরজ? ফাইনালের মঞ্চে সবচেয়ে বড় বিষয় হল চাপ সামলে নিজের সেরাটা উজাড় করে দেওয়ার মানসিকতা। শেফালিদের মতো কম বয়স থেকে চাপ সামলানো শিখতে পারলে ভবিষ্যতে কাজটা সহজ হয়ে যায়। নীরজ বললেন, “এত কম বয়সে তোমরা যদি চাপ নাও তাহলে এটা ভবিষ্যতেও তোমাদের মাথায় থেকে যাবে। তাই খেলাটাকে উপভোগ করছ এটা ভেবে স্বাভাবিক খেলাটা খেলো। নিজের একশো শতাংশ উজাড় করে দাও। এবং অবশ্যই কোচের পরামর্শ মেনে চলো।” নিজের উদাহরণ টেনে নীরজ বলেছেন, “আমি যখন কেরিয়ার শুরু করেছিলাম তখন গ্রাম ছেড়ে , নিজের সাদাসিধে পরিবার ছেড়ে আসতে হয়েছিল। আমি জানি, তোমাদের কাছেও পরিবার ও দেশকে গর্বিত করার সুযোগ রয়েছে। যতটা পরিশ্রম করেছ নিজেদের উজাড় করে দাও। যেকোনও পরিস্থিতির জন্য নিজেদের প্রস্তুত রাখো। দেশের জন্য খেলছ, এটাই তোমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা।” চেয়ারে বসে অলিম্পিক চ্যাম্পিয়নের কথাগুলি গোগ্রাসে গিলেছিলেন শেফালিরা। তার ফলও মিলেছে হাতেনাতে।

জ্যাভলিন চ্যাম্পিয়নের কাছেও প্রশ্ন রেখেছিলেন মেয়েরা। ক্যাপ্টেন শেফালি ভার্মার সহাস্য জিজ্ঞাসা, “তুমি তো ক্রিকেট খেলতে পারো।” গোটা হল তখন হেসে গড়িয়ে পড়ছে। উত্তরে নীরজ বলেন, “কোনও একদিন বোলিং চেষ্টা করে দেখতে পারি। যদি আমাকে বাট্টা বোলিং করতে দেখা হয় তবেই।” ঠাট্টা করে বললেন, “ক্রিকেটে বাট্টা বোলিংয়ের নিয়ম চালু হোক।” নীরজের উত্তর শুনে বাংলার রিচা ঘোষ বলে ওঠেন, “তাহলে তো উইকেটকিপারকে তোমার কাছ থেকে অনেক দূরে দাঁড়াতে হবে।”

বাট্টা কথাটির অর্থ হল ছুঁড়ে বল করা। পাড়ার ক্রিকেটে এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়। টেনিস বলে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে কেউ যদি বল ছোঁড়ে তখন তাকে বাট্টা বলা হয়। পাড়া ক্রিকেটে বল করার পরিবর্তে অনেকেই বল ছোঁড়ে। একেই বলা হয় বাট্টা।