RCB Win: ‘পপকর্ন খেতে ইচ্ছে করছিল’, সোফির ইনিংসে মুগ্ধ স্মৃতি
Smriti Mandhana: প্রশংসা থামছে না ক্যাপ্টেন স্মৃতি মান্ধানার। সতীর্থ ও গুজরাট জায়ান্টসের বিরুদ্ধে জয়ের নায়ক সোফি ডিভাইনের দুরন্ত ৯৯ রানের ইনিংসকে কোন ভাষায় বর্ণনা করবেন খুঁজে পেলেন না স্মৃতি।
মুম্বই: একপ্রান্তে তখন তাণ্ডবলীলা চালাচ্ছেন সোফি ডিভাইন (Sophie Devine)। গোটা স্টেডিয়াম হাঁ হয়ে দেখছে। গুজরাট জায়ান্টসের বোলারদের ডেলিভারি যত বাউন্ডারির ওপারে ফেলছেন ততই স্টেডিয়াম জুড়ে চিল চিৎকার। ক্রিজের অন্যপ্রান্তে দাঁড়িয়ে সেইমুহূর্তে কী মনে হচ্ছিল ক্যাপ্টেন স্মৃতি মান্ধানার? শনিবার রাতে গুজরাটের বিরুদ্ধে ৮ উইকেটে বড় ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (RCB)। গুজরাটের দেওয়া ১৮৯ রানের লক্ষ্য প্রায় একার হাতে সামলে দিলেন সোফি। মাত্র ১ রানের জন্য শতরান ফসকেছে। ডব্লিউপিএলের ইতিহাসের প্রথম সেঞ্চুরির পাশে নাম লিখিয়ে ফেলতে পারতেন ডিভাইন। দুর্ভাগ্যক্রমে তা হয়নি (WPL 2023)। শতরান হাতছাড়া হলেও দলকে ম্যাচ জেতানোয় খুশি সোফির প্রশংসায় পঞ্চমুখ অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানা (Smriti Mandhana)। সতীর্থর ৩৬ বলে ৯৯ রানের ইনিংসকে কীভাবে বর্ণনা করবেন খুঁজে পেলেন না। বললেন, “আমার মনে হচ্ছিল এই শো দেখার জন্য হাতে শুধু পপকর্ণ চাই।” বিস্তারিত Tv9 Bangla-র এই প্রতিবেদনে।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে ১৮৮ রান তোলে গুজরাট জায়ান্টস। প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে অতিমানবীয় ইনিংস খেলতেই হত। এটা মাথায় রেখেই রান তাড়া করতে নেমেছিলেন অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানা এবং সোফি ডিভাইন। চ্যালেঞ্জিং রান তাড়া করতে নেমে প্রথম থেকেই মারমুখী মেজাজে দেখা গিয়েছে সোফি ডিভাইনকে। বল হাতে ২৩ রান দিয়ে ১টি উইকেট নিয়েছিলেন। ব্যাট হাতে আরসিবিকে জেতানোর পাশাপাশি আর একটু হলেই মেয়েদের টি-২০ ক্রিকেটে দ্রুততম শতরানের রেকর্ড ভেঙে ফেলেছিলেন। কিম গার্থের বলে বড় শট হাঁকিয়ে শতরান পূর্ণ করার ইচ্ছে ছিল তাঁর। তাতেই আটকে গেলেন সোফি। গোটা স্টেডিয়ামকে স্তব্ধ করে দিয়ে ৯৯ রানে ব্যাট করা সোফির ক্যাচ ধরেন অশ্বিনি কুমারী। ডিভাইনের ইনিংসে ৯টি চার ও ৮টি ছয়। অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানার ৩১ বলে ৩৭ রান।
ম্যাচের পর আরসিবি অধিনায়ক বলেন, “শেষ ম্যাচের জয় থেকে আমরা অনেকটা আত্মবিশ্বাস জোগাড় করে নিয়েছিলাম। ক্রিজের অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে সোফিকে খেলতে দেখাটা বেশ মজার ছিল। ব্যাটারদের জন্য এই উইকেট স্বর্গ। সেদিক থেকে দেখতে হলেআমরা গুজরাটকে ঠিকঠাক রানেই গুটিয়ে দিয়েছিলাম। নন স্ট্রাইকার প্রান্ত থেকে শুধু ভাবছিলাম যে এই শো দেখার জন্য আমার পপকর্নের প্রয়োজন। আমার কাজ ছিল সিঙ্গল নিয়ে ওকে (সোফিকে) স্ট্রাইক দেওয়া। ওর বেশ কয়েকটা ছয় অসাধারণ ছিল। জানতাম যে আমরা এলিমিনেটর খেলতেও পারি, আবার নাও খেলতে পারি। তা সত্ত্বেও দলের মধ্যে পজিটিভিটি বজায় থেকেছে। যেভাবে আমরা শুরু করেছিলাম তাতে আগামীতে কী হবে এটাই ভাবনা ছিল। তবে শেষ দুটো ম্যাচ প্রমাণ করে দিয়েছে আমাদের টিমটা কতটা শক্তিশালী।”