SA vs NED, ICC World Cup Match Preview: বিধ্বংসী দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ‘আফগানিস্তান’ হওয়ার লক্ষ্য নেদারল্যান্ডসের

South Africa vs Netherlands ICC world Cup 2023: ধরমশালায় দক্ষিণ আফ্রিকার খুব সহজেই জেতা 'উচিত'। কিন্তু মাঝে আফগানিস্তান ম্যাচটা যেন অঙ্কে কিছুটা হেরফের করে দিয়েছে। রশিদ খান-মুজিব উর রহমান, রহমানুল্লা গুরবাজ, ইকরাম আলি খিল, নবীন উল হকরা যদি টিম হিসেবে পারফর্ম করে ইংল্যান্ডকে হারাতে পারে, তা হলে নেদারল্যান্ডস কেন পারবে না? ডাচ শিবিরে হয়তো এই 'উদাহরণ'ই ঘোরাফেরা করছে!

SA vs NED, ICC World Cup Match Preview: বিধ্বংসী দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে 'আফগানিস্তান' হওয়ার লক্ষ্য নেদারল্যান্ডসের
বিধ্বংসী দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে 'আফগানিস্তান' হওয়ার লক্ষ্য নেদারল্যান্ডসেরImage Credit source: AFP
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 17, 2023 | 9:30 AM

ধরমশালা: কোনও এক ক্রীড়াবিদ কয়েক প্রজন্মকে প্রেরণা জোগাতে পারে। তেমনই কোনও টিমের পারফরম্যান্স কি বাকিদের প্রেরণা হয়? ক্রিকেট বিশ্বে তথাকথিত লিলিপুট কেনিয়াও তো ৯৬ বিশ্বকাপে হারিয়ে দিয়েছিল সে সময়কার দাপুটে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। এ বার যেমন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারাল আফগানিস্তান! যতই বলা হোক, অঘটন। আসলে কিছু হারানোর ভয় না থাকা দলগুলো অনেক বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে। ৮৩-র বিশ্বকাপে কপিল দেবের ভারত এবং সেই রূপকথাই বা এড়িয়ে যাওয়া যায় নাকি! দু-বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়া! কিংবা, ২০০৭ সালে বাংলাদেশের কাছে হেরে গ্রুপ পর্বেই ভারতের ছিটকে যাওয়া। অতীতের এমন অনেক পরিসংখ্যানের পাশাপাশি নেদারল্যান্ডসের সামনে জলজ্যান্ত উদাহরণ আফগানিস্তান। বিশ্বকাপে (ICC World Cup) আজ দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম নেদারল্যান্ডস (South Africa vs Netherlands) ম্যাচের পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

এক যুগ পর ভারতের মাটিতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ। নেদারল্যান্ডসও এক যুগ পর বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছে। ২০১১ সালে একটি ম্যাচেও জেতেনি নেদারল্যান্ডস। খালি হাতেই ফিরেছিল ডাচরা। গ্রুপ পর্বের আধডজন ম্যাচের সবকটিতে হেরেছিল। এ বার যোগ্যতা অর্জন পর্বে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে নেদারল্যান্ডস। মূল পর্বের লড়াই যে অনেক অনেক বেশি কঠিন, এ আর বলার অপেক্ষা রাখে না। গত দু-ম্যাচে ভালো পারফর্ম করেছে নেদারল্যান্ডস। যদিও ভালো পারফরম্যান্স আর ম্যাচ জেতার মতো খেলা, এক নয়। তাদের একটা পর্ব ভালো কাটছে, তারপরই খেই হারাচ্ছে। অভিজ্ঞতার অভাবও স্পষ্ট।

ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে নজর কেরেছে নেদারল্যান্ডস। বাস ডি লিড, বিক্রমজিৎ সিং, আর্য দত্ত, কলিন অ্যাকরম্যানরা ভালো খেলেছেন। একজোট হয়ে লড়াই করতে পারলে, এই টিমও হয়তো চমকে দিতে পারে। আজ উল্টোদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা। এ বারের বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বিধ্বংসী পারফর্ম করেছে প্রোটিয়ারা। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জয়ে নানা রেকর্ড গড়েছে তারা। বিশ্বকাপের মঞ্চে সবচেয়ে বড় স্কোর, এক ইনিংসে তিন সেঞ্চুরিয়ন, দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। তাদের সামনে নেদারল্যান্ডস নিঃসন্দেহে আন্ডারডগ।

ধরমশালায় দক্ষিণ আফ্রিকার খুব সহজেই জেতা ‘উচিত’। কুইন্টন ডি’কক, এইডেন মার্কর‌্যাম, রাসি ভ্যান ডার ডুসেন, কাগিসো রাবাডারা বিধ্বংসী ফর্মে। কিন্তু মাঝে আফগানিস্তান ম্যাচটা যেন অঙ্ক কিছুটা হেরফের করে দিয়েছে। রশিদ খান-মুজিব উর রহমান, রহমানুল্লা গুরবাজ, ইকরাম আলি খিল, নবীন উল হকরা যদি টিম হিসেবে পারফর্ম করে ইংল্যান্ডকে হারাতে পারে, তা হলে নেদারল্যান্ডস কেন পারবে না? ডাচ শিবিরে হয়তো এই ‘উদাহরণ’ই ঘোরাফেরা করছে! নেদারল্যান্ডসের হারানোর কিছু নেই। কিন্তু একটা ম্যাচ জিতলে বিশ্বকাপ জমবে, সম্মানও বাড়বে ডাচদের। সেই লক্ষ্যেই হয়তো বাড়তি তাগিদ নিয়ে নামবেন বাস ডি লিডরা!