Ranji Trophy 2024: মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে খেলতে হাজির দুটো টিম! রক্তারক্তি কাণ্ড বিহারে!
এমনও হয়? ৫ জানুয়ারি, শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে রঞ্জি ট্রফি (Ranji Trophy)। কেউ সেঞ্চুরি করে কিংবা পাঁচ উইকেট নিয়ে খবরের শিরোনামে চলে এসেছেন। কিন্তু একটা ম্যাচ ঘিরে যে তর্ক-বিতর্ক হতে পারে, তা জানা ছিল না। আলোচনার কেন্দ্রে বিহার-মুম্বইয়ের রঞ্জি ট্রফি ম্যাচ। পাটনার মইন-উল স্টেডিয়ামে অনেক দিন পর কোনও ক্রিকেট ম্যাচ হচ্ছে। যা দেখার জন্য ভিড় উপচে পড়েছে।
কলকাতা: এমনও হয়? ৫ জানুয়ারি, শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে রঞ্জি ট্রফি (Ranji Trophy)। কেউ সেঞ্চুরি করে কিংবা পাঁচ উইকেট নিয়ে খবরের শিরোনামে চলে এসেছেন। কিন্তু একটা ম্যাচ ঘিরে যে তর্ক-বিতর্ক হতে পারে, তা জানা ছিল না। আলোচনার কেন্দ্রে বিহার-মুম্বইয়ের রঞ্জি ট্রফি ম্যাচ। পাটনার মইন-উল স্টেডিয়ামে অনেক দিন পর কোনও ক্রিকেট ম্যাচ হচ্ছে। যা দেখার জন্য ভিড় উপচে পড়েছে। ক্রিকেট ঘিরে এমন ছবি প্রত্যাশিত। কিন্তু এই তার আগে যা ঘটেছে, তা বোধহয় কেউই প্রত্যাশা করেননি। বিহার ক্রিকেট ঘিরে এমনিতেই বিতর্কের শেষ নেই। বিসিসিআইয়ের নির্বাসনের কোপেও পড়েছিল এক সময়। সেই বিহার ঘরোয়া ক্রিকেটে আবার আলোচনায়। এমন ঘটনা ঘটেছে, যা এর আগে ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে দেখা যায়নি।
এমনিতে স্টেডিয়ামের হাল বেশ খারাপ। না আছে গ্যালারি, না অন্য পরিকাঠামো। এমন খোলা মাঠে রঞ্জি ম্যাচ হতে পারে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন ক্রিকেট প্রেমীরা। সেই ম্যাচের আগে যে এমন কিছু ঘটতে পারে, তা জানাই ছিল না অনেকের। যার জেরে প্রথম দিনের খেলাই শুরু হয়েছে অনেক দেরিতে। শুক্রবার মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ খেলার জন্য একটা নয়, বিহারের দুটো টিম হাজির হয়েছিল মইন-উল স্টেডিয়ামে। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচের জন্য বিহার ক্রিকেট সংস্থার প্রেসিডেন্ট রাকেশ তিওয়ারি টিম ঘোষণা করেছিলেন। পাশাপাশি সচিব অমিত কুমারও ঘোষণা করেছিলেন আর একটি টিম। দুটো সম্পূর্ণ আলাদা টিম মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে খেলার জন্য হাজির হয়ে যায়। ঘটনা হল, অমিত আবার সচিত পদ থেকে নির্বাসিত। তিনি কী করে একটা টিম ঘোষণা করে ফেলতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। কোন টিম মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে খেলবে, তা নিয়ে স্টেডিয়ামের বাইরেই বচসা শুরু হয়ে যায়। পুলিশ বাধ্য হয় হস্তক্ষেপ করতে। পুলিশি মধ্যস্থতায় শেষ পর্যন্ত অমিত কুমারের টিমকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ঝামেলা মেটার পর বেলা ১টা নাগাদ শুরু হয় খেলা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া ইন্টারভিউতে রাকেশ তিওয়ারি বলেছেন, ‘প্রতিভা অনুযায়ী আমরা ক্রিকেটারদের নিয়ে টিম তৈরি করেছি। এটাই সঠিক টিম। আইপিএলে সুযোগ পাওয়া সাকিব হুসেন রয়েছে, ১২ বছর বয়সে অভিষেক হওয়া বৈভব সূর্যবংশীও রয়েছে। নির্বাসিত সচিব যে টিম বেছেছেন, তা আসল নয়।’ পাল্টা অমিত বলেছেন, ‘আমি নির্বাচনে জিতে সচিব হয়েছি। আমাকে কোনও ভাবেই নির্বাসনে পাঠানো যায় না। দ্বিতীয়ত, ভারতীয় টিম যখন ঘোষণা করা হয়, দেখেছেন বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট রজার বিনি টিম লিস্টে সই করেছেন? সই করেন সচিব জয় শাহ।’
এতেই ঘটনা শেষ নয়। কোন টিম খেলবে, এ নিয়ে রীতিমতো বচসা শুরু হয়ে যায় দু’পক্ষের মধ্যে। পুলিশ সব কিছু প্রাথমিক ভাবে ঠান্ডা করলেও তা আসলে হয়নি। একদল লোক আক্রমণ করেন বিসিএ-র ওএসডি মনোজ কুমারকে। তাঁর মাথা ফেটেছে ওই ঘটনার জেরে। এমন রক্তারক্তি কাণ্ড কোনও রঞ্জি ম্যাচ ঘিরে অতীতে কখনও হয়েছে কিনা, কেউই মনে করতে পারছেন না।