Kolkata Derby: ‘ওদের টিকিট পড়ে থাকবে’, ডার্বির আগে ইস্টবেঙ্গলকে খোঁচা বাগান সচিবের
এ বারের ডুরান্ড ডার্বির টিকিট অফলাইনে বিক্রি হতেই যত সমস্যা। মোহনবাগান (Mohun Bagan) এবং ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) ক্লাব তাঁবুতে ডার্বির টিকিট বিক্রি চলছে। সেখানে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে দূরদূরান্ত থেকে টিকিট কাটতে আসা সমর্থকদের। তাই তাঁরা ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। অন্যদিকে এই পরিস্থিতিতেও মোহনবাগানের সচিব দেবাশিস দত্ত ডার্বির টিকিট বিক্রি নিয়ে ইস্টবেঙ্গলকে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না।
যে কোনও পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সময় লাগে। আর এমনটাই হওয়া স্বাভাবিক। মরসুমের প্রথম ডার্বির (Derby) টিকিট ঘিরে দুই প্রধানের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা চরমে। বর্তমানে সমস্ত কিছুর জন্যই অনেকে অনলাইনের উপর নির্ভরশীল। প্রিয় ক্লাবের ফুটবল ম্যাচের টিকিটও অনলাইনে কিনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন ফুটবল প্রেমীরা। আর তাই এ বারের ডুরান্ড ডার্বির টিকিট অফলাইনে বিক্রি হতেই যত সমস্যা। মোহনবাগান (Mohun Bagan) এবং ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) ক্লাব তাঁবুতে ডার্বির টিকিট বিক্রি চলছে। সেখানে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে দূরদূরান্ত থেকে টিকিট কাটতে আসা সমর্থকদের। তাই তাঁরা ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। অন্যদিকে এই পরিস্থিতিতেও মোহনবাগানের সচিব দেবাশিস দত্ত ডার্বির টিকিট বিক্রি নিয়ে ইস্টবেঙ্গলকে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।
ডার্বির টিকিট বিক্রি নিয়ে ইস্টবেঙ্গলকে খোঁচা দিয়ে মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত বলেন, ‘ওদের মতো আমরা মিটিং ছেড়ে চলে যাইনি। ওরা তো ভিআইপি টিকিট ফেরত দিচ্ছে। সব টিকিট ফেরত দিচ্ছে না। আসলে ৬০ হাজার টিকিটের মধ্যে ৩০ হাজার বিক্রিযোগ্য। পুলিশের কাছে শুনলাম ইস্টবেঙ্গল মাঠে আমাদের থেকে ৫০ শতাংশ ভিড় কম। ওই মাঠে হয়তো টিকিট পড়ে থাকবে।’
বাগান সচিব আরও বলেন, লাল-হলুদ শিবির টানা ন’টা ডার্বি হারের সাক্ষী হতে চায় না। তাই ম্যাচ দেখতে চাইছে না। দেবাশিসের কথায়, ‘ইস্টবেঙ্গল কর্তারা জানেন নিজেরা হারবে। ওরা নবম ডার্বিটা হারবে। তাই সেটা দেখতে চাইছে না। ফুটবলারদের টিকিট সরকার দিচ্ছে। ক্লাব দেবে কেন? কিছু জায়গায় সহযোগিতা করতে হবে।’ বাগান সচিব একইসঙ্গে জানান, আয়োজকরা যে পরিমাণ টিকিট দিচ্ছে তাতে তাঁরাও সন্তুষ্ট নন। এই নিয়ে তাঁদের মধ্যেও একটা ক্ষোভ রয়েছে। কিন্তু সেনা কর্মীরা যেহেতু এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে, তাই সেনাদের সম্মান জানানো উচিত। ক্রীড়ামন্ত্রী ওই মিটিংয়ে ছিলেন, তাঁকে সম্মান জানানো উচিত। তাই বাগান শিবিরের পক্ষ থেকে ডার্বি টিকিট নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেওয়া হচ্ছে না।
সবুজ-মেরুনের সচিব বলেন, ‘আমাদের কষ্ট হচ্ছে বেশি টিকিট না দিতে পারায়। এই দুই দলের যা সমর্থক রয়েছে, তাতে দু’টো সল্টলেক স্টেডিয়াম ভরে যাবে। একটা করে সল্টলেক স্টেডিয়াম এক একটা দলের সমর্থকদের জন্য।’ এরপরই দেবাশিষ দত্ত জানান, অফলাইনে টিকিট বিক্রি হওয়ার জন্য সমর্থকরা যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে এই বিষয়ে তাঁরা জানেন। তাঁর মন্তব্য, ‘অনলাইনে যখন টিকিট বিক্রি করা শুরু হয়েছিল সকল সমর্থকরা চিন্তিত ছিলেন, কী ভাবে তা রিডিম করবেন। তখন বিভিন্ন ঠিকানা দিয়ে দেওয়া হত। সেখানে গিয়ে ফিজিক্যাল টিকিট কালেক্ট করতে হত।’
আয়োজকদের নিয়ে বাগান সচিব বলেন, ‘মরসুমের প্রথম ডার্বি। তাই চূড়ান্ত রূপ নিয়েছে। ডুরান্ডের অর্গানাইজিং কমিটি এক এক ম্যাচ আয়োজন করতে করতে শিখছে। আমরা সামলাতে পারছি না। ডার্বির উন্মাদনা এমনই হয়। ভোর থেকে সমর্থকরা এসে লাইন দেয়। এই ছবি বড় ম্যাচে খুব পরিচিত। আগের দু’বছর কোভিডের ছায়া ছিল। ক্লাবের সঙ্গে এটিকের নাম ছিল। তাই মোহনবাগান সমর্থকদের টিকিটের চাহিদাও কম ছিল। মোহনবাগান এ বার পথ দেখাচ্ছে। ফুটবলে জোয়ার আসছে। বাচ্চা ছেলেরা খেলছে। সাহস দেখানো সম্ভব।’