Edinson Cavani: কাভানির গুস্সা, বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়ে ভেঙে দিলেন ভিএআর স্ক্রিন

ড্রেসিংরুমে ঢোকার পথে টানেলের মুখেই রয়েছে 'ভিএআর' মেশিন। কাভানির সব রাগ গিয়ে পড়ল তারই উপর।

Edinson Cavani: কাভানির গুস্সা, বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়ে ভেঙে দিলেন ভিএআর স্ক্রিন
Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 03, 2022 | 9:10 PM

দোহা: যত নষ্টের গোড়া ওই ‘ভিএআর’। কাতার বিশ্বকাপের (Qatar World Cup 2022) গ্রুপ পর্বে প্রিয় দলকে হারতে দেখে এ কথা আওড়াননি এমন সমর্থক খুঁজে পাওয়া ভার। কত গোল বাতিল হয়েছে, কত বিতর্কিত পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দিয়েছে ফুটবলের এই আধুনিক প্রযুক্তি। অনেকে বলছেন, ভিএআর (VAR) প্রযুক্তির কারণেই বিশ্বকাপে অন্যায্য কিছু ঘটেনি। তবে অধিকাংশ ফুটবল সমর্থকদের ‘চোখের বালি’ ওই ভিএআর। তেমনই কিছু ফুটবল অনুরাগীদের মনের ইচ্ছে পূরণ করে দিলেন উরুগুয়ের ৩৫ বছরের স্ট্রাইকার এডিনসন কাভানি (Edinson Cavani)। শুক্রবার ঘানার বিরুদ্ধে গ্রুপ এইচ-এর ম্যাচ ২-০ গোলে জিতেও বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে উরুগুয়ে। স্বাভাবিকভাবেই হতাশ উরুগুয়ের ফুটবলাররা। মাঠ ছেড়ে ড্রেসিংরুমে ঢোকার পথে টানেলের মুখেই রয়েছে ‘ভিএআর’ মেশিন। কাভানির সব রাগ গিয়ে পড়ল তারই উপর। এক ঘুষিতে ভিএআর মেশিন ফেলে ভেঙে দেন স্ক্রিন! এমন ঘটনা ক্যামেরার চোখ এড়ায়নি।

ঘানার বিরুদ্ধে প্রথমার্ধেই দুই গোলে এগিয়ে যায় উরুগুয়ে। তবে শেষ ষোলোয় পৌঁছতে তা যথেষ্ট ছিল না। দক্ষিণ কোরিয়াকে পিছনে ফেলতে প্রয়োজন ছিল একটি গোলের। মাথা কুটেও সেই গোল পায়নি উরুগুয়ে। ম্যাচের ৫৮তম মিনিটে পেনাল্টির আবেদন জানায় উরুগুয়ে। রেফারি তাতে কর্ণপাত করেননি। ভিএআর চেক করার প্রয়োজন মনে হয়নি। এরপরই উরুগুয়ের ফুটবলাররা ছেঁকে ধরেন জার্মান রেফারি ড্যানিয়েল সেইবার্টকে। তাঁর সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন। অধিকাংশ ফুটবলারই মেজাজ হারান। রেফারিও হলুদ কার্ডও দেখান। মনে করা হচ্ছে সেই কারণেই কাভানির সব আক্রোশ গিয়ে পড়ে ভিএআর যন্ত্রের উপর। কাভানির গুসসার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

২০০২ বিশ্বকাপের পর এই প্রথম গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ল প্রথমবারের বিশ্বকাপজয়ীরা। কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন লুইস সুয়ারেজ। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল ঘানা। ম্যাচের ১৮তম মিনিটে কুদুসকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় ঘানা। কিন্তু গোল করতে পারেননি আন্দ্রে আয়ু। উল্টে ২৬ মিনিটে জিওর্জিয়ান ডি আরাসকেইটার গোলে এগিয়ে যায় উরুগুয়ে। ৩২ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করেন জিওর্জিয়ান। দ্বিতীয়ার্ধে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে উরুগুয়ে। কিন্তু সাফল্য ধরা দেয়নি। নকআউটে যেতে আর একটি গোলের প্রয়োজন ছিল সুয়ারেজদের। শেষ পর্যন্ত স্কোরলাইন একই থাকে। দক্ষিণ কোরিয়ার থেকে গোল করায় পিছিয়ে থাকায় বিশ্বকাপ থেকে বিদায় সুয়ারেজদের।