Lionel Messi : ৩ গোলে পিছিয়ে পড়া মায়ামিকে সমতায় ফিরিয়ে জেতালেন ম্যাজিশিয়ান
Inter Miami : ডালাসের মাঠে মায়ামির জার্সিতে মেসির প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচ। এদিন প্রতিপক্ষের মাঠে ৬ মিনিটেই মায়ামিকে প্রথম গোলটি এনে দেন মেসিই।
কলকাতা : এভাবেও ফিরে আসা যায়? দলে যখন লিওনেল মেসির (Lionel Messi) মতো মহাতারকা তখন কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। সেটাই করে দেখালেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। লিগস কাপে ডালাসের বিরুদ্ধে ম্যাচটিতে মেসির পারফরম্যান্সকে কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন খুঁজে পাচ্ছেন না ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। একটা সময় মায়ামি (Inter Miami) পিছিয়ে ছিল ১-৩ গোলে। ম্যাচ শেষ হতে তখন মাত্র ৩০ মিনিট বাকি। মায়ামির তখন একমাত্র ভরসা মেসি। মিরাকল ঘটিয়ে উদ্ধার করতে পারলে একমাত্র তিনিই পারবেন। এরপর যে প্রত্যাবর্তনের গাঁথা তিনি লিখলেন তাতে বিস্ময়ের ঘোর কাটছে না ফুটবল বিশ্বের। দলকে সমতায় ফিরিয়ে টাইব্রেকারে ৫-৩ ব্যবধানে জেতালেন মায়ামিকে। এটি লিগস কাপের ম্যাচ নাকি ইউরোপের শক্তিধর দুটি দলের লড়াই, বুঝে উঠতে পারলেন না ফুটবল প্রেমীরা। বিস্তারিত রইল TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ডালাসের মাঠে মায়ামির জার্সিতে মেসির প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচ। ক্লাবের হয়ে চার নম্বর ম্যাচ। ৩ ম্যাচে ৫ গোল ছিল আগেই। এদিন প্রতিপক্ষের মাঠে ৬ মিনিটেই মায়ামিকে প্রথম গোলটি এনে দেন মেসিই। মায়ামির হয়ে এখনও পর্যন্ত দ্রুততম গোল তাঁর। তবে ইন্টার মায়ামির মুখের হাসি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৩৭ ও ৪৫ মিনিটে জোড়া গোল করে বসে ডালাস এফসি। এরপর ঘরের মাঠে ৬৩ মিনিটে তৃতীয় নম্বর গোলটিও পেয়ে যায় তারা। মেসির আগমনের পর মায়ামির প্রথম হার দেখার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সমর্থকরা। সেই মুহূর্তে বেঞ্জামিন ক্রিমাশ্চির বদলি হিসেবে নামা মায়ামিকে অক্সিজেন দেয়। ১৮ বছরের এই ফুটবলার মেসির বাড়ানো বল থেকে গোল করেন ৬৫ মিনিটে। এরপর মায়ামির রবার্ট টেলর মায়ামিকে আরও বিপদে ফেলে দেন। তাঁর আত্মঘাতী গোলে ডালাসের পক্ষে ব্যবধান দাঁড়ায় ৪-২। নাটকের তখনও অনেক কিছু বাকি। ৮০ মিনিটে ডালাসের মার্কো ফরফানের আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান দাঁড়ায় ৪-৩। সমতা ফেরাতে প্রয়োজন ছিল একটি গোলের। ৮৫ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে গোল করে স্কোরলাইন ৪-৪ করে ফেলেন ম্যাজিশিয়ান।
ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। প্রথম শটেই ডালাসের জালে বল জড়িয়ে দেন লিও। পরের ৪টি শটেও গোল পেয়ে যায় মায়ামি। পেনাল্টিতে ৫-৩ ব্যবধানে জিতে গিয়েছে মায়ামি।