SAFF Championship Final : তেরঙা কই? সাফ জিতে ভারতীয় ফুটবলারের গায়ে ‘সাতরঙা’ পতাকা! তুঙ্গে বিতর্ক

সুনীল ছেত্রী, গুরপ্রীত সিং সান্ধুদের নিয়ে আবেগে ভেসেছেন ফুটবলপ্রেমীরা। 'বন্দেমাতরম', 'মা তুঝে সালাম'-এর গানে মুখরিত হয়েছে গোটা স্টেডিয়াম। এমন সুন্দর মুহূর্তেও বিতর্ক এড়ানো গেল না।

SAFF Championship Final : তেরঙা কই? সাফ জিতে ভারতীয় ফুটবলারের গায়ে 'সাতরঙা' পতাকা! তুঙ্গে বিতর্ক
Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 05, 2023 | 2:11 PM

বেঙ্গালুরু : নবম বার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের (SAFF Championship) খেতাব ঘরে তুলেছে ভারত। মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে সাফের রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে কুয়েতকে হারিয়েছে ব্লু টাইগার্স। গোটা দেশ আনন্দে মাতোয়ারা। সুনীল ছেত্রী, গুরপ্রীত সিং সান্ধুদের নিয়ে আবেগে ভেসেছেন ফুটবলপ্রেমীরা। ‘বন্দেমাতরম’, ‘মা তুঝে সালাম’-এর গানে মুখরিত হয়েছে গোটা স্টেডিয়াম। এমন সুন্দর মুহূর্তেও বিতর্ক এড়ানো গেল না। যার কেন্দ্রে ভারতীয় দলের ফুটবলার জিকশন সিং থুনাওজাম (Jeakson Singh)। ম্য়াচ শেষে নজর চলে যায় তাঁর গায়ে জড়ানো পতাকায়। কারণ জিকশনের গায়ে জড়ানো পতাকাটি তেরঙা নয় সাতরঙা। ম্যাচ শেষে পুরস্কার নেওয়ার সময়ও তাঁর গায়ে ছিল পতাকাটি। এই নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। জাতীয় পতাকা বাদ দিয়ে এ কোন পতাকা গায়ে জড়িয়েছেন ফুটবলার? বোঝাই যাচ্ছিল, ইচ্ছে করেই এমন কাজ করেছেন। কিন্তু এর পিছনে ব্যখ্যা কী? সাতরঙা পতাকার মাধ্যমে কী বার্তা দিতে চেয়েছেন জিকশন? বিতর্ক শুরু হতেই মুখ খোলেন তিনি। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

২২ বছরের জিকশন সিং আদতে মণিপুরের বাসিন্দা। গত দু’মাস ধরে যে রাজ্য জ্বলছে হিংসার আগুনে। সমস্যাটা মূলত মণিপুরের মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে। সম্প্রতি মণিপুর হাইকোর্টের একটি নির্দেশে ভুল বার্তা ছড়ায় রাজ্যটিতে। এরপর একটি মিছিলকে ঘিরে দুই জনজাতির লোকজনের মধ্যে ব্যপক সংঘর্ষ হয়। বাড়িঘর ভাঙচুর, প্রচুর মানুষের মৃত্যু, কার্ফু জারি, ইন্টারনেট কানেকশন স্তব্ধ করে দেওয়া হয়। মণিপুরে শান্তি ফেরাতে কেন্দ্রের তরফে বাহিনী পাঠানো হয়। তাতেও অশান্তির আগুন থামেনি। এখনও পর্যন্ত শ খানেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে মণিপুর হিংসায়। জিকশন নিজে মেইতেই সম্প্রদায়ের মানুষ। তাঁর গায়ে জড়ানো পতাকাটিও ওই সম্প্রদায়ের। গায়ে সাতরঙা পতাকা জড়িয়ে সাফের মঞ্চে নিজের রাজ্যের অশান্ত পরিস্থিতিকে তুলে ধরেছেন জিকশন।

হিংসা থামাতে ফুটবলের মঞ্চকে এভাবে ব্যবহার করায় অনেকেই ২২ বছরের ফুটবলারের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন। আবার অনেকের মতে, এতে অশান্তি বাড়বে বই কমবে না। বিতর্ক শুরু হতেই টুইট করে জিকশন এর ব্যাখ্যা দিয়ে লিখেছেন, “প্রিয় ফ্যানরা, এই পতাকা নিয়ে জয় উদযাপন করে আমি কারও ভাবাবেগে আঘাত করতে চাইনি। আমার রাজ্যে মণিপুরের বর্তমান যা অবস্থা সেটাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।”