FIFA World Cup 2022: মেসির কেরিয়ারে ‘সচিনের মুহূর্তের’ অপেক্ষায় ভারতীয় ক্রীড়াপ্রেমীরা!

Sachin Tendulkar: কিছু কি মিল পাওয়া যাচ্ছে? সচিনের কেরিয়ারে ২০০৩-র সঙ্গে যদি মেসির কেরিয়ারের ২০১৪ মেলানো যায়! ২০১১ ছিল সচিনের শেষ বিশ্বকাপ। সচিনের কাঁধ থেকে অনেকটা চাপ হালকা করেছিলেন বীরেন্দ্র সেওয়াগ, যুবরাজ সিং, গৌতম গম্ভীর, বিরাট কোহলির মতো ব্যাটাররা। এ বার মেসির সঙ্গে যেমন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করছেন জুলিয়ান আলভারেজ, ম্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার, এনজো ফার্নান্ডেজরা। মেসির কেরিয়ারেও কি সচিনের '২০১১' মুহূর্ত আসবে?

FIFA World Cup 2022: মেসির কেরিয়ারে 'সচিনের মুহূর্তের' অপেক্ষায় ভারতীয় ক্রীড়াপ্রেমীরা!
Image Credit source: AFP FILE, TWITTER
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 16, 2022 | 10:15 AM

নয়াদিল্লি: ভারতীয় ক্রিকেটে লিটল মাস্টার সচিন তেন্ডুলকর। বিশ্ব ক্রিকেটে সর্বকালের অন্যতম সেরা। তাঁর আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের পরিসংখ্যান এবং সাফল্য়ই এর প্রমাণ, কেন তাঁকে সর্বকালের সেরার তকমা দেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, বর্তমান ফুটবল বিশ্বে সর্বকালের সেরার তালিকায় শীর্ষে লিওনেল মেসি। দু-জনের ক্ষেত্রে যেন অদ্ভুত একটা মিল রয়েছে। আর্জেন্টিনায় ভারতকে নিয়ে কতটা আগ্রহ রয়েছে, জানা নেই। তবে ভারতে আর্জেন্টিনাকে নিয়ে যে অনেক বেশি আগ্রহ রয়েছে, এ নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। ফুটবল বিশ্বকাপ এলে তা আরও বেশি করে বোঝা যায়। আর্জেন্টিনা ফুটবলে যেমন নতুন দিগন্ত এসেছিল দিয়েগো মারাদোনার টিমের সৌজন্যে, তেমনই ভারতীয় ক্রিকেটে কপিল দেবের নেতৃত্বে। তারপর শুধুই অপেক্ষা…। ঠিক একই পরিস্থিতি আর্জেন্টিনারও।

কপিল দেবের নেতৃত্বে প্রথম বার বিশ্বকাপ জেতে ভারত। এরপর বিশ্ব ক্রিকেটে দাপট দেখিয়েছেন সচিন তেন্ডুলকর। কিন্তু বিশ্বকাপ ছাড়া, তাঁর শ্রেষ্টত্ব যেন পূর্ণতা পাচ্ছিল না। ২০০৩ সালে ফাইনালে উঠলেও বিশ্বকাপ আসেনি। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হার। অবশেষে ২০১১ সালে বিশ্বকাপ জেতে ভারত। সচিনের হাতে বিশ্বকাপ। ভারতীয় ক্রিকেটে এর চেয়ে প্রাপ্তি আর কীই বা হতে পারতো! তেমনই আর্জেন্টিনা শেষ বিশ্বকাপ জিতেছে ১৯৮৬ সালে। দিয়েগো মারাদোনার সেই ট্রফির পর অপেক্ষার ইতি হয়নি। লিওনেল মেসির শ্রেষ্টত্বও পূর্ণতা পায়নি। ২০১৪ সালে সেই সুযোগ এসেছিল। লিও মেসির নেতৃত্বে ফাইনালে উঠেছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু ফাইনালে জার্মানির কাছে হার।

কিছু কি মিল পাওয়া যাচ্ছে? সচিনের কেরিয়ারে ২০০৩-র সঙ্গে যদি মেসির কেরিয়ারের ২০১৪ মেলানো যায়! ২০১১ ছিল সচিনের শেষ বিশ্বকাপ। সচিনের কাঁধ থেকে অনেকটা চাপ হালকা করেছিলেন বীরেন্দ্র সেওয়াগ, যুবরাজ সিং, গৌতম গম্ভীর, বিরাট কোহলির মতো ব্যাটাররা। এ বার মেসির সঙ্গে যেমন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করছেন জুলিয়ান আলভারেজ, ম্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার, এনজো ফার্নান্ডেজরা। মেসির কেরিয়ারেও কি সচিনের ‘২০১১’ মুহূর্ত আসবে? মেসিরও এটাই শেষ বিশ্বকাপ। রবিবার কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল। লিও মেসির আর্জেন্টিনা নামছে গত বারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিরুদ্ধে। ট্রফি আর মেসির শ্রেষ্টত্বের মাঝে একটা জয়। মেসির কেরিয়ারের শেষ বিশ্বকাপে সচিনের সেই মুহূর্তের অপেক্ষায় ভারতের আর্জেন্টিনা সমর্থকরা।

আরও একটা মিল এড়িয়ে গেলে কী ভাবে চলবে! সচিন তেন্ডুলকর এবং লিওনেল মেসি। এসটি-টেন, এলএম-টেন। দু-জনেরই যে জার্সি নম্বর ১০!