ফের হার এসসি ইস্টবেঙ্গলের, জেজেদের নিয়ে বিস্ফোরক ফাউলার

আইএসএলের শুরুতেই জোড়া হার এসসি ইস্টবেঙ্গলের। ২ ম্যাচ পর লিগ তালিকার সবার নীচে লাল-হলুদ।

ফের হার এসসি ইস্টবেঙ্গলের, জেজেদের নিয়ে বিস্ফোরক ফাউলার
ডার্বির পর মুম্বই সিটি এফ সি-র কাছেও হার লাল-হলুদের। ছবি-আইএসএল।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 09, 2021 | 9:19 AM

TV9বাংলা ডিজিটাল: ডার্বির হারের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের হার এসসি ইস্টবেঙ্গলের।  মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে ০-৩ গোলে হেরে আইএসএলে ক্রমশ চাপ বাড়তে শুরু করেছে রবি ফাউলারের দলের উপর। লোবেরোর দলের বিরুদ্ধে কোনও লড়াই-ই চোখে পড়ল না লাল হলুদ ব্রিগেডের।

এদিন শুরু থেকেই ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠ ছিল দিশাহীন। আর সেই সুযোগটা শুরু থেকেই কাজে লাগাতে শুরু করল মন্দার রাও দেশাইরা। মাগোমারা যখন মাঝমাঠের বুনোট তৈরি করতে প্রস্তুতি শুরু করছে, তখনই ইস্টবেঙ্গলের ডেরায় প্রথম বিপদ। রউলিন বর্জেসের লম্বা পাস থেকে বাওমৌসের সাজানো মাইনাস থেকে মুম্বই সিটি এফসিকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন ফন্দ্রে। সুরচন্দ্র  সিংহের অত্যন্ত নিম্নমানের ক্লিয়ার দেখে আঁতকে উঠেছেন বঙ্গ ফুটবলের প্রাক্তনীরাও। সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গলও। তবে অমরিন্দর সিংহের ভরসার হাতের কাছে শেষ হয়ে যায় ইস্টবেঙ্গলের গোলের স্বপ্ন।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলে প্রথমার্ধেরই কপি-পেস্ট। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ফের ধাক্কা ইস্টবেঙ্গলে। গোল লাইন থেকে বেরিয়ে সেভ করতে গিয়ে লাল হলুদের বিপদ ডেকে আনেন দেবজিৎ মজুমদার। পেনাল্টি থেকে ফের মুম্বই সিটি এফসিকে এগিয়ে দেন সেই ফন্দ্রেই। তবুও এদিন তিনকাঠির তলায় দেবজিৎয়ের অদম্য লড়াই জারি না থাকলে, ইস্টবেঙ্গলের জালে জড়াত আরও বল। পরিবর্ত হিসেবে নামা জেজে হোন বা রফিক, চেষ্টার ত্রুটি ছিলনা দলকে ম্যাচে ফেরানোর।

আরও পড়ুন:করোনা আক্রান্ত হ্যামিল্টন নেই বাহরিন রেসে

মাত্র ১১ মিনিটের ব্যবধানে ফের ইস্টবেঙ্গলের জালে জড়াল বল। ম্যাচে তৃতীয়বারের জন্য। মুম্বই সিটির চোখধাঁধানো ফ্রিকিক।সেখান থেকে দুরন্ত গোল স্যান্টানার। ইস্টবেঙ্গলের ফেরার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায় পুরোপুরি। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে ৩-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ম্যাচ থেকেই হারিয়ে যেতে থাকে ইস্টবেঙ্গল। বাকি ৩০ মিনিটে কয়েকটি হাফ চান্স পেলেও, তা গোলের রাস্তা খোলার জন্য যথেষ্ট ছিলনা।

ম্যাচ শেষে বিস্ফোরক রবি ফাউলার। জোড়া হারের পর ফাউলারের বিস্ফোরক অভিযোগ, ”কয়েকজন ভারতীয় ফুটবলারকে দেখে মনে হচ্ছে, তাদের ফুটবল পাঠটাই কোনও দিন হয়নি।”