IPL: বাড়তে পারে আইপিএলের ম্যাচ সংখ্যা, বোর্ডের অর্থলাভের প্রক্রিয়া চিন্তা বাড়াচ্ছে ক্রিকেটারদের

মিডিয়া স্বত্ব পাওয়ার আকুতি ও বোর্ডের কতখানি আয় হতে চলেছে, তার বাইরে বেরিয়ে প্রশ্ন দুটো। এক, ২০২৫ সাল থেকে পরের দুটো বছর যদি আইপিএলের ম্যাচ ৮৪ থেকে ৯৪ হয়, তা হলে কী ভাবে সাজানো হবে পুরো লিগ?

IPL: বাড়তে পারে আইপিএলের ম্যাচ সংখ্যা, বোর্ডের অর্থলাভের প্রক্রিয়া চিন্তা বাড়াচ্ছে ক্রিকেটারদের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 09, 2022 | 1:48 PM

নয়াদিল্লি: যদি সব কিছু ঠিকঠাক থাকে, তা হলে আগামী মরসুম থেকে আইপিএলের (IPL) ম্যাচের সংখ্যা বাড়ছে। এতেই শেষ নয়, ২০২৩ থেকে ২০২৭ সালের যে সার্কেল ধরা হচ্ছে আইপিএলের, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ভাবনা ধরলে, ২০২৫-২৭ এর মধ্যে ম্যাচের সংখ্যা আরও বাড়ছে। অর্থাৎ আগামী ৫ বছরের ৩৭০ থেকে ৪১০টা ম্যাচ হতে পারে আইপিএল। আর তা যদি হয়, তা হলে আইপিএল বিশ্বের সবচেয়ে লাভজনক খেলা হয়ে যেতে পারে। আইপিএলে মিডিয়া সত্ত্বের জন্য টেন্ডার আগেই দিয়েছে বিসিসিআই (BCCI)। বুধবার যে সব সংস্থা টেন্ডার তুলেছে, তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বোর্ড কর্তাদের বৈঠকের পর এই তথ্যই বেরিয়ে এসেছে। সদ্য শেষ হওয়া আইপিএল (IPL 2022) ধরলে, এ বারই প্রথম ১০টা টিম খেলেছে। আর তাতে সব মিলিয়ে হয়েছে ৭৪টা ম্যাচ। আগামী ২ বছর এই সংখ্যাই ধরে রাখা হবে। কিন্তু ২০২৫ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে হতে পারে ৮৪। সেটাই বাড়তে বাড়তে ৯৪-এ গিয়ে দাঁড়াবে।

আমেরিকান ফুটবল লিগ এই মুহূর্তের বিশ্বের সবচেয়ে দামি (World’s Costliest League) ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। ম্য়াচ প্রতি দর ৫৪ কোটি টাকা। দামের নিরিখে আইপিএল চার নম্বরে। এনএফএল, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ও মেজর লিগ বেসবলের ঠিক পরেই। মিডিয়া সত্ত্বের যে টেন্ডার দিয়েছে বোর্ড, তা ধরলে ম্যাচ প্রতি দরে দু’নম্বর লিগ আইপিএল। ভারতের এই লিগে অর্থ লগ্নি করার জন্য মুখিয়ে রয়েছে বিশ্বের নানা নামী সংস্থা। মিডিয়া সত্ত্বের পরিমাণ সর্বকালীন রেকর্ড গড়বে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই বোর্ডে। সংস্থাগুলোতে আকৃষ্ট করতেই ম্যাচ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই।

ঠিক কি ভাবে পুরো ব্যাপারটা গোছানোর কথা ভাবছে বিসিসিআই? স্পোর্টস সলিউশনের সিইও আশিস চড্ডার কথা অনুযায়ী, ‘ম্যাচ প্রতি টিভি বিজ্ঞাপনের দর হয়তো খুব বেশি বাড়বে না। ২০-২৫ শতাংশ বাড়তে পারে। কিন্তু ডিজিটাল মিডিয়া সত্ত্বের যে প্যাকেজ দেওয়া হয়েছে, তা কিন্তু বাড়ছে ব্যাপক হারে। যে হিসেব আমরা করেছি, তা ধরলে ডিজিটাল সত্ত্বের ক্ষেত্রে ম্যাচ প্রতি দর হতে পারে ১১৫-১২০ কোটি টাকা। এর থেকে বেশি হলে কিন্তু কারওর পক্ষেই হজম করা সহজ হবে না। আইপিএলের মিডিয়া সত্ত্বের মোট দর ৪০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।’ আশিসের মতো একই ভাবনা এই দুনিয়ার অন্য সব সংস্থার। তার পরও আইপিএলের মিডিয়া সত্ত্ব পেতে মরিয়া হয়ে ঝাঁপিয়েছে বিভিন্ন সংস্থা।

মিডিয়া স্বত্ব পাওয়ার আকুতি ও বোর্ডের কতখানি আয় হতে চলেছে, তার বাইরে বেরিয়ে প্রশ্ন দুটো। এক, ২০২৫ সাল থেকে পরের দুটো বছর যদি আইপিএলের ম্যাচ ৮৪ থেকে ৯৪ হয়, তা হলে কী ভাবে সাজানো হবে পুরো লিগ? ২০২২ সালের আইপিএলে গ্রুপ পর্বে ১৪টা করে ম্যাচ খেলেছে টিমগুলো। প্লে-অফ থেকে ফাইনাল ধরলে ১৬টা। সেই সংখ্যা নিশ্চিত ভাবেই বাড়বে। ৬০ দিনের বদলে লিগের মেয়াদও বাড়বে। এ সব সামাল দেওয়া হবে কী ভাবে? তার থেকেও বড় কথা হল, ক্রিকেটারদের টানা খেলার ধকল বাড়বে। ওয়ার্কলোডের কারণে কোনও ক্রিকেটারই সেরাটা দিতে পারবেন না। শুধু অর্থের টানেই কি তখন আইপিএল খেলতে রাজি হবেন সেরা তারকারা?