Manu Bhaker Reaction: মস্তিষ্কে চলছিল গীতার সেই শ্লোক, ইতিহাস গড়ে খোলসা করলেন মনু ভাকের
Paris Olympics 2024 Shooting: কোরিয়ার দুই প্রতিপক্ষ ক্রমশ চাপ তৈরি করছিলেন। পয়েন্ট টেবলে ২-৩ নম্বরে ওঠা নামা চলে ভারতের শুটার মনু ভাকেরের। ফোকাস হারাননি। শেষ অবধি মাত্র পয়েন্ট ১-এর ব্যবধানে রুপো হল না। তাই হয়তো হাসিতে একটা হতাশার ছাপ ছিল। চাপের মুহূর্তে তাঁর মস্তিষ্কে কী চলছিল?
ফোকাস, ফোকাস, ফোকাস। শুটিংয়ে প্রথম এই বিষয়টাই যেন প্রয়োজন পড়ে। ২২ বছরের মনু ভাকেরের মস্তিষ্কে নানা বিষয় চলছিল। ১৪০ কোটির বেশি ভারতীয়র প্রত্যাশা। ক্যাবিনেটে অনেক পদকই ছিল, অপেক্ষা ছিল অলিম্পিক পদকের। কিন্তু কোরিয়ার দুই প্রতিপক্ষ ক্রমশ চাপ তৈরি করছিলেন। পয়েন্ট টেবলে ২-৩ নম্বরে ওঠা নামা চলে ভারতের শুটার মনু ভাকেরের। ফোকাস হারাননি। শেষ অবধি মাত্র পয়েন্ট ১-এর ব্যবধানে রুপো হল না। তাই হয়তো হাসিতে একটা হতাশার ছাপ ছিল। পোডিয়ামে ওঠার সময় অবশ্য পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন। তাঁর কাছে আরও অনেক সুযোগ রয়েছে। পদকের রং বদলানোরও সুযোগ। সে কথাই খোলসা করলেন মনু। তবে চাপের মুহূর্তে তাঁর মস্তিষ্কে কী চলছিল?
প্যারিসে ভারতের পদকের খাতা খুললেন মনু ভাকের। শুটিংয়ে দীর্ঘ ১২ বছর পর পদক। ভারতের প্রথম মহিলা হিসেবে শুটিংয়ে অলিম্পিক পদক। একাধিক রেকর্ড গড়ে মনু বলছেন, ‘খুবই ভালো লাগছে। সত্যি বলতে, আমি জেতার মেজাজেই ছিলাম। আশা করছি ভারত আরও পদক জিতবে। ব্যক্তিগত ভাবে কী অনুভূতি ঠিক বোঝাতে পারব না। এমনকি শেষ শটেও সর্বস্ব দিয়েছিলাম। ব্রোঞ্জ পেয়েছি। হয়তো আরও একটু ভালো করতে পারতাম। পরবর্তীতে আরও ভালো করার চেষ্টা থাকবে।’
কী ভাবে নিজের ফোকাস ধরে রেখেছিলেন মনু? খোলসা করলেন নিজেই, ‘আমার মাথায় চলছিল গীতায় লেখা সেই শ্লোক। যেখানে শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বলেছিলেন, কর্ম করে যাও, ফলের আশা কোরো না। আমার মাথায় সেটাই ঘুরছিল। নিজের ফোকাস ধরে রেখে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে গিয়েছি।’ মনুর নিশানায় পদকের খাতা খুলল ভারত। এ প্রসঙ্গে মনু বলছেন, ‘ভারত যত সম্ভব বেশি পদক জিতুক সেটাই চাইব। এই অবধি পৌঁছতে আমাদের সকলকেই পরিশ্রম করতে হয়েছে। খাতা খুললাম, আমি এ ভাবে দেখছি না। ভারতের এখনও অনেক পদক জেতা বাকি, আমি বিষয়টা এ ভাবেই ভাবতে চাই। আমার আরও ইভেন্ট রয়েছে। সেখানেও ভালো করার চেষ্টা করব। যাঁরা খারাপ সময়েও আমার পাশে ছিলেন প্রত্যেকের প্রতি কৃতজ্ঞ। কোচ, পরিবার, সকলেই আমার পাশে থেকেছেন।’