AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Tokyo Olympics 2021: স্বেচ্ছাসেবীর কাছে ধার করে অলিম্পিকে সোনা হান্সলের

জামাইকার হান্সলে ১১০ মিটার হার্ডেল রেসে সোনা জিতেছেন এ বারের গেমসে। কিন্তু সোনার দৌড়টা ছিল খুব কঠিন। নিজের ইন্সটাগ্রামে সেই গল্প শুনিয়েছেন হান্সলে।

Tokyo Olympics 2021: স্বেচ্ছাসেবীর কাছে ধার করে অলিম্পিকে সোনা হান্সলের
Tokyo Olympics 2021: স্বেচ্ছাসেবীর কাছে ধার করে অলিম্পিকে সোনা হান্সলের
| Edited By: | Updated on: Aug 15, 2021 | 9:34 AM
Share

টোকিও: অলিম্পিক শেষ। কিন্তু রেশ এখনও রয়ে গেছে। নানা গল্প উঠে আসছে। এমনই এক গল্প শোনালেন জামাইকার অ্যাথিলিট। এক ভলান্টিয়ারের থেকে টাকা ধার করে অলিম্পিকে সোনা জয়ের গল্প হান্সলে পার্চমেন্টের।

জামাইকার হান্সলে ১১০ মিটার হার্ডেল রেসে সোনা জিতেছেন এ বারের গেমসে। কিন্তু সোনার দৌড়টা ছিল খুব কঠিন। নিজের ইন্সটাগ্রামে সেই গল্প শুনিয়েছেন হান্সলে। ফাইনাল ইভেন্টের দিন নিজেকে মানসিক ভাবে হালকা রাখতে কানে হেডফোন দিয়ে গেমস ভিলেজ থেকে মাঠে যাওয়ার জন্য বেড়িয়েছিলেন। কিন্তু ভুল বাসে উঠে পড়েন। ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড স্টেডিয়ামে যাওয়ার বদলে সেই বাসের গন্তব্য ছিল অ্যাকোয়াটিক স্টেডিয়াম। হান্সলে যখন বুঝলেন, তিনি অন্য বাসে উঠে পড়েছেন, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। অ্যাকোয়াটিক সেন্টারে বাস পৌঁছনোর পর সেখান থেকেই ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড সেন্টারে যাওয়া ছাড়া আর কোনও রাস্তা ছিল তাঁর সামনে।

খোঁজ নিয়ে হান্সলে জানতে পারেন, তাঁকে আগে গেমস ভিলেজে ফিরে যেতে হবে। সেখান থেকে পাওয়া যাবে অন্য ভেনুতে যাওয়ার বাস। তবে সেটা করলে তাঁর ইভেন্টের সময় পেরিয়ে যাবে। এই সময় এক স্বেচ্ছাসেবকের সঙ্গে কথা হয় জামাইকার অ্যাথলিটের। সেই স্বেচ্ছাসেবক হান্সলেকে নিজের পকেট থেকে টাকা দেন, যাতে হান্সলে ট্যাক্সি ধরে স্টেডিয়ামে পৌঁছতে পারেন।

হান্সলে শুধু সময় মতো ভেনুতে পৌঁছাতে পেরেছিলেন সেটাই নয়, জিতেছিলেন সোনা। ইভেন্টের পর দিন আবার বাসে উঠে পড়েন জামাইকার অ্যাথলিট। তবে এবার তাঁর গন্তব্য ছিল অ্যাকোয়াটিক স্টেডিয়ামই। সেখানে গিয়ে খুঁজে বের করেন সেই ভলান্টিয়ারকে। ধন্যবাদ জানিয়ে, নিজের সোনার পদকটা তুলে দেখান সেই ভলান্টিরাকে। ধার দেওয়া অর্থ ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি টিম জামাইকার একটা টি-শার্টও উপহার দেন সেই স্বেচ্ছাসেবককে। গোটা ঘটনাটা হান্সলে পার্চমেন্ট শেয়ার করেন তাঁর ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে। এই গল্প মন ছুঁয়ে গেছে নেটিজেনদের।

অলিম্পিক মানেই আশ্চর্য কাহিনি। উত্থান, স্বপ্ন ছোঁয়ার, পদক প্রাপ্তির। সেই সব গল্পের মধ্যে থেকে যাবেন হান্সলে আর সেই স্বেচ্ছাসেবী। এই কারণেই বোধহয় অলিম্পিকের অভিভাবক বলা হয় ভলান্টিয়ারদের!