1 জানুয়ারি থেকে ডিজিটাল KYC করলেই পাবেন নতুন সিম, কেন এমন সিদ্ধান্ত?
New Digital KYC Rules: আগামী বছর অর্থাৎ 2024 থেকে নতুন সিম কেনার সময় শুধুমাত্র ডিজিটাল কেওয়াইসি (Digital KYC) থাকবে। এর পাশাপাশি সিম বিক্রেতাদের যাচাইকরণও বাধ্যতামূলক হয়ে যাবে। সিম কার্ড সংক্রান্ত জালিয়াতি ঠেকাতে সরকার দীর্ঘদিন ধরে নতুন নিয়ম প্রণয়ন করতে চাইছিল। এখন 1 জানুয়ারি থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর হবে।
1 জানুয়ারি থেকে টেলিকম সংস্থাগুলির জন্য নতুন নিয়ম কার্যকর হতে চলেছে। অর্থাৎ নতুন বছরের পাশাপাশি নতুন নিয়মও এনে হাজির করতে চলেছে ভারত সরকার। আগামী বছর অর্থাৎ 2024 থেকে নতুন সিম কেনার সময় শুধুমাত্র ডিজিটাল কেওয়াইসি (Digital KYC) থাকবে। এর পাশাপাশি সিম বিক্রেতাদের যাচাইকরণও বাধ্যতামূলক হয়ে যাবে। সিম কার্ড সংক্রান্ত জালিয়াতি ঠেকাতে সরকার দীর্ঘদিন ধরে নতুন নিয়ম প্রণয়ন করতে চাইছিল। এখন 1 জানুয়ারি থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর হবে। সারা দেশে নতুন নিয়ম কার্যকর করার দায়িত্ব টেলিকম বিভাগের (DoT) উপর রয়েছে। এর অধীনে টেলিকম সংস্থাগুলি শুধুমাত্র সিম কার্ড গ্রাহকদের ই-কেওয়াইসি করবে।
নতুন নিয়মে, সরকার টেলিকম সংস্থাগুলির জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি, পরিবেশক এবং পয়েন্ট-অফ-সেল (PoS) এজেন্টদের রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করেছে। টেলিকম ডিলার এবং এজেন্টরা রেজিস্ট্রেশনের জন্য 12 মাস সময় পাবেন। এর সাহায্যে এজেন্টরা কোনওভাবেই কাউকে KYC ছাড়া সিম দিতে পারবেন না। এতে যারা বেআইনি কাজ করে, তাদেরও সিম পাওয়া কঠিন হবে এবং জাল সিম রোধে সাহায্য করবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
ডিজিটাল নো ইওর কাস্টমার অর্থাৎ ই-কেওয়াইসি 1 জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। যারা সিম কিনছেন তাদের ডিজিটাল ভেরিফিকেশন করতে হবে। যদি কোনও ডিলার এটি না করেন, তবে তাকে 10 লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। সিম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে, বা পোর্ট করার ক্ষেত্রে এসএমএস সুবিধা চালু হওয়ার 24 ঘন্টার মধ্যে ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
জালিয়াতি রোধ করবে…
আধার জালিয়াতি ঠেকাতে বা যে কোনও প্রকার সিম কার্ড সম্পর্কিত জালিয়াতি রোধ করতে সরকার এই নির্দেশিক দিয়েছে। কেউ যাতে আধারের অপব্যবহার না করে তা নিশ্চিত করতে, প্রিন্ট করা আধারের QR কোড স্ক্যান করে সেই ব্য়ক্তির সমস্ত ডেটা পাওয়া যাবে। সিম কার্ড বন্ধ হওয়ার পর 90 দিনের জন্য এই নম্বরটি অন্য কাউকে দেওয়া হবে না।