Fake Website: ভুয়ো ওয়েবসাইটে ছয়লাপ, আপনি প্রতারণার শিকার নন তো? কীভাবে বুঝবেন?
Spot Fake Website: সম্প্রতি দেশের শীর্ষ আদালতের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেরও একটি ভুয়ো সাইট নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টও এই বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেছে। তারা বলেছে, ব্যবহারকারীরা যেন কারও সঙ্গে কোনও ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার না করেন। তাই এখন সুরক্ষিত থাকতে সর্বাগ্রে জেনে নেওয়া জরুরি, যে ওয়েবসাইট ভিজ়িট করছেন তা আদৌ ভুয়ো কি না।
Online Scam: সারাদিনে বেশ কিছু কাজের জন্য আমাদের একাধিক ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারতে হয়। কিন্তু কোন ওয়েবসাইট আসল আর কোন সাইট নকল, তা কি আপনি বুঝতে পারেন? বুঝতে পারেন না বলেই তো একটা ওয়েবসাইটে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়ার খানিক পরেই কষ্টার্জিত অর্থ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে যায়। এই ধরনের ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে মানুষকে প্রতারণা করার ঘটনাকে বলা হয় ফিশিং অ্যাটাক। সম্প্রতি দেশের শীর্ষ আদালতের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেরও একটি ভুয়ো সাইট নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টও এই বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেছে। তারা বলেছে, ব্যবহারকারীরা যেন কারও সঙ্গে কোনও ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার না করেন। তাই এখন সুরক্ষিত থাকতে সর্বাগ্রে জেনে নেওয়া জরুরি, যে ওয়েবসাইট ভিজ়িট করছেন তা আদৌ ভুয়ো কি না। তার জন্য আপনাকে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
1) অ্যাড্রেস বার চেক করুন
আপনি যে ওয়েবসাইট ভিজ়িট করছেন, তার অ্যাড্রেস বার চেক করতে হবে। যদি এতে https থাকে তাহলে বুঝতে হবে সেটি নিরাপদ ওয়েবসাইট। একটা সাইটে ‘S’ থাকা মানেই তা নিরাপদ, ‘s’ না থাকলে সেই ওয়েবসাইট ভিজ়িট করা উচিত নয়। তার থেকেও বড় কথা হল, url-এ বানান ভুলও পরীক্ষা করতে হবে। শুধু তাই নয়। ডোমেইন এক্সটেনশনও পরীক্ষা করা দরকার। সাইটের ডোমেইনে .com বা .net বা .org থাকা আবশ্যক।
2) ওয়েবসাইটের গ্রামার চেক করুন
আপনি যদি কোনও ওয়েবসাইটে বা URL-এ কোনও ব্যাকরণগত ভুল দেখেন বা বাক্যটি সম্পূর্ণরূপে আপনাকে দেখানো না হয়, বা যদি কোনও বানান ভুল থাকে, তাহলে সেই ওয়েবসাইটের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।
3) অ্যাবাউট আস এবং কন্ট্যাক্ট আস চেক করুন
কোনও ওয়েবসাইট নিয়ে যদি আপনার মনে সন্দেহের অবকাশ থাকে, তাহলে তার অ্যাবাউট আস এবং কন্ট্যাক্ট আস অপশনটা ভাল করে চেক করতে পারেন। একমাত্র সেখান থেকেই আপনার ধন্দ কিছুটা হলেও কাটতে পারে। এখান থেকে আপনি ওয়েবসাইট, সেই সাইটের ডেভেলপার-সহ কর্মীদের সম্পর্কে জানতে পারেন। আবার সেই সংস্থার LinkedIn ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলগুলিও চেক করে নিতে পারেন।
4) পপ-আপ এবং বিজ্ঞাপন
একটা ওয়েবসাইটে ঢুকে আপনি যদি প্রচুর বিজ্ঞাপন এবং পপ-আপ দেখতে পান, তাহলে সেগুলির কোনওটিতে ক্লিক করবেন না। ব্রাউজ়ারও বন্ধ করুন। আপনি যদি এগুলি মানতে না পারেন, তাহলে সাইবার কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে যেতে পারেন।
5) অনলাইন ওয়েবসাইট চেকার ব্যবহার করুন
অনলাইনে বেশ কিছু চেকার ওয়েবসাইট রয়েছে, যারা অন্যান্য সাইটের সত্যতা যাচাই করে। সেই অনলাইন চেকারগুলি থেকে জানা যায়, কোন সাইট আসল আর কোনটি নকল। আপনাকে প্রতারণামূলক ওয়েবসাইটের শিকার হওয়া থেকে আটকাতে পারে এই চেকারগুলি।