পৃথিবীর পাশ দিয়ে দ্রুত গতিতে ছুটে যাবে সুবিশাল গ্রহাণু, জানাল নাসা
নাসার তরফে জানানো হয়েছে এই সুবিশাল গ্রহাণুর নাম 2001 FO32। অনুমান করা হচ্ছে এর ডায়ামিটার বা ব্যাস প্রায় ৩ হাজার ফুট।
পৃথিবীর পাশ দিয়ে প্রবল গতিতে ছুটে যাবে এক গ্রহাণু। এখন তার অবস্থান পৃথিবী থেকে ১.২৫ মিলিয়ন মাইল দূরে। কিলোমিটারের হিসেবে যা প্রায় ২ মিলিয়ন অর্থাৎ ২০ লক্ষ কিলোমিটার। আগামী ২১ মার্চ পৃথিবীর পাশ দিয়ে তীব্র গতিতে ধাবমান হবে এই গ্রহাণু, এমনটাই জানিয়েছে নাসা। মার্কিন স্পেস এজেন্সি এও জানিয়েছে, এই ঘটনা বিজ্ঞানীদের খুব কাছ থেকে এক গ্রহাণুকে (লার্জেস্ট অ্যাস্টেরয়েড) দেখার করার সুযোগ করে দেবে।
নাসার তরফে জানানো হয়েছে এই সুবিশাল গ্রহাণুর নাম 2001 FO32। অনুমান করা হচ্ছে এর ডায়ামিটার বা ব্যাস প্রায় ৩ হাজার ফুট। বছর ২০ আগে এই গ্রহাণুর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। Center for Near Earth Object Studies- এর ডিরেক্টর Paul Chodas জানিয়েছেন, সূর্যের চারপাশে এই গ্রহাণুর প্রদক্ষিণের অরবিটাল পাথের ব্যাপারে সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ রয়েছে তাঁদের। সেই সঙ্গে তিনি এও বলেছেন যে, পৃথিবী থেকে ১.২৫ মিলিয়ন মাইল দূর দিয়েই যাবে এই গ্রহাণু। এর থেকে বেশি কাছে আসার কোনও সম্ভাবনা নেই। এই দূরত্ব পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্বের পাঁচগুণেরও বেশি।
On March 21, an asteroid named 2011 FO32 will safely pass by Earth, with its closest approach being a distance of about 1.23 million miles. There is no threat of a collision with our planet now or for centuries to come.
? Rest easy & read more: https://t.co/na2mCSqjjQ pic.twitter.com/GEEfwzWniW
— NASA (@NASA) March 11, 2021
2001 FO32- এই গ্রহাণুকে ইতিমধ্যেই ‘potentially hazardous asteroid’- এর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নাসার তরফে জানানো হয়েছে, এই গ্রহাণু পৃথিবীর পাশ দিয়েছে প্রতি ঘণ্টায় ৭৭ হাজার মাইল গতিবেগে ধাবমান হবে, যা অন্যান্য গ্রহাণুর গতির তুলনায় অনেকটাই বেশি। ২১ মার্চ এই গ্রহাণু পৃথিবীর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে দেখে নাসার বিজ্ঞানীরা এই গ্রহাণু সম্পর্কে (আকার, আয়তন, গঠন, গড়ন) ধারনা করতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
মূলত যখন সূর্যরশ্মি কোনও গ্রহাণুর উপর পড়ে, তখন তার মধ্যে থাকা খনিজ উপাদানগুলি কিছু সূর্যরশ্মি শোষণ করে নেয় এবং বাকিটা ত্যাগ করে। গ্রহাণুর পৃষ্ঠদেশে সূর্যরশ্মির বিচ্ছুরণের গতিপ্রকৃতি পরীক্ষা করেই গ্রহাণুর মধ্যে থাকা উপাদান সম্পর্কে ধারনা করতে পারবেন বিজ্ঞানীরা। জানা গিয়েছে, সাউদার্ন স্কাইয়ের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় সবচেয়ে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে এই গ্রহাণু।