ভারতীয় ইউটিউবারদের ওপরে পড়বে না ‘ইউএস’ ট্যাক্সের চাপ
দেশের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন ইউটিউবার ইউটিউব বিজ্ঞাপন থেকে মাত্র ২০ শতাংশ আয় করে। বাকি ৮০% বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্র্যান্ড কোলাবেরশনের মাধ্যমে হয়।
গত ৯ মার্চ গুগল গুগল ইমেল মারফত ইউটিউবের কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জানায় যে আমেরিকার বাইরে যেসব ইউটিউবার রয়েছেন, অর্থাৎ আমেরিকা ছাড়া অন্যান্য দেশের ইউটিউবারদের থেকে ‘ইউএস’ ট্যাক্স কেটে নেওয়া হবে। গোটাটাই হবে মনিটাইজড কনটেন্ট ভিডিয়ো অর্থাৎ যে সকল ভিডিয়ো থেকে ইউটিউবাররবা অর্থলাভ করেন তার ওপর বসবে এই অতিরিক্ত কর (‘ইউএস’ ট্যাক্স)।
শোনা যাচ্ছে, ২০২১ সাল অর্থাৎ চলতি বছর জুন মাস থেকেই চালু হবে এই নতুন নিয়ম। ইতিমধ্যেই ইউটিউবারদের মেল মারফৎ গুগল যে বার্তা পাঠিয়েছে সেখানে বলা হয়েছে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের Adsense-এ নিজেদের ট্যাক্স সংক্রান্ত তথ্য জমা দিতে হবে। এর জন্য সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩১ মে-র মধ্যে এই তথ্য জমা দিতে হবে। আর তা যদি না হয় তাহলে, ইউটিউবারদের মোট আয়ের ২৪ শতাংশ ট্যাক্স হিসেবে কেটে নেওয়া হবে। আমেরিকা ছাড়া, বিশ্বের বাকি সব দেশেই চালু হবে এই নিয়ম। গুগলের কাছে ক্রিয়েটরদের কর সংক্রান্ত সব তথ্য না থাকলে ২৪ শতাংশ কেটে নেওয়ার বিষয়টি ধার্য্য হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। যদি কর বিষয়ক যাবতীয় তথ্য জমা এবং যাচাই হওয়া পর, চূড়ান্ত কর ছাড়ের পরিমাণ কমে হবে ১৫ শতাংশ। ভারত ও আমেরিকার মধ্যে ট্যাক্স চুক্তির সম্পর্কের কারণে এটি সম্ভবকর হয়েছে।
আরও পড়ুন আগামীকাল ‘ছাপ্পান্ন’তে আমির! কীভাবে করবেন বার্থডে সেলিব্রেশন?
তবে যে সকল ক্রিয়েটর কর চুক্তির সুবিধার এই আওতাযর মধ্যে পড়ে না তাদের ক্ষেত্রে, চূড়ান্ত কর ছাড়ের পরিমাণ ৩০ শতাংশও হতে পারে।
তবে এ বিষয়ে (ইউএস ট্যাক্স) ভারতের ইউটিউবারদের চিন্তায় পড়ার খুব একটা কারণ নেই। কেন?
বং গাই-এর নতুন মার্চেন্ডাইজবেশিরভাগ ইউটিউবারদের কনটেন্টে এবং সেই কনটেন্টের দর্শক আঞ্চলিক। ভারতে প্রায় ১৫ শতাংশ ইউটিউবার— মূলত ইংরেজিতে কনটেন্ট তৈরি করেন। মার্কিন রাষ্ট্রে সে সব কনটেন্টের দর্শক একেবারে সামান্য। অ্যাড রেট অর্থাৎ কস্ট পার থাইজ্যান্ড ইম্প্রেশন (CPM) ভারতের তুলনায় মার্কিন বাজারের জন্য ৩-১০ গুণ বেশি। ১৫-২৪ শতাংশ কর দেওয়ার পরেও যা কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের হাতে যথেষ্ট অর্থ থাকবে— জানান গৌতম মাধবন, ইনফ্লুয়েন্সার বিপণন প্ল্যাটফর্মের প্রতিষ্ঠাতা ‘ম্যাড ইনফ্লুয়েন্স’। ‘ইটেক’-এর এক প্রতিবেদন এও জানিয়েছে, ‘বিজ্ঞাপন থেকে অর্থালাভের ওপর ভিত্তি করে প্রায় ৭০টিরও বেশি দেশের শীর্ষে থাকা ইউটিউবারদের থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে ভারতীয় ইউটিউবাররা।’
প্রিন্স খান্না,কো-ফাউন্ডার বিপণন সংস্থা (ইলেভ মিডিয়া) বলেন, “বেশিরভাগ ভারতীয় ইউটিউবার ইউটিউব প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপনের থেকে যা আয় করেন এক-চতুর্থাংশেরও কম। দেশের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন ইউটিউবার ইউটিউব বিজ্ঞাপন থেকে মাত্র ২০ শতাংশ আয় করে। বাকি ৮০% বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্র্যান্ড কোলাবেরশনের মাধ্যমে হয়।”