আর মাত্র দু’দিন, কেন্দ্রের নিয়ম পালনে ব্যর্থ হলে বন্ধ হতে পারে ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম

গাইডলাইন অনুযায়ী, আগামী ২৫ মে-র মধ্যে যদি ফেসবুক, টুইটার এবং ইনস্টাগ্রাম কর্তৃপক্ষ সেই নিয়ম পালনে ব্যর্থ হয়, তাহলে সেই পরিষেবা ভারতে বন্ধ হয়ে যাওয়া উচিত।

আর মাত্র দু'দিন, কেন্দ্রের নিয়ম পালনে ব্যর্থ হলে বন্ধ হতে পারে ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম
ছবি-টুইটার
Follow Us:
| Updated on: May 24, 2021 | 10:04 PM

নয়া দিল্লি: হাতে কি তবে আর মাত্র দু’দিন? তারপরই ভারতে পরিষেবা দেওয়া বন্ধ করে দিতে পারে ফেসবুক, টুইটার এবং ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি? এই প্রশ্নটাই এখন নেট দুনিয়ার নাগরিকদের সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে রয়েছে। কেননা গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় তথ্য এবং সম্প্রচারক মন্ত্রক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির জন্য একটি গাইডলাইন জারি করে। যেই গাইডলাইন অনুযায়ী, ২৫ মে-র মধ্যে বেশ কিছু দস্তাবেজ জমা করতে হত সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলিকে। কিন্তু সূত্রের খবর, টুইটারের অনুকরণে তৈরি ভারতীয় অ্যাপ ‘কু’ বাদে আর কোনও সংস্থা সেই নিয়ম এখনও পালন করেনি।

ফলে গাইডলাইন অনুযায়ী, আগামী ২৫ মে-র মধ্যে যদি ফেসবুক, টুইটার এবং ইনস্টাগ্রাম কর্তৃপক্ষ সেই নিয়ম পালনে ব্যর্থ হয়, তাহলে সেই পরিষেবা ভারতে বন্ধ হয়ে যাওয়া উচিত।

গাইডলাইনে কী কী নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র? সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম-সহ সমস্ত ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলিকেও একটি ছাতার তলায় একপ্রকার নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৫ ফেব্রুয়ারি জানানো হয়েছিল, প্রত্যেক সংস্থাকে তাদের ভারতে থাকা দফতরের ঠিকানা, যোগাযোগ নম্বর এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের নম্বর দিতে হবে। ভারতে থাকা কমপ্লায়েন্স কর্মকর্তাদের নিয়োগ করতে হবে, যে কোনও অভিযোগের সমাধান করতে হবে, আপত্তিকর কন্টেন্টের উপর সর্বদা নজরদারি চালাতে হবে, কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট জমা করতে হবে এবং আপত্তিকর কন্টেন্ট মুছে ফেলতে হবে।

কেন্দ্রের এই নির্দেশিকার ফলে সোশ্যাল মিডিয়ার স্বতন্ত্রতা এবং স্বাধীনতা খর্ব করবে বলে সেই সময় দাবি উঠেছিল। কেননা সরকার যদি কোনও কন্টেন্ট আপত্তিকর বলে মনে করে, তখনই তা মুছে ফেলার দাবি তুলবে। এতে বিরোধী রাজনৈতিক মতপ্রকাশও একপ্রকার বন্ধ করে দেওয়া যাবে বলে আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। যদি ২৫ মে-র মধ্যে এই নিয়ম পালনে সংস্থাগুলি ব্যর্থ হয়, সে ক্ষেত্রে তা ফৌজদারি অপরাধের শামিল হবে এবং এই সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে তদন্তও করা যেতে পারে। মোদ্দা কথায়, এই নিয়মগুলি পালন করতে হলে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির কলকাঠি কার্যত কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে তুলে দিতে হবে।

আরও পড়ুন: করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে ‘ডেঞ্জার জ়োনে’ কি কচিকাঁচারা? কী বললেন এইমসের ডিরেক্টর…

যদিও ‘কু’ নামক একটি সংস্থা বাদে এখনও পর্যন্ত বাকি কোনও সংস্থা কেন্দ্রের কাছে এমন কোনও তথ্য দেয়নি যাতে প্রমাণিত হয় যে তারা নিয়মগুলি পালন করতে চলেছে। ফলে আগামিদিনে জল কোনদিকে গড়ায়, সেদিকে নজর থাকবে নেটাগরিকদের। সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি অপেক্ষায় রয়েছে হেড কোয়ার্টার থেকে সবুজ সঙ্কেত মেলার। সেটা পাওয়া গেলে তারপরই এই নিয়মাবলী পালনের ক্ষেত্রে তারা সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে।

আরও পড়ুন: আমফানকে দশ গোল দিয়েছিল, ইয়াসকে কি ট্যাকেল করতে পারবে হাওড়া ব্রিজ?