Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Alien Mothership: সৌরজগতে ঘাঁটি গড়ে ফেলেছে এলিয়েনরা, পৃথিবীর উপরে চলছে কড়া নজরদারি

Alien Mothership In Solar System: হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞানী এবং মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের এক কর্মকর্তার লেখা একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, আমাদের সৌরজগতে একটি এলিয়েন মাদারশিপ থাকতে পারে, যারা পৃথিবী এবং অন্যান্য গ্রহের উপরে নজরদারি চালাচ্ছে।

Alien Mothership: সৌরজগতে ঘাঁটি গড়ে ফেলেছে এলিয়েনরা, পৃথিবীর উপরে চলছে কড়া নজরদারি
এলিয়েনরা কি সত্যিই নজরদারি চালাচ্ছে?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 06, 2023 | 12:07 AM

Aliens News: মহাকাশে কি সত্যিই এলিয়েন বলে কিছু আছে? এই পৃথিবীর মানুষজনের উপরে নজরদারি চালাচ্ছে তারা? সম্প্রতি হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞানী এবং মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের এক কর্মকর্তার সঙ্গে মিলে একটি গবেষণাপত্র লিখেছেন। সেই গবেষণাপত্র প্রকাশ্যে আসতেই গোটা বিশ্বকে অবাক করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, আমাদের সৌরজগতে একটি এলিয়েন মাদারশিপ (Alien Mothership) থাকতে পারে, যারা পৃথিবী এবং অন্যান্য গ্রহের উপরে নজরদারি চালাচ্ছে।

মাদারশিপ হল আসলে একটি বিরাট ঘাঁটি, যেখান থেকে ছোট-ছোট শিপ চালু করা হয়। এলিয়েনদের সেই মাদারশিপ থেকেও ছোট ছোট স্পেসশিপ পৃথিবী ও অন্য গ্রহগুলিতে পাঠানো হচ্ছে। গবেষণাপত্রটির নাম ‘Physical Constraints On Unidentified Aerial Phenomena’ বা ‘অজানা বায়বীয় ঘটনাতে শারীরিক সীমাদ্ধতা’। গত 7 মার্চ এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও এটি এখনও পর্যন্ত পিয়ারদের মাধ্যমে রিভিউ করা হয়নি। এমনকি, পেন্টাগনের অফিসিয়াল ডকুমেন্টও নয় এটি। তবে Space.com-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের সঙ্গে পার্টনারশিপেই এই গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছিল।

গবেষণাপত্রটি লিখেছেন হার্ভার্ডের বিজ্ঞানী আভি লোয়েব, যিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিদ্যা বিভাগের ফ্র্যাঙ্ক বি. বেয়ার্ড জুনিয়র বিজ্ঞানের অধ্যাপক। গবেষণায় মিস্টার আভি লোয়েবকে সঙ্গ দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের অল-ডোমেন অ্যানোমালি রেজোলিউশন অফিসের পরিচালক শন এম কির্কপ্যাট্রিক। প্রসঙ্গত, 2019 সালেই এই কির্কপ্যাট্রিক নামের মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের কর্মকর্তা শিরোনামে এসেছিলেন। সে সময় তিনি দাবি করেছিলেন ওমুয়ামুয়া (Oumuama) নামের একটি স্পেস রক পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে গিয়েছে, যা আসলে একটি এলিয়েন স্পেসশিপ।

ওমুয়ামুয়া পৃথিবীর কাছাকাছি যাওয়ার সময় অদ্ভুতভাবে তার গতি পরিবর্তন করেছিল। যদিও পরবর্তীতে দেখা যায়, ওই এলিয়েন স্পেসশিপের গতির পরিবর্তন খুবই স্বাভাবিক। এখন এই ওমুয়ামুয়া এবং অন্যান্য উল্কাপিণ্ড দেখার পরেই লোয়েব এবং কির্কপ্যাট্রিক একটি এলিয়েন মাদারশিপের সম্ভাবনা উত্থাপন করেছেন। তাঁরা দাবি করেছেন, আমাদের সৌরজগতে একটি বড় মহাকাশযান থাকতে পারে, যা পৃথিবী এবং অন্যান্য গ্রহের দিকে ছোট-ছোট মহাকাশযান পাঠাচ্ছে।

গবেষণাপত্রের ড্রাফ্টে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে যে, কীভাবে একটি UFO পদার্থবিজ্ঞানের আইনের সীমাবদ্ধতার মধ্যে কাজ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাদারশিপ থেকে রিলিজ় করা UFO সরাসরি পৃথিবীতে অবতরণ করতে পারে। অনুমান করা হয়েছে, এই ধরনের স্পেসশিপ বায়ুমন্ডলে যাওয়ার সময় যাতে জ্বলে না যায়, তাই তাদের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। তারা সৌর শক্তির মাধ্যমে ব্যাটারি চার্জ করে এবং জ্বালানির জন্য জল ব্যবহার করতে সক্ষম হয়।

তবে আভি লেয়ার এবং শন এম কির্কপ্যাট্রিকের গবেষণাপত্রটি দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। প্রথমত, কেন এই স্পেসশিপগুলি পৃথিবীতে পাঠানো হবে এবং দ্বিতীয়ত, যদি এমন স্পেসশিপ সত্যিই থাকে, তাহলে আমরা সেগুলির সম্পর্কে জানতে পারি না কেন? প্রথম প্রশ্নের উত্তরে ওই গবেষক এবং নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ দাবি করেছেন, এলিয়েনদের পৃথিবীতে আসার লক্ষ্য, বায়ুমণ্ডল সহ একটি পাথুরে গ্রহের আবিষ্কার করা এবং সে সম্পর্কে আরও জানার আগ্রহ।

দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে ওই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এই মহাকাশযানগুলি ছোট হতে পারে, যার কারণে তারা টেলিস্কোপ দেখার জন্য পর্যাপ্ত আলো প্রতিফলিত করে না। মহাকাশে কোটি কোটি উল্কাপিণ্ড রয়েছে এবং স্পেসশিপ খোঁজা আসলে খড়ের গাদায় সুচ খোঁজার মতোই।