Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

সমুদ্রের অতলে মিলল 8 কেজি ‘কালো সোনা’, দাম ভাবার বাইরে

4000 Years Old 'Black Gold': বিজ্ঞানীরা যখনই কিছু উদ্ঘাটন করেন, তখনই তা দেখে অবাক হয় বিশ্ববাসী। এমন নয় যে এই গুপ্তধন শুধু পৃথিবীর নীচেই, সমুদ্রের নীচেও এমন অনেক রহস্য রয়েছে, যার এখনও অনেক কিছুই উন্মোচিত হয়নি। সম্প্রতি সমুদ্র থেকে এমন এক রহস্য বেরিয়ে এসেছে, যা সবাইকে অবাক করেছে। ডুবুরিরা সমুদ্রের গভীর থেকে আট কেজি কালো সোনার সন্ধান পেয়েছেন।

সমুদ্রের অতলে মিলল 8 কেজি 'কালো সোনা', দাম ভাবার বাইরে
Follow Us:
| Updated on: Dec 24, 2023 | 3:35 PM

‘কালো সোনা’ শুব্দটা অনেকেই কাছেই যেমন চেনা, আবার অনেকেই ভাবছেন সোনা, তাও কি না কালো? একদমই রহস্যে ভরা এই পৃথিবীতে সব পাওয়া যায়। বিজ্ঞানীরা যখনই কিছু উদ্ঘাটন করেন, তখনই তা দেখে অবাক হয় বিশ্ববাসী। এমন নয় যে এই গুপ্তধন শুধু পৃথিবীর নীচেই, সমুদ্রের নীচেও এমন অনেক রহস্য রয়েছে, যার এখনও অনেক কিছুই উন্মোচিত হয়নি। সম্প্রতি সমুদ্র থেকে এমন এক রহস্য বেরিয়ে এসেছে, যা সবাইকে অবাক করেছে। ডুবুরিরা সমুদ্রের গভীর থেকে আট কেজি কালো সোনার সন্ধান পেয়েছেন।

এই গুপ্তধনটি ইতালির সমুদ্রতটে পাওয়া গিয়েছে। বলা হচ্ছে এটি একটি 4,000 বছরের পুরনো জাহাজের ধ্বংসাবশেষ থেকে পাওয়া গিয়েছে। অর্থাৎ কালো সোনাটিও অতটাই পুরনো। এগুলি হল অবসিডিয়ানের টুকরো, যা একটি কালো আগ্নেয়গিরির কাচ। যাকে গোটা বিশ্ব কালো সোনা নামেও চেনে। ইংরেজি ওয়েবসাইট দ্য সান-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেপলস পুলিশের আন্ডারওয়াটার ইউনিট আবিসিডিয়ানের টুকরোগুলো আবিষ্কার করেছে। আর তা দেখার পর বিশেষজ্ঞরা হতবাক।

ডুবুরিদের দল আসলে কী খুঁজতে গিয়েছিল?

এটি ইতালির ক্যাপ্রির গ্রোটা বিয়ানকার সমুদ্র গুহার কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছে। মজার বিষয় হল এই দলটি একটি জাহাজের ধ্বংসাবশেষ খুঁজতে গিয়েছিল এবং এই সময় তারা এই অবসিডিয়ান পাথরের টুকরোগুলি খুঁজে পায়। যার মোট ওজন বলা হয় আট কেজি। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ডুবুরিদের দল স্প্যানিশ জাহাজের ধ্বংসাবশেষ খুঁজতে গিয়েছিল, যা 1708 সালে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধের সময় ডুবে যায়। আর তা খুঁজতে গিয়েই চার হাজার বছরের পুরোনো এই গুপ্তধনটি পাওয়া যায়।

এই ‘কালো সোনার’ দাম কত?

এটি প্রায় 16 বিলিয়ন ডলার। আগ্নেয়গিরির লাভা খুব দ্রুত জমাট বাঁধার ফলে ওবসিডিয়ান তৈরি হয়। এর টেক্সচার সবসময় একই থাকে। জ্যোতিষীদের মতে, এই পাথরটি নেতিবাচক শক্তিকে থামানোর ও রূপান্তরিত করার ক্ষমতা রাখে। এই কারণে এটি একটি ব্যয়বহুল রত্ন।