Interactive Map Of Universe: সাধারণ মানুষের জন্য মহাবিশ্বের ইন্টার‌্যাক্টিভ মানচিত্র, দেখা যাবে 2 লাখ ছায়াপথের রং ও অবস্থান

Map Of Universe: এ এক এমনই মানচিত্র যা সাধারণ মানুষকে বিজ্ঞানীদের কাছে উপলব্ধ ডেটার সঙ্গে ইন্টার‌্যাক্ট করতে দেয়। এর মধ্যে দিয়েই সাধারণ মানুষ অপচিরিত মহাবিশ্বের মধ্যে থাকা বস্তুর সঙ্গে বিশাল দূরত্বের বিষয়টি অনুধাবন করতে পারবেন।

Interactive Map Of Universe: সাধারণ মানুষের জন্য মহাবিশ্বের ইন্টার‌্যাক্টিভ মানচিত্র, দেখা যাবে 2 লাখ ছায়াপথের রং ও অবস্থান
মহাবিশ্বের এমন মানচিত্র এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি। প্রতীকী ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 20, 2022 | 6:56 PM

মহাবিশ্বের একটি ইন্টার‌্যাক্টিভ মানচিত্র তৈরি করেছেন গবেষকরা। গত দুই দশক ধরে স্লোয়ান ডিজিটাল স্কাই সার্ভে দ্বারা সংগৃহীত তথ্যের উপরে ভিত্তি করে এই মানচিত্রটি তৈরি করা হয়েছে। এ এক এমনই মানচিত্র যা সাধারণ মানুষকে বিজ্ঞানীদের কাছে উপলব্ধ ডেটার সঙ্গে ইন্টার‌্যাক্ট করতে দেয়। এর মধ্যে দিয়েই সাধারণ মানুষ অপচিরিত মহাবিশ্বের মধ্যে থাকা বস্তুর সঙ্গে বিশাল দূরত্বের বিষয়টি অনুধাবন করতে পারবেন। মানচিত্রটির মধ্যে দুটি এমন গ্রেডিয়েন্ট রয়েছে, যেগুলি লাল থেকে নীলে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে যেটি নীচে অবস্থিত, তাতে একটি ছায়াপথ রয়েছে এবং উপরেরটিতে কোয়াসার রয়েছে। প্রায় 200,000 ছায়াপথের প্রকৃত অবস্থান রং সহযোগে এই মানচিত্রে উপস্থাপন করা হয়েছে, যেগুলি স্রেফ আকাশের ছোট্ট ছোট্ট টুকরো ছাড়া আর কিছুই নয়।

এই মানচিত্রটি অনলাইনে বিশ্বের সমস্ত প্রান্তের মানুষের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে উপলব্ধ। পাশাপাশি ব্যবহারকারীরা এটিকে পোস্টার হিসেবে ডাউনলোড করে পরবর্তীতে মুদ্রণও করতে পারেন। এবং সেখানে মানচিত্রের ওই বস্তুগুলিকে পৃথিবীর একটি সুবিধাজনক অবস্থান থেকে আকাশের অংশগুলির সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে।

মানচিত্রটির স্রষ্টা ব্রাইস মেনার্ড বলছেন, “বড় হয়ে আমি জ্যোতির্বিজ্ঞানের ছবি, নক্ষত্র, নীহারিকা এবং ছায়াপথ দ্বারা খুব অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম। এই সময়ে এসে দাঁড়িয়ে মানুষকে অনুপ্রাণিত করার জন্য একটি নতুন ধরনের ছবি তৈরি করতে চেয়েছিলাম। বিশ্বজুড়ে জ্যোতির্পদার্থবিদরা বছরের পর বছর ধরে এই ডেটা বিশ্লেষণ করছেন, যা মহাকাশে অনেক কিছুই আবিষ্কারের দিকে নিয়ে যায়।”

ব্রাইস আরও যোগ করে বললেন, “কিন্তু কেউই এমন একটি মানচিত্র তৈরি করতে সময় নেননি, যা সুন্দর, বৈজ্ঞানিকভাবে নির্ভুল এবং যাঁরা বিজ্ঞানী নন অর্থাৎ ছাপোষা সাধারণ মানুষ, তাঁদের কাছে অ্যাক্সেসিবল করা যায়। এখানে আমাদের লক্ষ্য হল, মহাবিশ্ব আসলে কী তা যেন সবাই দেখতে পান এবং বোঝারও চেষ্টা করেন।”

মানচিত্রের একেবারে নীচে দেখা যাবে আমাদের নিজস্ব মিল্কিওয়ে। ইন্টার‌্যাক্টিভ মানচিত্রের প্রতিটি একক বিন্দু একটি সম্পূর্ণ গ্যালাক্সি, যেখানে কোটি কোটি তারা এবং এগজ়োপ্ল্যানেট রয়েছে। মানচিত্রের উপরের দিকের বস্তুগুলিকে আরও ভারীভাবে লালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। উপরের সীমাটি মহাজাগতিক মাইক্রোওয়েভ পটভূমির, যা 13.7 বিলিয়ন বছর আগে বিগ ব্যাংয়ের পরেই বিকিরণ নির্গত হয়েছিল।

মেনার্ড বলেছেন, “এই মানচিত্রে আমরা একেবারে নীচের অংশে একটি স্পেক রাখতে সক্ষম হয়েছি, যা মাত্র এক পিক্সেলের। জেনে রাখা ভাল যে, আমাদের ছায়াপথ, মিল্কিওয়েতে কোটি কোটি তারা এবং গ্রহ রয়েছে। মানচিত্রেরও নীচের দিকে একটি গ্যালাক্সি বা সম্ভবত একটি গ্যালাক্সির দল দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এই মানচিত্রটি যা দেখায় তা খুব ভিন্ন স্কেলের। নীচের এই স্পেক থেকে আমরা সমগ্র মহাবিশ্ব জুড়ে ছায়াপথগুলিকে ম্যাপ করতে সক্ষম হয়েছি এবং এটি বিজ্ঞানের শক্তি সম্পর্কে অনেক বড় ধারণা দিতে পারে।”