AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Newborn Star: মহাকাশে কীভাবে তারার জন্ম হয়, ছবি তুলে দেখাল জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ

Newborn Star: নক্ষত্রটির নাম L1527, যা ধুলোর মেঘে ঘেরা। এই মেঘগুলি শুধুমাত্র ইনফ্রারেড আলোতে দেখা যায়। ছবিতে দেখা গিয়েছে, নক্ষত্রটি কেন্দ্রে রয়েছে এবং এর গঠনের সময় গ্যাস এবং ধুলো বের হচ্ছে।

Newborn Star: মহাকাশে কীভাবে তারার জন্ম হয়, ছবি তুলে দেখাল জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ
সেই নবজাতক তারা।
| Edited By: | Updated on: Nov 19, 2022 | 11:40 PM
Share

James Webb Space Telescope: মহাকাশের আরও একটি অত্যাশ্চর্য ছবি তুলে এনেছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। নাসার ওয়েব টেলিস্কোপের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি নতুন ছবি শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এটি একটি তারার জন্মের সময়কালের ছবি। পোশাকি ভাষায় এই তারাদের প্রোটোস্টার বলা হয়। মহাকাশবিজ্ঞানী মহল বলছে, তারার জন্মের এমন ছবি আগে কখনও দেখা যায়নি।

নক্ষত্রটির নাম L1527, যা ধুলোর মেঘে ঘেরা। এই মেঘগুলি শুধুমাত্র ইনফ্রারেড আলোতে দেখা যায়। ছবিতে দেখা গিয়েছে, নক্ষত্রটি কেন্দ্রে রয়েছে এবং এর গঠনের সময় গ্যাস এবং ধুলো বের হচ্ছে।

নাসা বলেছে, এই নক্ষত্রটি দেখতে অনেকটা বালিঘড়ির মতো। জেমস ওয়েব তার ইনফ্রারেড ক্যামেরা দিয়ে দেখেছে, এটি থেকে কমলা এবং নীল আলো বের হচ্ছে। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি জানিয়েছে, এই তারকার এমন ছবি আগে কখনও দেখা যায়নি। গ্যাস এবং ধূলিকণার ঘূর্ণায়মান ডিস্কের কারণে এই নক্ষত্রটি তখনও অন্ধকার জগত ছিল। নাসার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নীল অংশটি সবচেয়ে পাতলা ধুলো। কমলা আলোতে ধুলো সবচেয়ে ঘন হয়।

নাসার তরফে জানানো হয়েছে, নক্ষত্রের জন্ম এখনও সম্পন্ন হয়নি। এটি একটি প্রোটোস্টার, যার জন্ম হয়েছে মাত্র 1 মিলিয়ন বছর আগে। এই নক্ষত্রটি এতটাই নতুন যে, এটি এখনও নিজের শক্তি তৈরি করতে পারেনি। নাসার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নক্ষত্রের চারপাশের ডিস্কটি মোটামুটি আমাদের সৌরজগতের আকারের। নিউক্লিয়ার ফিউশন শুরু না হওয়া পর্যন্ত এই ডিস্ক প্রোটোস্টারে উপাদান সরবরাহ করবে। নাসা আরও যোগ করে বলছে, L1527 দেখে আমরা বুঝতে পারি কীভাবে আমাদের সূর্য প্রাথমিক পর্যায়ে গঠিত হতে পারে।

এই প্রোটোস্টারটি টরাস মলিকুলার ক্লাউডে উপস্থিত, যা পৃথিবী থেকে প্রায় 430 আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে। এটি তারার নার্সারি, যেখানে শত শত তারার জন্ম হচ্ছে। প্রসঙ্গত, জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ জানুয়ারি থেকে কাজ করছে। এটি এখনও পর্যন্ত নির্মিত সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ। অনেক নজিরবিহীন ছবি তুলে সারা বিশ্ব ও বিজ্ঞানীদের অবাক করেছে ওয়েব। এই টেলিস্কোপটি 10 বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে।