MiG-29: মাঝ আকাশ থেকে খসে পড়ল যুদ্ধবিমানের ফুয়েল ট্যাঙ্ক, কেন হল এমন দুর্ঘটনা?

MiG-29 Fighter Jet: ঘটনাটি কীভাবে ঘটল? এত বড় ফুয়েল ট্যাঙ্ক কীভাবে পড়ে যাওয়া সম্ভব? এর জন্য দায়ী কে? পাইলট? নাকি এটা কোনও রুটিন মিশনের অংশ ছিল?

MiG-29: মাঝ আকাশ থেকে খসে পড়ল যুদ্ধবিমানের ফুয়েল ট্যাঙ্ক, কেন হল এমন দুর্ঘটনা?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 23, 2023 | 8:52 PM

Latest Science News: বিপদ কি আর বলে কয়ে আসে? কখন যে কী ঘটে তা আর কে বলতে পারে। 22 মে 2023-এ একটি বড় বিপদের সম্মুখীন হতে হল বায়ুসেনাকে। এদিন একটি MiG-29 (MiG-29 ফাইটার জেট) ফাইটার পশ্চিমবঙ্গের কলাইকুন্ডা বিমান বাহিনী ঘাঁটি থেকে একটি নিয়মিত প্রশিক্ষণ মিশনে উড়েছিল। ফেরার সময় ফাইটার জেট থেকে ভেন্ট্রাল ড্রপ ট্যাঙ্ক পড়ে যায়। সব থেকে ভাল বিষয় হল ট্যাঙ্কটি এয়ারবেসের কাছে একটি জঙ্গলে পড়েছিল। এতে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। তবে ভয়ঙ্কর এক বিপদ থেকে বেঁচে গেল ভারতীয় বায়ুসেনা। কিন্তু প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে, ঘটনাটি কীভাবে ঘটল? এত বড় ফুয়েল ট্যাঙ্ক কীভাবে পড়ে যাওয়া সম্ভব? এর জন্য দায়ী কে? পাইলট? নাকি এটা কোনও রুটিন মিশনের অংশ ছিল? অথবা ফাইটার জেটের ওজন কমাতেই কী এটা করা হয়েছে? সব কিছুর উত্তর খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ভেন্ট্রাল ড্রপ ট্যাঙ্কটির কাজ কী?

যে কোনও ফাইটার জেটে অতিরিক্ত জ্বালানির জন্য ভেন্ট্রাল ড্রপ ট্যাঙ্কটি ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ কোনও জরুরী পরিস্থিতিতে যাতে সেটিকে ব্যবহার করা যায়। কিন্তু চলতি বছরের 22 মে ঘটনাটি ঘটার পর স্থানীয় প্রশাসন বিমানবাহিনী ট্যাঙ্কটিকে বিমানঘাঁটিতে নিয়ে গিয়েছে।

MiG-29 কী?

MiG-29 ফাইটার জেটের পুরো নাম Mikoyan MiG-29। একজন পাইলটই এই ফাইটার জেটটি ওড়ান। 56.10 ফুট লম্বা ফাইটার জেটে দু’টি ইঞ্জিন থাকে। যা MiG-29-কে শক্তি দেয়। এর উইং-এর বিস্তার 37.3 ফুট। উচ্চতা প্রায় 15.6 ফুট। অভ্যন্তরীণ জ্বালানী ক্ষমতা 3500 কেজি। ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে বর্তমানে 65টি MiG-29 যুদ্ধবিমান রয়েছে। এটি রাশিয়ায় তৈরি একটি মাল্টিরোল কমব্যাট ফাইটার জেট। MiG-29 প্রথম 1981 সালে তৈরি করা হয়েছিল। এরপর থেকে বিশ্বের অনেক দেশের সেনাবাহিনীরা এটিকে ব্যবহার করেন ফাইটার জেট হিসেবে। এখনও পর্যন্ত প্রায় 1600টি MiG-29 যুদ্ধবিমান তৈরি হয়েছে। যাকে MiG-29K (MiG-29K) বলা হয়। এটি বিমানবাহী জাহাজে অবতরণ করতে পারে।

2450 কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে চলে:

MiG-29 ফাইটার জেটের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় 2450 কিলোমিটার। এটি একবারে 1430 কিলোমিটার দূরত্বে যেতে পারে। কমব্যাট রেঞ্জ অর্থাৎ অস্ত্র দিয়ে এটি 700 থেকে 900 কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে। এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, কেন সব সেনাবাহিনী একেই বেছে নিয়েছে।