Ozone Layer Damage: পৃথিবীকে সুরক্ষা দিতে ধীরে-ধীরে সেরে উঠছে ওজোন স্তর, অপেক্ষা আর কয়েক দশকের
Ozone hole: ওজোন স্তরের ক্ষয় এবং গঠন পরিবর্তন গোটা বিশ্বের জন্য অবশ্যই উদ্বেগের বিষয়। গত কয়েক দশক ধরে সাক্ষর হয়েছে বহু চুক্তি, জারি হয়েছে নানা প্রোটোকল ও নিষেধাজ্ঞা। তবে বিজ্ঞানীদের উদ্বেগ অনেকটা কমিয়েছে একটি সাম্প্রতিক রিপোর্ট।
Ozoneosphere: ওজোন স্তর ভয়াবহ অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে পৃথিবীকে। আর ওজোন স্তরের ক্ষয় এবং গঠন পরিবর্তন গোটা বিশ্বের জন্য অবশ্যই উদ্বেগের বিষয়। গত কয়েক দশক ধরে সাক্ষর হয়েছে বহু চুক্তি, জারি হয়েছে নানা প্রোটোকল ও নিষেধাজ্ঞা। তবে বিজ্ঞানীদের উদ্বেগ অনেকটা কমিয়েছে একটি সাম্প্রতিক রিপোর্ট। রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ক্ষতিগ্রস্ত ওজোন স্তর ক্রমে সেরে উঠছে। আগামী 4 দশকের মধ্যে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবে তা। কী হয়েছিল ওজোন স্তরের, তা হয়তো অনেকেই জানেন না। 1980 এর দশকের গোড়ার দিকে, বিজ্ঞানীরা দেখতে পান যে অ্যান্টার্কটিকার (Antarctica) ওজোন স্তর (Ozone Layer) এতটাই পাতলা হয়ে গিয়েছে যে এটি একটি ওজোন গর্তের রূপ নিয়েছে। এই গর্তের মাধ্যমে সূর্য থেকে আসা অতিবেগুনি রশ্মি (Ultraviolet Rays) পৃথিবীর পৃষ্ঠে আসতে শুরু করে, যা এখানকার জলবায়ু (Climate) ও জীবের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এই গর্তটি 1980 সালে আবিষ্কৃত হয়। অ্যান্টার্কটিকার উপরে ওজোন স্তরের গর্তের খবর পুরো বিশ্বকে আতঙ্কিত করে। পরে গবেষণায় দেখা যায় যে এই গর্তের জন্য দায়ী এক ধরণের রাসায়নিক। যাকে বলা হয় ওজোন ক্ষয়কারী পদার্থ (Ozone Depleting Substances) অর্থাৎ ODI যেখানে ক্লোরোফ্লুরোকার্বন সবচেয়ে বেশি সৃষ্টি হয়। বায়ুমণ্ডলে ক্লোরোফ্লুরোকার্বনের অপসারণের কারণে এটি ঘটেছে।
এটির মোকাবিলা করার জন্য় মন্ট্রিল প্রোটোকল (যে সকল পদার্থ ওজোন স্তরের ক্ষয় সাধন করে, সেসবের উৎপাদন ধীরে ধীরে কমিয়ে একেবারে শূন্যে নিয়ে আসার জন্য 1987 সালে মন্ট্রিল প্রটোকল( Montreal Protocol) স্বাক্ষরিত হয়) কার্যকর হয়েছিল, যার কারণে এই গর্তটি কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। তবে সম্প্রতি জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, এই গর্ত যেভাবে কমছে, তাতে 2066 সাল নাগাদ এর অবস্থা আবার 1980-এর পর্যায়ে পৌঁছে যাবে। একটি নতুন প্রতিবেদন অনুসারে, মন্ট্রিল প্রোটোকলে নিষিদ্ধ করা পদার্থের 99 শতাংশ এখন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে, কোনও নির্গমন ছাড়াই। এই কারণে, বছরের পর বছর ওজোন স্তরের গর্তের দ্রুত পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে।
ওজোন এবং ওজোন স্তর কি ?
ওজোন(O³) হল অক্সিজেনের তিনটি পরমাণু দ্বারা গঠিত একটি অণু ওজোন গ্যাস নীলাভ বর্ণের আঁশটে গন্ধ যুক্ত। এই গ্যাস ট্রোপাস্ফিয়ারে দূষণ ঘটালেও স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে পরিবেশকে তথা জীবকুলের অস্তিত্ব রক্ষার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের ওপরে 20-30 কিমি উচ্চতায় অবস্থিত তিনটি অক্সিজেন পরমাণু দ্বারা গঠিত ওজোন গ্যাসের যে ঘন স্তর থাকে, তাকে ওজোন স্তর বা Ozoneosphere বলে।
নতুন মূল্যায়নে দেখা গিয়েছে যে বর্তমানে মন্ট্রিল প্রটোকল নীতি একইভাবে বজায় থাকলে আগামী কয়েক দশকে পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হবে। অনুমান করা হয়েছে যে, অ্যান্টার্কটিকার উপর ওজোন স্তরের অবস্থা 2066 সালে এর অবস্থা আবার 1980-এর পর্যায়ে পৌঁছে যাবে। ওজোন ক্ষয়কারী পদার্থ গুলি গ্রিনহাউস গ্যাসের-এর চেয়ে বেশি বিপজ্জনক। ফলে এই ওজোন স্তরের গর্ত ছোট হয়ে গেলে এটি বিশ্ব উষ্ণায়ন প্রতিরোধেও সাহায্য করবে।