Murder: বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য ‘চাপ’, শ্বশুরবাড়ির ‘ফন্দি’ বুঝতে পারেনি যুবতীর পরিবার
Murder: মেয়েকে খুনের অভিযোগ তুলে সঙ্গীতার মা পার্বতী রাজভর বলেন, "বিয়ের পর থেকেই মেয়েকে মারধর করত তার স্বামী। টাকা পয়সা চাইত। খেতে দিত না। আমি ভাবতাম, বুঝিয়ে যদি ঠিক হয়।"

বেলঘরিয়া: বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য চাপ। আর সেই পণ না দেওয়ায় বিয়ের ২ বছরের মাথায় যুবতীকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। গৃহবধূর মৃত্যুর পর থেকে পলাতক তাঁর স্বামী। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘরিয়ার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বছর দুয়েক আগে বেলঘরিয়ার কলাবাগানের সুজিত দের সঙ্গে বিয়ে হয় এলাকারই যুবতী সঙ্গীতা রাজভরের। তাঁদের এক শিশুসন্তান রয়েছে। সঙ্গীতার পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে পণের জন্য চাপ দিত সুজিতের পরিবার। সঙ্গীতাকে মারধর করতেন শ্বশুরাবাড়ির লোকজন।
অভিযোগ, গত শনিবার সঙ্গীতাকে নৃশংসভাবে বেধড়ক মারধর করেন স্বামী ও তাঁর শ্বশুর। মারধর করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেন ফ্যানের সঙ্গে। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে সাগরদত্ত হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে চিকিৎসকরা সঙ্গীতাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই খবরটিও পড়ুন




সঙ্গীতার পরিবার বেলঘরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত স্বামী, শ্বশুর-সহ শ্বশুরবাড়ির অন্যরা।
মেয়েকে খুনের অভিযোগ তুলে সঙ্গীতার মা পার্বতী রাজভর বলেন, “বিয়ের পর থেকেই মেয়েকে মারধর করত তার স্বামী। টাকা পয়সা চাইত। খেতে দিত না। আমি ভাবতাম, বুঝিয়ে যদি ঠিক হয়।” বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
মৃতার দিদি অনীতা রাজভর বলেন, “এর আগে মেরে আমার বোনের মুখ ফাটিয়ে দিয়েছিল। ওর স্বামী মারত। শ্বশুর-ননদ মারত। আমরা বোঝাতাম। তারপরও ঝগড়া হত। আমরা এখন ন্যায় চাই।” রাজেশ রাজভর নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হত। মারামারি হত। এদিনও মারপিট হয়। আমরা ছাড়াতে গিয়েছিলাম।”





