AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Toxic Algae In Indian ocean: ভারত মহাসাগর ও আরব সাগর গ্রাস করছে বিষাক্ত শৈবাল, কী হবে ভারতীয় উপকূলে?

Latest Science News: ভারত, পাকিস্তান, ইরান, ভিয়েতনামসহ সারা বিশ্বের সমুদ্রকে দ্রুত গ্রাস করে নিচ্ছে এক বিষাক্ত শৈবাল। এই শৈবাল সমুদ্রের 3 কোটি 14 লাখ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এর প্রভাব ভয়াবহ হতে পারে।

Toxic Algae In Indian ocean: ভারত মহাসাগর ও আরব সাগর গ্রাস করছে বিষাক্ত শৈবাল, কী হবে ভারতীয় উপকূলে?
| Edited By: | Updated on: Mar 11, 2023 | 2:45 PM
Share

Poisonous Algae: প্লাস্টিকের কারণে বিশ্বে জল দূষণের (Water Pollution) হার যেভাবে বাড়ছে তাতে বিজ্ঞানীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আর সেই সমস্য়ার সমাধান না হতেই, নতুন এক সমস্য়ার কথা তুলে ধরলেন বিজ্ঞানীরা। ভারত, পাকিস্তান, ইরান, ভিয়েতনামসহ সারা বিশ্বের সমুদ্রকে দ্রুত গ্রাস করে নিচ্ছে এক বিষাক্ত শৈবাল (Poisonous Algae)। এই শৈবাল সমুদ্রের 3 কোটি 14 লাখ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এর প্রভাব ভয়াবহ হতে পারে। তবে বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই বিষাক্ত শৈবাল ছড়ানোর পেছনে মানুষেরই ভূমিকা রয়েছে। স্যাটেলাইট থেকে সমুদ্রের (Sea) যে ছবিগুলি তোলা হয়েছে, তাতে এক ভয়াবহ দৃশ্য় চোখে পড়েছে। চিনা বিজ্ঞানীদের মতে, 2003 সাল থেকে এই বিষাক্ত শৈবালের বিস্তার 13.2 শতাংশ বেড়েছে।

চিনের সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, রাসায়নিক সার, নর্দমার জল, কলকারখানা থেকে নির্গত অজৈব পদার্থ জলের মাধ্যমে সমুদ্রে গিয়ে পড়ছে। যার কারণে শৈবাল পুষ্টি পাচ্ছে এবং ছড়িয়ে পড়ছে। সমুদ্রের জলের তাপমাত্রা বাড়ার কারণে, গত দুই দশকে শৈবালের মাত্রাও দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বিষাক্ত শৈবালের মাত্রা যত বাড়বে, ততই তার প্রভাব দেখা দেবে জলবায়ু পরিবর্তনে। শৈবাল জলে দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এই শৈবালের বিস্তার জলের রঙ নষ্ট করে দেয়। সাম্প্রতিক স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিগুলিতে দেখা গিয়েছে, এই বিষাক্ত শৈবাল হলুদ, লাল ও সবুজ রঙের হয়।

sea

মানুষের উপর এই বিষাক্ত শৈবালের প্রভাব কীরূপ?

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই বিষাক্ত শৈবালের কারণে মানুষ বিরাট ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। এমনিতেই জল দূষণের কারণে জলে বসবাসকারী বিভিন্ন জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদগুলির প্রাণ সংশয় হওয়ায় সম্ভাবনা থাকে। শুধু জলজ প্রানী নয়, সেই দূষিত জল মানুষ ও স্থলভাগের অন্যান্য প্রাণীরাও পানীয় হিসাবে ব্যবহার করলে তাদের শরীরেও নানা ধরণের বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ে। এই বিষাক্ত শৈবাল মানুষের দেহে প্রবেশ করলে, বিভিন্ন ধরণের পেটের অসুখ, ফুসফুসের ক্যান্সার দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

মাছেরও শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে:

বিজ্ঞানীদের মতে, বিষাক্ত শৈবালের দ্রুত বৃদ্ধির কারণে মাছের শ্বাস নিতে অসুবিধা হচ্ছে। শৈবালগুলি জলে বায়োটক্সিন তৈরি করে, যা বন্যজীবনের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। এই সংক্রান্ত একটি গবেষণা নেচার জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে, যাতে নাসার 7,60,000 ছবিকে তুলে ধরা হয়েছে। 2020 সালে সমুদ্রে এই শৈবালের আয়তন ছিল 8 .6 শতাংশ। যা বর্তমানে বিপুল হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। চিনা বিজ্ঞানীরা এ বিষয়ে আরও জানাচ্ছেন যে, এটি বিশ্বব্যাপী একটি বড় পরিবেশগত সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।