Glass Frog: বিপদ এলেই ভ্যানিশ! কোস্টারিকায় এমন ‘স্বচ্ছ’ ব্যাঙের দেখা মিলতেই তাজ্জব বিজ্ঞানীরাও
Latest Science News: আপনি জেনে অবাক হবেন যে এই ব্যাঙগুলি তাদের ত্বককে স্বচ্ছ রাখতে পারে, ফলে তাদের স্পষ্ট দেখা যায় না। এর নাম দেওয়া হয়েছে গ্লাস ফ্রগ।

Latest Science News: বিজ্ঞানীরা প্রকৃতিতে এমন সব প্রাণীর সন্ধান করেন যা অত্যন্ত বিরল। এবার এমনই একটি অদৃশ্য প্রজাতির ব্যাঙের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। অর্থাৎ এমন একটি প্রজাতির ব্যাঙ রয়েছে যা নিজে থেকেই অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে। এটি কোস্টারিকার রেইনফরেস্টে পাওয়া যায়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর চামড়া, মাংস এবং শরীরের অন্যান্য অংশ স্বচ্ছ। আপনি জেনে অবাক হবেন যে এই ব্যাঙগুলি তাদের ত্বককে স্বচ্ছ রাখতে পারে, ফলে তাদের স্পষ্ট দেখা যায় না। এর নাম দেওয়া হয়েছে গ্লাস ফ্রগ। মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রি ইন নিউ ইয়র্কের গবেষক জেসি ডেলিয়া বলেন, ‘ব্যাঙটিকে উল্টে রাখলে খালি চোখে এর হৃদপিণ্ডের কার্যক্রম দেখতে পাবেন। সরাসরি এর ত্বকের নিচে এবং আরও ভেতরের মাংসপেশি দেখতে পাবেন। ব্যাঙটির শরীরের বেশির ভাগ অংশই স্বচ্ছ। ডেলিয়া ও কার্লোস তাবোয়াদার গবেষণার ওপর ভিত্তি করে গ্লাস ফ্রগের এই শারীরবৃত্তিক কার্যক্রমের রহস্য উন্মোচন করা হয়েছে।”
বিজ্ঞানীরা বলছেন যে, তাদের মধ্য়ে এক বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে। যখন তারা কোনও বিপদ অনুভব করে তখন তারা নিজেদেরকে স্বচ্ছ করে তোলে যাতে আক্রমণকারী তাদের দেখতে না পারে। গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যে এটি পৃথিবীর একটি বিরলতম প্রাণী। তাদের শরীর এমন একটি পদার্থ দিয়ে তৈরি যার মধ্যে দিয়ে আলো চলাচল করতে পারে। ফলে তাদের সহজে দেখা যায় না।
সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, তারা যখন ঘুমায় তখন তাদের লোহিত রক্তকণিকা লিভারে জমা হয়। তাই তাদের শরীরের বাকি তরল স্বচ্ছ হয়ে যায়। অর্থাৎ, যখন তারা বিশ্রাম নেয় তখন তাদের দেখতে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। আলো এবং আল্ট্রাসাউন্ড ইমেজিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে, গবেষকরা এই রহস্যটি আবিষ্কার করেছেন।
ডিউক ইউনিভার্সিটির জীববিজ্ঞানী এবং অধ্যয়নের সহ-লেখক জুনজি ইয়াও বলেন, “যখন তারা স্বচ্ছ হয়, তখন এটি তাদের নিরাপত্তায় সাহায্য় করে। সাধারণত উজ্জ্বল সবুজ পাতার ওপর ঘুমিয়ে দিন কাটায় গ্লাস ব্যাঙ। শরীর 61 শতাংশ পর্যন্ত স্বচ্ছ করে তুলতে পারে তারা। এভাবে সবুজ পাতার সঙ্গে মিশে থাকায় শিকারিরা এদের শনাক্ত করতে পারে না।”
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির জীববিজ্ঞানী রিচার্ড হোয়াইট বলেছেন, “শুধুমাত্র কিছু প্রাণী,তারমধ্য়ে বেশিরভাগই সমুদ্রিক প্রাণী প্রাকৃতিকভাবে স্বচ্ছ। তবে স্থলজ প্রাণীদের মধ্যে স্বচ্ছতা অত্যন্ত বিরল। গ্লাস ব্যাঙগুলি বেঁচে থাকার জন্য হিমোগ্লোবিনের উপর নির্ভর করে। এটি রক্তে উপস্থিত একটি প্রোটিন যা লোহিত রক্তকণিকায় পাওয়া যায়। ফলে তাদের স্বচ্ছ দেখায়।”





