Skeleton In China: শূকরের মতো শরীর, হাতির মতো নাক আর গরুর মতো লেজ; অদ্ভুতদর্শন প্রাণীর কঙ্কাল মিলল চিনে
Tapir Animal: K10 নামের একটি কবর থেকে দুই মিটারেরও বেশি দৈর্ঘ্যের একটি বড় প্রাণীর সম্পূর্ণ কঙ্কাল রয়েছে। এর মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছে। তাতে দুটি দাঁত ছিল। এটির একটি হাতির মতো নাক এবং গন্ডারের মতো ভ্রু ছিল।
গোটা শরীরটা শূকরের মতো। কিন্তু নাক মুখ একেবারে একটি হাতির মতো। ভ্রু গন্ডারের মতো এবং লেজ গরুর মতো। মনে মনে ভাবছেন তো, এ আবার কেমন প্রাণী? এমনই একটি প্রাণীর কঙ্কাল খুঁজে পেয়েছেন পুরাতত্ত্ববিদরা। চিনে এক অনন্য প্রাণীর কঙ্কাল পাওয়া গিয়েছে, আর সেই প্রাণীর চেহারা দেখে হতবাক তাঁরাও। প্রাণীটির নাম টাপির। প্রানীটি আজ থেকে 2,000 বছর আগে উত্তর-পশ্চিম চিনের শানসি প্রদেশের জিয়ান শহরে পাওয়া গিয়েছিল। জিয়ানের হান রাজবংশের রাজকীয় সমাধিতে এর কঙ্কাল পাওয়া গিয়েছে। সোম থেকে বুধবার শিয়ানে অনুষ্ঠিত চতুর্থ চিনা প্রত্নতাত্ত্বিক সম্মেলনে (Chinese Archaeological Conference), পুরাতত্ত্ববিদরা পশ্চিমী হান রাজবংশের সম্রাট ওয়েন্ডির সমাধিতে পাওয়া প্রাণীর কঙ্কাল সম্পর্কে এই তথ্য দিয়েছেন।
প্রত্নতাত্ত্বিকদের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, যে 23টি প্রাণীর কবর খোঁড়া হয়েছিল, তার মধ্যে 11টি কবর থেকে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর কঙ্কাল বেরিয়ে এসেছে। যার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত প্রাণীটি হল টাপির।
কী অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে এই কঙ্কাল?
K10 নামের একটি কবর থেকে দুই মিটারেরও বেশি দৈর্ঘ্যের একটি বড় প্রাণীর সম্পূর্ণ কঙ্কাল রয়েছে। এর মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছে। তাতে দুটি দাঁত ছিল। এটির একটি হাতির মতো নাক এবং গন্ডারের মতো ভ্রু ছিল। প্রাণী প্রত্নতাত্ত্বিক হু সংমেই জানান, তাপিরের অনেকগুলি অনন্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা একে অন্য সব প্রাণীদের থেকে আলাদা করে। এবার সব কিছু গবেষণার পরেই জানা যাবে। এটি মালয়েশিয়া, সুমাত্রা এবং থাইল্যান্ডেও থাকত। প্রায় 2000 বছর আগে চিন থেকে টাপিররা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। হান রাজবংশের সময়কার এই কঙ্কাল থেকে এও বোঝা যাচ্ছে, যে সেই সময়ে উত্তর চিনে এদের উপস্থিত ছিল।
পৃথিবীতে এখনও পাঁচ প্রজাতির টাপির বেঁচে আছে-
আমেরিকার জেনেভা চিড়িয়াখানার দাবি, পৃথিবীতে এখনও পাঁচ প্রজাতির টাপির বেঁচে আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল মালয় টাপির বা এশিয়ান টাপির। এরা 6 থেকে 8 ফুট লম্বা হয়। তাদের ওজনও প্রায় 250 কেজি। এগুলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে বেশি দেখা যেত। তবে তাদের সংখ্যাও ধীরে ধীরে কমে আসছে। বিলুপ্তির আশঙ্কায় রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।