সৌর ঝড়ের তাণ্ডবে পৃথিবীর কতটা ক্ষতি হতে পারে জানেন?
এই ঝড়ে মানুষের কোন ক্ষতি হয় না। কিন্তু ঝড়ের প্রভাবে বিদ্যুৎ ও স্যাটেলাইট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে এবং বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে তারা বলছেন।
পৃথিবী ধ্বংসের আগাম বার্তা! সৌর ঝড়ের তাণ্ডবে ঘুম উড়েছে বিজ্ঞানীদের।সম্ভবত আজই পৃতিবীর উপর আছড়ে পড়তে পারে বিশালাকার সৌর ঝড়। প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১৬ লক্ষ কিমি বেগে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে মহাপ্রলয়। নাসা সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার পৃথিবীর আছড়ে পড়তে পারেন অই সৌর ঝড়। যার জেরে পৃথিবীর চুম্বক ক্ষেত্রের উপর দারুণ প্রভাব পড়তে পারে। সৌর ঝড়ের কারণে পৃথিবীর ম্যাগনেটোস্ফিয়ার ক্ষতিগ্রস্তও হতে পারে।
প্রায় ৪ লক্ষ বছর আগে, সূর্যের তিন-চতুর্থাংশ অংশ কিরণ পৃথিবীর বুকে এসে আলোকিত করে। সূর্যের পৃষ্ঠে এক বিস্ফোরণের পর একটি শক্তিশালী সৌর ঝড় পৃথিবীর বুকে আঘাত করেছে। বিজ্ঞানীরা বলছে এই ঝড়ের সঙ্গে বিপুল পরিমান সৌর কণা প্রতি সেকেন্ডে ১৬০০ কিলোমিটার বেগে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে। এই ঝড়ে মানুষের কোন ক্ষতি হয় না। কিন্তু ঝড়ের প্রভাবে বিদ্যুৎ ও স্যাটেলাইট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে এবং বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে তারা বলছেন। নাসার বিজ্ঞানীদের একটি দল ২০১৬ সালে ২৩ মে নেচার পত্রিকায় প্রথম এই সৌর ঝড় নিয়ে গবেষণা। গত ৩ জুলাই, প্রথম এই ভয়ংকর সৌর ঝড়ের ইঙ্গিত মেলে। সেকেন্ডে প্রায় ৫০০ কিমি গতিতে এগিয়ে আসছে সৌর ঝড়।
বিজ্ঞানীরা দাবি করেন, ঘুম থেকে জেগে উঠেছে সূর্য। সেই সময় কয়েক লক্ষ টন প্রচণ্ড গরম গ্যাস সূর্য থেকে ছড়িয়ে পড়ে। সৌর ঝড়ের সময় সূর্য থেকে ছড়িয়ে পড়া গরম গ্যাসে ইলেকট্রিক চার্জ যুক্ত গ্যাস রয়েছে যেখান থেকে সৃষ্টি হয় চৌম্বকীয় তরঙ্গ। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, এর জেরে বিশ্বের বেতার, জিপিএসের উপর প্রভাব পড়তে পারে। কিন্তু এর ফলে সরাসরি পৃথিবীতে কোনো প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা কম বলেই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ২০২০ সালে সূর্য এর ১১ বছরের নতুন সাইকেল শুরু করে। এই সাইকেল ২০২৫ সালে চরম পর্যায়ে পৌঁছবে। পৃথিবীতে শেষ সৌর ঝড় আঘাত হেনেছিল ১৭ বছর আগে।