Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Undersea World in Space: অভূতপূর্ব কসমিক রিফের ছবি শেয়ার করেছে নাসা, পৃথিবী থেকে দূরত্ব ১ লক্ষ ৬০ হাজার আলোকবর্ষ

নাসার হাব্বল স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে এই কসমিক রিফের ছবি ধরা পড়েছে।

Undersea World in Space: অভূতপূর্ব কসমিক রিফের ছবি শেয়ার করেছে নাসা, পৃথিবী থেকে দূরত্ব ১ লক্ষ ৬০ হাজার আলোকবর্ষ
এই ছবিই ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছে নাসা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 22, 2021 | 6:55 PM

সমুদ্রের তলদেশের ছবি দেখেছেন তো? নাম না জানা রঙিন সব মাছ, কতশত অজানা উদ্ভিদ আর নানা ধরনের নুড়ি, পাথর, বোল্ডার থাকে সমুদ্রের তলদেশে। এক অদ্ভুত সুন্দর রঙিন ছবি ভেসে ওঠে চোখের সামনে। তেমনই এক রঙিন ছবি শেয়ার করেছে নাসা। তবে এই ছবি সমুদ্রের তলদেশের নয়। বরং এই ছবি তোলা হয়েছে মহাকাশের গভীর অংশে। নাম দেওয়া হয়েছে আন্ডার সি ওয়ার্ল্ড ইন স্পেস। আসলে এই ছবিতে নজরে এসেছে একটি কসমিক রিফ। আর এখানে দুটো ভিন্ন নিহারীকা বা নেবুলা রয়েছে।

প্রথম নেবুলার ক্ষেত্রে লাল এবং নীল রঙের আভা দেখা গিয়েছে। ব্যাকগ্রাউন্ডে রয়েছে কালো রঙ। সেখানে ডটেজ ফিচারে স্পার্কলিং লাইটও দেখা গিয়েছে। মিলি ওয়ে বা আকাশগঙ্গা ছায়াপথের একটি স্যাটেলাইট গ্যালাক্সি হল Magellanic Cloud। বৃহৎ আকারের এই মেঘের মধ্যে ওই ডটেড স্পার্কলিং লাইট দিয়ে বিস্তৃত নক্ষত্র তৈরির ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। দ্বিতীয় নেবুলা বা নীহারিকার ক্ষেত্রে নীলচে আভা দেখা গিয়েছে। এই পুরো গঠনকেই বলা হচ্ছে কসমিক রিফ। এই কসমিক রিফের স্প্যান বা বিস্তার ৬০০ আলোকবর্ষ। মার্কিন স্পেস এজেন্সি নাসা জানিয়েছে, পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব ১ লক্ষ ৬০ হাজার আলোকবর্ষ।

View this post on Instagram

A post shared by NASA (@nasa)

নাসার হাব্বল স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে এই কসমিক রিফের ছবি ধরা পড়েছে। গত বছর এপ্রিল মাসে অর্থাৎ ২০২০ সালে টেলিস্কোপের ৩০তম বর্ষ পালনের জন্য এই ছবি শেয়ার করেছিল নাসার হাব্বল স্পেস টেলিস্কোপ। সুন্দরের সঙ্গে রহস্যের এক অদ্ভুত মিশেল দেখা গিয়েছে এই ছবিতে। নক্ষত্রের জন্মের সময় মহাকাশে সৌন্দর্যের সঙ্গে রহস্যের যে মিশেল দেখা যায়, সেটাই এই ছবিতে ধরা পড়েছে। নাসা জানিয়েছে, কসমিক রিফের এই ছবিতে আসলে আন্ডারসি বা সমুদ্রের তলদেশের মতো দৃশ্য দেখা গিয়েছে।

এই ছবিতে লালচে আভার যে অঞ্চল দেখা গিয়েছে, তার মধ্যস্থলে অসংখ্য উজ্জ্বল নক্ষত্র দেখা গিয়েছে। এর আকার আয়তন আমাদের সূর্যের তুলনায় ১০ থেকে ২০ গুণ বেশি। অন্যদিকে নীলচে নীহারিকায় সলিটারি স্টার দেখা গিয়েছে যা সূর্যের থেকে ১৫ গুণ বেশি বড় এবং ২ লক্ষ গুণ বেশি উজ্জ্বল। এই ম্যামথ স্টার বা সুবিশাল নক্ষত্র একটি নীলচে গ্যাস তৈরি করে। এর মাধ্যমে একগুচ্ছ বিচ্ছরণও হয়। নাসার অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম পেজে এই ছবি দেখে অভিভূত হয়েছেন সকলেই।

আরও পড়ুন- Nuclear Reactor On Moon: চাঁদে পারমাণবিক চুল্লি পাঠাতে নতুন ভাবনাচিন্তার সন্ধানে নাসা

আরও পড়ুন- NASA DART Mission: আগামী ২৪ নভেম্বর গ্রহাণু ধ্বংসের প্ল্যানেটারি ডিফেন্স মিশন লঞ্চ করবে নাসা

আরও পড়ুন- Mysterious Comet: ধূমকেতু না কি চলন্ত আগ্নেয়গিরি! মহাকাশে এর আগে এত উজ্জ্বল ধূমকেতু আর দেখা যায় নি…