Gauge detection: কে আপনাকে দেখছে, তা না দেখেই বুঝে যান? সিক্সথ সেন্স নয়, রয়েছে অন্য বিজ্ঞান
Science Behind Gauge Detection: ধরুন বাড়িতে শুয়ে শুয়ে ফোন ঘাঁটছেন, বালিশের উপর কোনও পোকা বা পিঁপড়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে। আপনি প্রথমে না দেখেও ঠিক বুঝে যান কিছু একটা নড়ছে। এমন ঘটনা অনেকের সঙ্গেই ঘটে চলেছে প্রতিনিয়ত। কখনও কি ভেবে দেখেছেন, এটা কোনও সিক্সথ সেন্স নয়। এর পিছনেও রয়েছে এক বিজ্ঞান।
Gauge detection Cause: ট্রেনে বা বাসে বসে আছেন। নিজের মনে ফোন ঘাঁটছেন কিংবা পাশের জনের সঙ্গে কথা বলছেন। কিন্তু হঠাৎই আপনি ঘাড় ঘুরিয়ে বাম দিকে বা ডান দিকে তাকালেন। আপনার মনে হল, কেউ আপনাকে দেখছে। আপনি কিন্তু চোখে দেখেননি। কিন্তু উপলব্ধি করেছেন। অনেকে অস্বস্তিতে পড়ে যান এমনটা হলে। আবার ধরুন বাড়িতে শুয়ে শুয়ে ফোন ঘাঁটছেন, বালিশের উপর কোনও পোকা বা পিঁপড়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে। আপনি প্রথমে না দেখেও ঠিক বুঝে যান কিছু একটা নড়ছে। এমন ঘটনা অনেকের সঙ্গেই ঘটে চলেছে প্রতিনিয়ত। কখনও কি ভেবে দেখেছেন, এটা কোনও সিক্সথ সেন্স (sixth sense) নয়। এর পিছনেও রয়েছে এক বিজ্ঞান। যার মাধ্যমে চোখে না দেখেও আপনি কোনও জিনিসের গতিবিধি উপলব্ধি করতে পারেন।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, সিক্সথ সেন্সের কারণে এমনটা হয় না। আর পিছনে রয়েছে এক বিরাট বিজ্ঞান। মানুষের মস্তিষ্কের 10টি অংশ থাকে। যা মানুষের মাথার কোনও না কোনও সাইটের সঙ্গে যুক্ত থাকে। এর মধ্যে ভিজ্যুয়াল কর্টেক্স প্রধান। এটি মস্তিষ্কের পিছনের একটি বড় অংশ, যা মানুষকে দেখতে সাহায্য করে। অ্যামিগডালাও একই ধরনের কাজ করে, তবে এর প্রধান কাজ হল দেখা, অর্থাৎ যে কোনও কিছুকে সনাক্ত করা। অর্থাৎ যখনই আপনার কেউকে দেখলে বিপজ্জনক বলে মনে হয়, তখনই আপনি সতর্ক হয়ে যান। একে দৃষ্টিশক্তি সনাক্তকরণ বলা হয়। এমনকি শিশুরাও চোখের এমন কার্যকলাপ বুঝতে পারে।
দৃষ্টিশক্তি সনাক্তকরণ শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে নয়, নবজাতকদের মধ্যেও দেখা যায়। ইনফ্যান্ট বিহেভিয়ার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইন সায়েন্স ডাইরেক্ট (Infant Behavior and Development in Science Direct)-এর একটি গবেষণায়, চোখের নড়াচড়া বা দৃষ্টিশক্তি সনাক্তকরণকে মানব বিকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে। যা 5 দিন বয়সী শিশুদের মধ্যে দেখা যায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, তারাও চোখের নড়াচড়া বুঝতে পারে।
এখন প্রশ্ন আসে আপনি না দেখেই বুঝে যান কীভাবে যে, কেউ আপনাকে দেখছে?
প্রায়শই যখন কেউ তাকায়, আপনি না দেখেই জানতে পেরে যান। এই সম্পূর্ণ বিষয়টির পিছনে একটি বিজ্ঞান রয়েছে। মানুষের চোখ অন্যান্য পশু-পাখিদের থেকে একেবারেই আলাদা। স্ক্লেরা (sclera) হল চোখের মণির চারপাশের সাদা অংশ, যা অনেক বড়। অর্থাৎ আপনি সোজা তাকিয়ে থাকলেও চারপাশ ভালভাবেই দেখতে পান। তাই আশেপাশে কিছু ঘটলে, সেদিকে না তাকিয়েই বুঝে ফেলেন যে, কী ঘটছে।
2013 সালে কারেন্ট বায়োলজিতে (Current Biology) প্রকাশিত একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, মানুষ ভয় পান, তাই তারা ধরে নেন যে, কেউ তাদের দেখছে। হিউম্যানস হ্যাভ এক্সপেকটেশনস দ্যাট গেজ ইজ ডাইরেক্টেড টুওয়ার্ডস দ্যাম নামে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, “কেউ আমাদের দেখছে এটা জানার মধ্যে কোনও ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় বা সিক্সথ সেন্স নেই, বরং এটি মানুষের ভয়। আশেপাশে কেউ থাকলে আমরা ধরে নিই যে, সে নিশ্চয়ই আমাদের দেখছে, এবং প্রায়শই তা সত্যি হয়ে যায়।”