পাখির মত দেখতে ২ ফুটের ডায়নোসর, নিশুতি রাতের ভয়ঙ্কর শিকারি ছিল এরা, শ্রবণশক্তি পেঁচার থেকেও প্রখর
দৃষ্টিশক্তি এবং শ্রবণশক্তি, দু'ক্ষেত্রেই পেঁচাদের পিছনে ফেলেছি এই ডায়নোসররা।
ডায়নোসর নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতূহল বরাবরই একটু বেশি। বিশেষ করে সিনেমার পর্দায় ডায়নোসরদের দেখার পর থেকে কৌতূহলের পারদ কয়েক গুণ চড়ে গিয়েছে। আর সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা যে তথ্য প্রকাশ করেছেন, তা শুনে তো একদম পিলে চমকে যাওয়ার জোগাড়। পাখির মতো দেখতে এক ধরণের ছোট ডায়নোসরের হদিশ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। জানা গিয়েছে, রাতের অন্ধকারে শিকার করতে নাকি সাংঘাতিক পটু ছিল এরা। এখানেই শেষ নয়। চমক রয়েছে আরও অনেক। বিজ্ঞানীরা নান পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বলছেন, পেঁচার থেকেও নাকি বেশি শ্রবণক্ষমতা ছিল এইসব ডায়নোসরদের।
তিনপেয়ে এই ডায়নোসরদের উচ্চতা মেরেকেটে ২ ফুট হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তবে দৈর্ঘ্যে ছোট হলেও নিশুতি রাতে এরা ছিল ভয়ঙ্কর শিকারি। কার্নিভোরাস অর্থাৎ মাংসাশী গোত্রের এই ডায়নোসরাস আসলে Shuvuuia প্রজাতির। এদের ছিল বড় বড় চোখে আর লম্বাটে cochlea। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই cochlea হল কানের অভ্যন্তরীণ অংশে থাকা এমন একটি অংশ যার মধ্যেই থাকে প্রখর শ্রবণশক্তির আসল চাবিকাঠি। অন্ধকারে পেঁচার থেকে বেশি ভাল শুনতে পারার পাশাপাশি দেখতেও পেত এই প্রজাতির ডায়নোসররা। আজ থেকে প্রায় ৭৫ কিংবা ৮১ মিলিয়ন বছর আগে (ক্রিটেশাস যুগের প্রায় শেষভাগে) পৃথিবীতে এই ধরণের ডায়নোসরদের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। আজকের গোবি মরুভূমি অঞ্চলে (মঙ্গোলিয়া) ছিল এদের বাসস্থান।
আরও পড়ুন- মঙ্গলের বুকে প্রথমবার হেলিকপ্টার Ingenuity-র উড়ানের শব্দ রেকর্ড করল রোভার পারসিভের্যান্স
Shuvuuia প্রজাতির এই ছোট পাখির মতো দেখতে তিনপেয়ে ডায়নোসরাসদের সঙ্গে ভীষণদর্শন এবং ভয়ঙ্কর টাইরানোসরাস রেক্স বা টি-রেক্সদের বেশ কিছু মিল খুঁজে পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত সায়েন্স জার্নালে Shuvuuia- দের সম্পর্কে এইসব তথ্য প্রকাশ হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে চোখের হাড়ের ফসিল বা জীবাশ্ম এবং কানের অ্যানাটমির সিটি স্ক্যান করে Shuvuuia প্রজাতির এই ডায়নোসরদের খুলির ডিজিটাল থ্রি-ডি মডেল তৈরি করা হয়েছে। গবেষকরা এও বলেছেন, চোখের তীক্ষ্ণ দৃষ্টিশক্তি এবং প্রখর শ্রবণশক্তির কারণেই এই ডায়নোসরার রাতেরবেলায় ভয়ঙ্কর শিকারি হয়ে উঠতে পেরেছিল।