ডিজিটাল বিপ্লবে টাইপিংয়ের অভ্যাসে বদল, ভয়েস সার্চের দিকে এগোচ্ছে বিশ্ব

ইংরাজির বদলে আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার বাড়ছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, লেখার বদলে ভয়েস সার্চেরও (Voice Search) ব্যবহার চোখে পড়ার মতো।

ডিজিটাল বিপ্লবে টাইপিংয়ের অভ্যাসে বদল, ভয়েস সার্চের দিকে এগোচ্ছে বিশ্ব
২০১৭ থেকে এই পর্যন্ত, বাজার চলতি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রায় ৬৮ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারিই মাতৃভাষাতেই ডিজিটাল কনটেন্ট (Digital Content) খুঁজছে।
Follow Us:
| Updated on: Nov 23, 2020 | 8:13 AM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: টাইপিং না ভয়েস সার্চ (Voice Search), বেশি স্বাছন্দ্য বোধ করেন কীসে? বিশেষ করে যখন গুগল সার্চ করার কথা আসে, আপনি টাইপ করে সার্চ রেজাল্ট পেতে চান নাকি সহজেই আপনার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেয় ‘গুগল অ্যাসিসটেন্ট’? আপনার পছন্দের ভাষাই বা কী? বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি,  তথ্যানুসন্ধানে কোন ভাষাকে এগিয়ে রাখবেন?

এমনই একাধিক প্রশ্নের উত্তরের সন্ধানে মোবাইল মার্কেটিং অ্যাসোসিয়েশন (Mobile Marketing Association) এবং গ্রুপএম (GroupM) একটি গবেষণা করে।  সম্প্রতি যার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে মোবাইল ব্যবহারকারিদের অভ্যাসগত পরিবর্তনের স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে। লেখার অভ্যাসের বদল হচ্ছে। একই সঙ্গে সার্চ-এ ইংরেজির বদলে আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার বাড়ছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, লেখার বদলে ভয়েস সার্চেরও ব্যবহার চোখে পড়ার মতো। রিপোর্টে বলা হয়েছে, চলতি বছরের শেষেই ভারত এক বিরাট তথ্যভাণ্ডারে পরিণত হবে, যেখানে ৭৫ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারিই হবেন আঞ্চলিক ভাষার তথ্য গ্রহীতা।

এলেক্সা (Alexa), সিরি (Apple Siri), মাইক্রোসফ্ট কোর্টানা (Microsoft Cortana), গুগল অ্যাসিসটেন্ট (Google Assistant) ভয়েস সার্চকে আরও সহজ করেছে। এতে যেমন লেখার ভুল কমানো যাচ্ছে একই সঙ্গে নিজের ভাষায় সহজে তথ্য খুঁজে পাওয়াও সম্ভব হচ্ছে। ২০১৭ থেকে এই পর্যন্ত, বাজার চলতি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রায় ৬৮ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারিই মাতৃভাষাতেই ডিজিটাল কনটেন্ট (Digital Content) খুঁজছেন। এর চাহিদা এবং গ্রহণযোগ্যতা এতোই বেশি যে ২০১৯ সালে ‘বোলো’ (Bolo) নামের একটি অ্যাপ্লিকেশনও বাজারে নিয়ে আসে গুগল (Google)। এতে বাচ্চাদের পড়ার গুণগত মানোন্নয়নও হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট মহলের আশা, আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে ভারতের ৭০ কোটি স্মার্টফোন ব্যবহারকারির মধ্যে ভয়েস ও অডিয়ো নির্ভরতা আরও বাড়বে। যা শুধুমাত্র প্রযুক্তিগত বিপ্লবই ঘটাবে না, সম্ভবনা থাকবে ব্যবসায়িক সমৃদ্ধরও।

ভয়েস সার্চ পরিসংখ্যান:

১. ২০২০ সালের মধ্যে তথ্যানুসন্ধানের ৫০ শতাংশই হবে ভয়েস সার্চ।

২. ২০২২ সালের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত রাষ্ট্রের ৫৫ শতাংশ বাড়িতেই থাকবে স্মার্ট স্পিকার।

৩. বর্তমানে মোবাইলে ২০ শতাংশ তথ্যানুসন্ধান হয় ভয়েস সার্চে।

৪. আমেরিকায় ৪ কোটি মানুষ স্মার্ট স্পিকার ব্যবহার করেন।

৫. আঞ্চলিক ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক তথ্যানুসন্ধানের জন্য ৫৮ শতাংশ মানুষ ভয়েস সার্চের সাহায্য নেয়।

৬. যারা ভয়েস সার্চ ডিভাইস ব্যবহার করেন, তাঁদের ৭২ শতাংশের কাছে এটা ইতিমধ্যেই নিত্য প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে।

৭. ৪০ শতাংশের ওপরে স্মার্ট স্পিকার ব্যবহারকারি অনলাইন কেনাকাটির জন্য এটি ব্যবহার করে।

অ্যাডোবের পর্যালোচনা:

লোকেশন ভিত্তিক সার্চে ভয়েস সার্চের ব্যবহার বেড়েছে প্রায় ৩ গুণ। বিশেষ করে মিউজিক (৭০%), আবহাওয়া (৬৪%) এবং মজার মজার তথ্যানুসন্ধানে (৫৪%) ভয়েস সার্চের ব্যবহার তুলনামূলক বেশি। খবর জানার ক্ষেত্রে ভয়েস সার্চ হয়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।

স্ট্যাটিস্টা প্রকাশিত তথ্য:

গোটা বিশ্বের ৩১ শতাংশ মোবাইল ব্যবহারকারি সপ্তাহে অন্তত একবার হলেও ভয়েস সার্চ করে। টিনেজারদের মধ্যে ভয়েস সার্চের প্রবণতা দেখা গিয়েছে সর্বাধিক (৫০ শতাংশ)। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন-এর (SEO) ক্ষেত্রেও ভয়েস সার্চ কার্যকরী, এমনই মত বিশেষজ্ঞদের।