Viral Video: অন্যের পেট ভরাতে যেন নিজের খিদের খেয়াল নেই, ডেলিভারি বয়ের সংগ্রাম চোখে জল এনে দেবে…

Viral Video Today: ছোট্ট ভিডিয়োটি শেয়ার করেছেন IAS অফিসার অবনীশ সরন। দেখা গিয়েছে, সময়ের অভাবে একজন ডেলিভারি বয়কে কত দ্রুত খাবার খেতে হচ্ছে। প্লাস্টিকের একটা প্যাকেট থেকে তিনি এমন ভাবেই খাবার খাচ্ছেন, যেন মনে হচ্ছে সময়ের অভাবে ওই প্যাকেটে মুখ ঢুকিয়ে নিলে কিছুটা সময় বেঁচে যেত।

Viral Video: অন্যের পেট ভরাতে যেন নিজের খিদের খেয়াল নেই, ডেলিভারি বয়ের সংগ্রাম চোখে জল এনে দেবে...
ওদের কথাও ভাবুন একটু...
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 22, 2023 | 8:10 PM

Latest Viral Video: দিনরাত কঠিন কসরত। মাথার ঘাম পায়ে ছুটছে। তারপরেও একটু এদিক থেকে এদিক হলেই কাস্টমারদের কাছে বকুনি। Zomato এবং Swiggy-র ডেলিভারি বয়দের (Food Delivery Boy) যে কী পরিমাণ পরিশ্রম করতে হয়, তা ধারণারও বাইরে। কতটা কঠোর পরিশ্রমের পর তাঁদের অর্থ উপার্জন করেন তাঁরা, বাড়িতে বসে কল্পনাও করতে পারি না আমরা। মধ্যরাত রাত হোক বা প্রবল বর্ষণ, প্রখর রোদ হোক বা কনকনে ঠান্ডা, কাস্টমারের বাড়িতে যথাসময়ে খাবার পৌঁছে দিতে হয় তাঁদের। দেরি হলেই তীব্র ভর্ৎসনা। সামান্য ভুল হলে তাঁদের টাকাও কেটে নেওয়া হয়। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছি আমরা, তাঁরা কখন খাওয়াদাওয়া (Eating) করেন? কখন কোলের সন্তানকে জড়িয়ে ধরে একটু আদর করেন বা কখন অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর একটু যত্ন নেন?

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানেই ধরা পড়েছে চোখে জল আনার মতো একটি দৃশ্য। ছোট্ট ভিডিয়োটি শেয়ার করেছেন IAS অফিসার অবনীশ সরন। দেখা গিয়েছে, সময়ের অভাবে একজন ডেলিভারি বয়কে কত দ্রুত খাবার খেতে হচ্ছে। প্লাস্টিকের একটা প্যাকেট থেকে তিনি এমন ভাবেই খাবার খাচ্ছেন, যেন মনে হচ্ছে সময়ের অভাবে ওই প্যাকেটে মুখ ঢুকিয়ে নিলে কিছুটা সময় বেঁচে যেত। সম্ভবত, কোথাও খাবার ডেলিভারি করতে গিয়ে সামান্য ফুরসত পেতেই তিনি অল্প সময়ের মধ্যে খাওয়ার মতো অতি ঝক্কির কাজটি সেরে ফেলছেন। আর নজর রাখছেন চতুর্দিকে। পাছে, কেউ দেখে ফেলে।

ক্লিপটি মাত্র 20 সেকেন্ডের। ভিডিয়োর ক্যাপশনে অবনীশ লিখছেন, ‘প্রতিটা মরশুমে ওদেরও খেয়াল রাখুন।’ গত 20 জুন ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়, যার ভিউ এর মধ্যেই 2 লাখেরও বেশি ছাপিয়ে গিয়েছে। প্রায় 8 হাজারেরও বেশি মানুষ এই ভিডিয়ো লাইক করেছেন, কমেন্টও করেছেন অগুনতি মানুষ। ভিডিয়োতে কমেন্ট করে একজন লিখছেন, ‘পেট না থাকলে অন্যের জন্য খাবার পৌঁছেও দেওয়া যাবে না।’ আর একজন যোগ করলেন, ‘এবার থেকে আমাকে যাঁরা খাবার দিতে আসবে, আগে ওদের পেট ভরেছে কি না জিজ্ঞেস করব। আমি শুরু করলে আশা করি বাকিরাও তা ফলো করবে।’

তৃতীয় জন বলছেন, ‘এখন সত্যিই সময় এই ভিডিয়ো থেকে শিক্ষা নেওয়ার। সময় এখন আমাদের চারপাশের সমস্ত ক্ষুধার্ত এবং তৃষ্ণার্ত মানুষের পেট ভরানোর, গলা ভেজানোর। আপনার ছোট্ট উদ্যোগে হয়তো কারও কষ্ট দূর হতে পারে।’