বাথরুমে স্নান করার নগ্ন ছবি চেয়ে ক্রমাগত চাপ প্রেমিকের, শেষে চরম পদক্ষেপ নাবালিকার

মৃতার বাবা বাসুদেব বৈদ্য বলেন, ‘আমি বাড়িতে ছিলাম না। কালকেই আসছি। আমি চাই ছেলেটার ফাঁসি হোক।’ স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বরুণ সরকার বলেন, ‘খুবই দুঃখজনক ঘটনা। ছেলেটির কঠোর শাস্তির দাবি করি।’ স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অত্যন্ত নোংরাভাবে আক্রমণ করা হয়েছিল বর্নাকে। প্রেম নয়, বরং নোংরামো বলা উচিত।

বাথরুমে স্নান করার নগ্ন ছবি চেয়ে ক্রমাগত চাপ প্রেমিকের, শেষে চরম পদক্ষেপ নাবালিকার
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Apr 04, 2021 | 9:27 PM

জলপাইগুড়ি: মাত্র কয়েক মাসের সম্পর্ক। সবই চলছিল ঠিকঠাক। প্রেমিকের ‘আবদারে’ ‘অপমানিত’ হয়ে গলায় দড়ি (Suicide) দিলেন নাবালিকা। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ধুপগুড়ির দুরামারিতে।

‘আত্মঘাতী’ বর্ণা বৈদ্যের পরিবারের অভিযোগ, কয়েক মাস আগে ডাউকিমারির যুবক অভিজিৎ বিশ্বাসের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে বাড়ির মেয়ে। সেই সময় প্রায়ই বর্নার কাছে নগ্ন ছবির (Obscene Photos) আবদার করতেন অভিজিৎ। সম্প্রতি, স্নান করার সময়েও ভিডিয়ো কল করে বর্নার কাছে ছবি চাইতেন অভিজিৎ। বর্ণা না মানায় তাঁকে চাপ দিতে শুরু করেন অভিজিৎ। এমনকী, নিজেদের গোপন মেসেজ ও ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেন। এরপরেই, শনিবার রাতে নিজের বাড়িতেই গলায় দড়ি দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেন বর্না। রবিবার সকালে তাঁর মৃতদেহ (Dead Body) আবিষ্কার হয়।

মৃতার বাবা বাসুদেব বৈদ্য বলেন, “আমি বাড়িতে ছিলাম না। কালকেই আসছি। আমি চাই ছেলেটার ফাঁসি হোক।” স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বরুণ সরকার বলেন, “খুবই দুঃখজনক ঘটনা। ছেলেটির কঠোর শাস্তির দাবি করি।” স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মানসিক নির্যাতন করা হয়েছিল বর্ণাকে।

রবিবার বৈদ্য পরিবারের তরফে বানারহাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আইসি সমীর দেওসা জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পলাতক অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।

আরও পড়ুন: আসামী ধরে ফিরছিলেন, আচমকাই ব্রেক! তারপরই থেঁতলে গেলেন তিন সিভিক পুলিশ কর্মী