Alipurduar: দেওয়া হয়েছিল ভুয়ো নিয়োগপত্র, বিমানবন্দরে চাকরির টোপ দিয়ে ৬ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
Alipurduar: “এই টাকা আমার স্বামী নেননি। অন্য একজন নিয়েছেন। আমার স্বামী শুধুমাত্র মিডলম্যানের কাজ করেছেন।” সাফ দাবি অভিযুক্তের স্ত্রীর।
আলিপুরদুয়ার: চাকরি দেওয়ার নাম করে ৬ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ। মঙ্গলবার অভিযুক্তের বাড়িতে এসে বিক্ষোভ দেখালো গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) শহরের কাছে বিবেকানন্দ ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। অভিযোগ, উত্তর বাইরাগুড়ি গ্রামের বাসিন্দা প্রতিমা দাসের ছেলেকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন পবন দাস নামে এক অভিযুক্ত। চাকরির জন্য ৬ লক্ষ টাকা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকী তাঁকে জাল আইকার্ড, নিয়োগপত্রও দেওয়া হয়। প্রসেনজিৎকে জানানো হয় তিনি কলকাতা বিমানবন্দরে চাকরি পাচ্ছেন। যদিও কলকাতা গিয়ে প্রসেনজিৎ জানতে পারেন তিনি কোনও চাকরিই পাননি। হয়েছেন প্রতারণার শিকার। তারপরই তাঁর পরিবারে পক্ষ থেকে পবন দাসের কাছ থেকে টাকা ফেরত চাওয়া হয়।
সূত্রের খবর, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের উপস্থিতিতে ৫০ হাজার টাকা ফেরত দেন পবনবাবু। কিন্তু বাকি টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি। অভিযোগ, দিচ্ছি-দেব করে দীর্ঘদিন থেকে ঘোরানো হচ্ছে প্রতিমা দাসের পরিবারকে। ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ার থানায় তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করছেন প্রতিমা দেবী। ঘটনা প্রসঙ্গে পবন দাসের স্ত্রী ঝুমা দাস বলেন, “এই টাকা আমার স্বামী নেননি। অন্য একজন নিয়েছেন। আমার স্বামী শুধুমাত্র মিডলম্যানের কাজ করেছেন।” যদিও এদিন লোকজন দেখে নিজের ঘর থেকে বের হননি অভিযুক্ত পবন দাস।
ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় পঞ্চায়েত বিশ্বজিৎ সিং বলেন, “বিমানবন্দরে চাকরির টোপ দেখিয়ে একটি চক্র লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করছে বলে শুনেছি। ওই চক্রের সঙ্গে যুক্ত পবন দাস জড়িত বলেও শুনেছি। ওকে আমরা পাকড়াও করি। ও ৫০ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছে এর আগে। আলিপুরদুয়ার এলাকার বেশ কয়েকজন রয়েছেন বলেও শুনছি। যে সংস্থার চাকরি দিচ্ছে সেটাও ভুয়ো। নিয়োগপত্র,আই কার্ড সবই ভুয়ো। এই চক্রটি কলকাতা সহ একাধিক জেলায় সক্রিয়। প্রশাসন অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে।”