Bimal Gurung: পাহাড় সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান চাই, পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের সরব গুরুং

Bimal Gurung: শুক্রবার আলিপুরদুয়ারে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান এবং তরাই ডুয়ার্সের ৩৯৬টি মৌজা অন্তর্ভুক্ত করা। এই নিয়ে রাজনৈতিক সমাধানের বিষয়ে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন"

Bimal Gurung: পাহাড় সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান চাই, পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের সরব গুরুং
বিমল গুরুং
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 04, 2022 | 7:21 PM

আলিপুরদুয়ার: ফের পাহাড় ইস্যুতে সরব গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার (GJM) সুপ্রিমো বিমল গুরুং (Bimal Gurung)। পাহাড় সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের দাবি তুললেন মোর্চা সুপ্রিমো। শুক্রবার জয়ঁগা ১ অঞ্চলের মঙ্গলাবাড়ি এলাকায় গোর্খা ভবনে মোর্চার কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে বৈঠক করেন বিমল গুরুং। এদিনের বৈঠকে ডুয়ার্সের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোর্চার বিভিন্ন নেতা ও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে বিমল গুরুং জানান, আগামী ১০ ও ১১ ডিসেম্বর দিল্লীতে গোর্খাদের কেন্দ্রীয় কমিটির গঠনের জন্য একটি সভার আয়োজন করা হবে। সেই বৈঠকের বিষয়ে আলোচনা করার জন্যই এদিন আলিপুরদুয়ারের জয়ঁগায় এসেছিলেন তিনি। এর আগে অসমেও গোর্খাদের একটি বৈঠক করেছিলেন তিনি। সেই বৈঠক শেষে জয়ঁগাতে আসেন বিমল গুরুং।

শুক্রবার আলিপুরদুয়ারে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান এবং তরাই ডুয়ার্সের ৩৯৬টি মৌজা অন্তর্ভুক্ত করা। এই নিয়ে রাজনৈতিক সমাধানের বিষয়ে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন এবং এই বিষয়ে মুখ‍্যমন্ত্রীকে এর আগেও জানানো হয়েছিল। আবারও আবেদন করছি, এই নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন।” প্রসঙ্গত, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা প্রার্থী দেবে কি না সেই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, বিমল গুরুং জানান, এই বিষয়ে এখনও আলোচনা হয়নি। কিন্ত পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী দেবে মোর্চা। তবে এককভাবে প্রার্থী দেওয়া হবে নাকি জোট বেঁধে লড়বে, এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি বলেই জানান গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সুপ্রিমো।

প্রসঙ্গত, গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরে সরব হয়েছেন বিমল গুরুং। অতীতে বিজেপির সঙ্গে বিমল গুরুং শিবিরের রাজনৈতিক সখ্যতা দেখা গিয়েছিল। তারপর পাহাড় থেকে দীর্ঘদিন গা ঢাকা দিয়েছিলেন গুরুং। বিমল গুরুং কোথায় ছিলেন, পুলিশ তাঁর খোঁজ পাচ্ছিল না। শেষে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে খাস কলকাতায় এসে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিমল গুরুং। সেই সময় অবশ্য রাজ্যের পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেনি। সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য সরকারের প্রশংসা করেছিলেন বিমল। সেই সঙ্গে কেন্দ্র যে তাঁর দাবি দাওয়াকে বিশেষ আমল দেয়নি সেই কথাও বুঝিয়েছিলেন। এরপর ধীরে ধীরে রাজ্যের শাসক শিবিরের প্রতি তাঁর সখ্যতা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন বিভিন্ন সময়ে।

কিন্তু তাল কাটে জিটিএ নির্বাচনের সময়ে। জিটিএ ভোটের বিরোধিতা করেছিলেন বিমল গুরুং। এমনকী আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপরও শেষ পর্যন্ত পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন হয়েছিল।