Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Morge: মৃতদেহ নিয়েও খেয়োখেয়ি? মর্গের ভিতর ডোমেদের চলছে ‘টাকার খেলা’

Alipurduar: জেলা হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত চিকিৎসক করেন। তবে পরিজনদের দাবি, সেখানের দখল কার্যত ডোমেদের হাতেই। হাসপাতাল থেকে ওখানে একজন সাফাই কর্মীকে চিকিৎসকের সহযোগিতা করার জন্য দেওয়া হয়েছে। তবে আরও দুজন ওই জায়গায় থাকে বলে অভিযোগ।

Morge: মৃতদেহ নিয়েও খেয়োখেয়ি? মর্গের ভিতর ডোমেদের চলছে 'টাকার খেলা'
মৃতদেহ নিয়েও খেয়োখেয়িImage Credit source: প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 13, 2024 | 7:01 PM

আলিপুরদুয়ার: মৃত্যুর পরও যেন মিলছে না শান্তি! হাসপাতালের মর্গে কোনও দেহ ময়নাতদন্তের জন্য গেলেই তা নিয়ে শুরু টাকা খেলা। মর্গে নাকি মোটা অঙ্কের টাকা না দিলে হবে না কাজ। কাঠগড়ায় সাফাই কর্মীরা। অভিযোগ, রোগীর পরিজনদের টাকা নিয়ে পড়তে হয় হুমকির মুখেও।

জেলা হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত চিকিৎসক করেন। তবে পরিজনদের দাবি, সেখানের দখল কার্যত ডোমেদের হাতেই। হাসপাতাল থেকে ওখানে একজন সাফাই কর্মীকে চিকিৎসকের সহযোগিতা করার জন্য দেওয়া হয়েছে। তবে আরও দুজন ওই জায়গায় থাকে বলে অভিযোগ। চিকিৎসক ময়নাতদন্তে আসার আগেই তাঁরা ‘টাকার ডিল’ করে ফেলেন বলে অভিযোগ।

মূলত, আলিপুরদুয়ারের যে কোনও জায়গায় কোনও মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করতে হলে পুলিশের পক্ষ থেকে তা পাঠানো হয় জেলা হাসপাতালে। অ্যাম্বুলেন্সে করে দেহগুলি আনা হয় মর্গে। প্রতিদিন প্রায় দুপুর তিনটি থেকে ময়নাতদন্ত শুরু হয়। তবে তার আগে দুপুর দুটো থেকেই শুরু হয় ওই টাকার গল্প বলে অভিযোগ।

অ্যাম্বুলেন্স থেকে দেহ নামানোর আগে সাফাই কর্মীরা মৃতের পরিবারের কাছে টাকা দাবি করতে থাকে বলে অভিযোগ। তাও ৫০০ বা ১০০০ টাকা নয়, কম করে ৫০০০ হাজার টাকা। কারো কারো কাছ থেকে আরও বেশি অঙ্কের টাকা দাবি করা হয় বলে অভিযোগ।

এ দিন সেই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতে নড়েচড়ে বসে জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দেহের ময়নাতদন্ত শুরুর সময় হঠাৎ জেলা হাসপাতালের মর্গে হানা দেন জেলা হাসপাতাল সুপার চিকিৎসক পরিতোষ মণ্ডল। হাতেনাতে ওই দুই সাফাই কর্মীকে। এরপর হাসপাতালে থেকে বের করে দেন তাঁদের। পাশাপাশি মর্গের দায়িত্বে থাকা ডোমকে হুঁশিয়ারীও দেন। হাসপাতাল সুপার জানান, “এতদিন আমাদের কাছে এই বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। আজকে মৃত রোগীর আত্মীয়দের কাছ থেকে জোর জুলুম করে টাকা তোলার বিষয়টি জানতে পারি। এদিন দুপুরে মর্গে গিয়ে দুই সাফাই কর্মীকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেAয়া হয়েছে। হাসপাতালের মর্গের দায়িত্বে থাকা ডোমকে তোলাবাজির বিষয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। এরপরও এই ধরনের অভিযোগ পেলে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”