Bhangar: তিলে তিলে ভাঙড়েও ফিরছে বাঘাযতীনের ছবি? সব দেখেও কেন চুপ পুলিশ? প্রশ্ন এলাকার বাসিন্দাদের
Bhangar: স্থানীয়দের অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরে সিরাজুল ইসলাম সাঁপুই নামে এক শিক্ষক হাতিশালা রোডের পাশে জিরেনগাছা খালের উপর কলম পিলার তুলে বিল্ডিং নির্মাণ করছেন। নির্মাণের জন্য আনা গাড়ি গাড়ি মাটি পড়ছে খালের জলে।
ভাঙড়: মেটিয়াব্রুজ, বাঘাযতীনের পরেও শিক্ষা হয়নি! অভিযোগ, ভাঙড়েও রমরমিয়ে চলছে বেআইনি নির্মাণ। অভিযোগ, ভাঙড় ডিভিশনের হাতিশালা থানা এলাকায় হাতিশালা বাজারেই এই অবৈধ নির্মাণ হচ্ছে। এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা বন্ধ করে খালের ওপর উঠছে বড় বড় ইমারত। কোনওটা হচ্ছে দোকান, কোনওটা হচ্ছে বাড়ি। জিরেনগাছা, হাতিশালা-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় নিকাশি জল জিরেনগাছা খাল হয়ে বাগজোলা খালে মেশে।
অভিযোগ, সেই জিরেনগাছা খালের ওপর গত কয়েক বছর ধরে একে একে গড়ে উঠেছে একাধিক হোটেল, বাইকের শোরুম, চায়ের দোকান, নার্সিংহোম। এ নিয়ে বহুবার প্রতিবাদ করেছেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী, ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা। বিরোধীদের অভিযোগ, প্রশাসন এবং শাসকদলের একাংশ হাতে হাত মিলিয়ে একের পর এক অবৈধ নির্মাণে মদত দিচ্ছে। তাতেই বাড়ছে সমস্যা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরে সিরাজুল ইসলাম সাঁপুই নামে এক শিক্ষক হাতিশালা রোডের পাশে জিরেনগাছা খালের উপর কলম পিলার তুলে বিল্ডিং নির্মাণ করছেন। নির্মাণের জন্য আনা গাড়ি গাড়ি মাটি পড়ছে খালের জলে। যার ফলে আরও মজে যাচ্ছে খাল। এ নিয়ে পুলিশ এবং বিডিওর কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কিন্তু, তারপরেও অবস্থার যে খুব একটা বদল হয়েছে এমনটা নয়। পঞ্চায়েত প্রধান বলছেন, এই কাজের জন্য কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। যদিও এত বিতর্কের মধ্যেও নিজের কোনও ‘দোষ’ দেখতে পাচ্ছেন না অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম সাঁফুই। তিনি বলছেন, “ওখানে সাত কাটা জমি আমার নামে আছে। আমি সেটা বাস্তুতে কনভারশন করে বিল্ডিং তৈরি করছি। আইন মেনে কাজ করছি। কিন্তু, খাল-বিলের জমি কিভাবে বাস্তু জমি হল? সিরাজুলের বক্তব্য, “এটা সরকার দেখবে। আমার দেখার বিষয় নয়।”