Bengal Congress: কর্নাটকে হারের পর বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ বহু কর্মীর, অভিষেকের সফরের আগে বাঁকুড়ায় বড় ধাক্কা তৃণমূলেও
Bengal Congress: অভিষেকের বাঁকুড়া সফরের আগেই তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ। কর্নাটকে বিজেপির পরাজয়ের পর দল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ বহু কর্মীর।
বাঁকুড়া: আগামী ১৮ মে নবজোয়ার কর্মসূচিতে বাঁকুড়া জেলা সফরে যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় (Abhisekh Banerjee)। তার ঠিক আগেই বাঁকুড়ার (Bankura) ছাতনা ব্লকের তেঘরি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূল (Trinamool Congress) ছেড়ে কংগ্রেসে (Congress) যোগ দিলেন বেশ কয়েকটি পরিবার। কর্নাটকে বিজেপির শোচনীয় হারের পর ওই একই এলাকার বেশ কিছু বিজেপি কর্মীও আবার কংগ্রেসে যোগ দিলেন। কংগ্রেসের দাবি, দুই দল থেকে প্রায় ৫০টি পরিবার তাঁদের দলে যোগ দিয়েছে।
সাম্প্রতিক অতীতে বাঁকুড়ার সারেঙ্গা ও রাইপুরে বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী দল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন। সেই একই ঘটনা এবার দেখা গেল বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের তেঘরি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। শনিবার রাতে ছাতনা ব্লকের ভগবানপুর মোড়ে কংগ্রেসের একটি যোগদান কর্মসূচীতে স্থানীয় পাত্রচিতরা, কেলাইবাইদ ও ঘোলকুড়া এলাকার বেশ কিছু তৃণমূল ও বিজেপি কর্মী কংগ্রেসের দলীয় পতাকা কাঁধে তুলে নেন। তাঁদের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন কংগ্রেসের বাঁকুড়া জেলার কার্যকরী সভাপতি বিশ্বরূপ পাল ও অভিষেক বিশ্বাস। কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি তৃনমূলের দুর্নীতি, স্বজনপোষণ ও বিজেপির জাতপাতের রাজনীতিতে বীতশ্রদ্ধ হয়ে এলাকার প্রায় পঞ্চাশটি পরিবার তাঁদের দলে যোগ দিয়েছেন। দল বদল করা কর্মীরাও তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে একই অভিযোগ এনেছেন।
বাঁকুড়া জেলা কংগ্রেসের সম্পাদক অভিষেক বিশ্বাস বলেন, “জনগনের পঞ্চয়েত গড়ার জন্য, দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গড়ার জন্য মানুষ হাতকেই একমাত্র বিকল্প পথ হিসাবে মনে করছেন। এই পঞ্চায়েতে কোনও তোলাবাজি থাকবে না, কোনও কাটমানি থাকবে না। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে জাতীয় কংগ্রেসই একমাত্র বিকল্প পথ হবে।”
যদিও পাল্টা কটাক্ষবাণ শানিয়েছে শাসক তৃণমূল। দলীয় নেতৃত্বের দাবি বাঁকুড়া জেলায় কংগ্রেসের কোনও অস্তিত্বই নেই। দল বদলের নামে নাটক করছে কংগ্রেস। অন্যদিকে দলবদলের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি। বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা বলেন, “কে কোন দল করবে সেটা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। যদি কেউ বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে গেলে তা আমরা তো আটকাতে পারে না। তবে যদি কেউ মোদীর নেতৃত্বকে সম্মান করে তবেই বিজেপি করবে। নাহলে করবে না।” আক্রমণের সুর চড়িয়েছে তৃণমূল নেতা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কংগ্রেসের এখন বাংলায় সংগঠন বলে কিছু নেই। বাঁকুড়ায় তো ওরা শূন্য। যাঁরা গেছে তাঁরা কোনও প্রলোভনে পা দিয়ে হয়তো গেছে এতে দলের কিছু এসে যাবে না।”