Bankura: দিনের পর দিন একটু একটু জমা হচ্ছিল কষ্টের টাকা, পাসবই আপডেট করতেই মাথায় হাত গ্রাহকদের
Bankura: বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার মড়ার এলাকায় গ্রামীণ ডাকঘর রয়েছে। সেই ডাকঘরে এতদিন পোস্টমাস্টারের দায়িত্বে ছিলেন শ্রীকৃষ্ণ বেওরা নামের এক ব্যক্তি। কৃষি প্রধান ওই এলাকার অসংখ্য মানুষ কষ্ট করে ওই ডাকঘরে একটু একটু করে জমা করেছিলেন নিজেদের সঞ্চিত আমানত।
বিষ্ণুপুর: মাসের পর মাস ধরে কষ্টে জমানো টাকা জমা করে রেখেছিলেন স্থানীয় শাখা ডাকঘরে। নিজেদের পাসবুকে সেই আমানতের অঙ্ক হাতে লিখে তুলেও দিয়েছেন পোস্ট মাস্টার। কিন্তু, আসলে সেই টাকা জমাই পড়েনি ডাকঘরে। লাখ লাখ টাকার এমন দুর্নীতি সামনে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন এলাকার লোকজন। অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত পোস্ট মাস্টারকে সাময়িক বরখাস্ত করে ঘটনার বিভাগীয় তদন্তে নেমেছে ডাক বিভাগ। ঘটনা বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার মড়ার শাখা ডাকঘরের।
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার মড়ার এলাকায় গ্রামীণ ডাকঘর রয়েছে। সেই ডাকঘরে এতদিন পোস্টমাস্টারের দায়িত্বে ছিলেন শ্রীকৃষ্ণ বেওরা নামের এক ব্যক্তি। কৃষি প্রধান ওই এলাকার অসংখ্য মানুষ কষ্ট করে ওই ডাকঘরে একটু একটু করে জমা করেছিলেন নিজেদের সঞ্চিত আমানত। রেকারিং ডিপোজিট, ফিক্সড ডিপোজিট সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে সেই টাকা জমা দিয়ে আসছিলেন গ্রাহকেরা। ডাকঘরের দায়িত্বপ্রাপ্ত পোস্টমাস্টার গ্রাহকদের পাসবুকে তা হাতে লিখে নথিভূক্তও করতেন। সম্প্রতি ওই ডাকঘরের একজন গ্রাহক অন্য ডাকঘরে নিজেদের পাসবুক আপ টু ডেট করাতে গিয়ে দেখেন যে পরিমাণ আমানত তিনি জমা করেছেন তার সামান্য অংশই জমা পড়েছে।
বিষয়টি জানাজানি হতেই গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। এরপর একের পর এক গ্রাহক নিজেদের পাসবুক অন্য ডাকঘরে আপ টু ডেট করাতে গিয়ে দেখেন মড়ার শাখা ডাকঘরের অধিকাংশ গ্রাহকের ক্ষেত্রেই একই ঘটনা ঘটেছে। নিজেদের কষ্টে জমানো আমানত এভাবে খোয়া যাওয়ায় আতঙ্কে ডাকঘরের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হন গ্রাহকদের ওই অংশ। গ্রাহকদের অভিযোগ, পোস্টমাস্টার জমা করা আমানতের বড় অংশ নিজের পকটস্থ করার ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ পেতেই তড়িঘড়ি শ্রী কৃষ্ণ বেওরা নামের ওই পোস্টমাস্টারকে বরখাস্ত করে ঘটনার তদন্তে নেমেছে ডাকঘর কর্তৃপক্ষ। গ্রাহকদের দাবি যে কোনও মূল্যে তাঁরা কষ্টে জমানো তাঁদের আমানত ফেরত চান। ডাকঘর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে অভিযোগ পাওয়ার পরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে।