Bankura: দোতলা বাড়ি, তবুও আবাসের তালিকায়… খবর হতেই তড়িঘড়ি কাটা পড়ল নাম

Bankura: বাড়িটি সাদামাটা দোতলা বাড়ি হলেও বাইরে থেকে দেখলেই বোঝা যায়, সেটি খুব সম্প্রতি নির্মীত হয়নি। তাহলে কীভাবে আবাস তালিকায় তাঁর নাম উঠল? তৃণমূল নেতা হওয়ার সুবাদেই কী প্রভাব খাটিয়ে ওই তালিকায় নাম তুলেছিলেন সুকুমার চট্টোপাধ্যায়?

Bankura: দোতলা বাড়ি, তবুও আবাসের তালিকায়... খবর হতেই তড়িঘড়ি কাটা পড়ল নাম
আবাসের তালিকা থেকে নাম বাদ!Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 03, 2024 | 10:52 AM

বাঁকুড়া: নিজের পাকা দোতলা বাড়ি রয়েছে। কিন্তু তারপরেও আবাস তালিকায় প্রাপকদের তালিকায় জ্বলজ্বল করছে তাঁর নাম। তিনি বাঁকুড়ার ছাতনা পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ কর্মধ্যক্ষ সুকুমার চট্টোপাধ্যায়। তালিকা সামনে আসতেই অবশ্য তিনি ওই তালিকা থেকে নিজের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। এই ঘটনা তৃণমূল নেতৃত্বের প্রশংসা কুড়ালেও বিষয়টি নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি।

বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের জিড়রা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বহু পরিবার রয়েছে, যাঁদের মাথা গোঁজার নিজস্ব ঠাঁই নেই অথবা জরাজীর্ণ মাটির বাড়িতে কোনওক্রমে দিন যাপন করছেন। আবাস তালিকায় তাঁদের বেশিরভাগের নাম না থাকলেও সেই তালিকায় জ্বলজ্বল করছে তৃণমূল পরিচালিত ছাতনা পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ সুকুমার চট্টোপাধ্যায়ের নাম। সুকুমার চট্টোপাধ্যায়ের নিজস্ব বাড়ি নেই তেমনটাও নয়। জিড়রা গ্রাম পঞ্চায়েতের দুবড়া গ্রামে তাঁর পরিবারের নিজস্ব দোতলা বাড়ি রয়েছে।

বাড়িটি সাদামাটা দোতলা বাড়ি হলেও বাইরে থেকে দেখলেই বোঝা যায়, সেটি খুব সম্প্রতি নির্মীত হয়নি। তাহলে কীভাবে আবাস তালিকায় তাঁর নাম উঠল? তৃণমূল নেতা হওয়ার সুবাদেই কী প্রভাব খাটিয়ে ওই তালিকায় নাম তুলেছিলেন সুকুমার চট্টোপাধ্যায়? মানতে নারাজ সুকুমার চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, পেশায় তিনি পুরোহিত। যখন আবাসের সমীক্ষা হয়েছিল তখন তাঁর পাকা বাড়ি ছিল না। মাটির বাড়িতে বসবাস করায় সাধারণ ভাবেই তাঁর নাম আবাস তালিকায় জায়গা পেয়েছিল। পরবর্তীতে তিনি পাকা বাড়ি করেছেন। আর তাই আবাস তালিকায় নিজের নাম দেখতেই তিনি তা বাতিল করে অন্য কোনও গৃহহীন প্রাপককে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।

সততার সঙ্গে আবাস তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন করায় সুকুমার চট্টোপাধ্যায়ের ব্যপক প্রশংসা করেছে তৃনমূল নেতৃত্ব। যদিও বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীল চন্দ্র মণ্ডলের দাবি, গরিব মানুষদের বঞ্চিত করে তৃণমূল নেতারা আবাস তালিকায় নিজেদের নাম তুলেছিলেন। এখন জনরোষে পড়ার ভয়ে আবাস তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার হিড়িক শুরু হয়েছে তৃণমূল নেতাদের মধ্যে। এই ঘটনা তারই উদাহরণ।

একইসাথে বিজেপির খোঁচা, কয়েকবছর আগেও যিনি কাঁচা বাড়িতে থেকে সরকারি আবাস প্রকল্পের দাবিদার ছিলেন, তিনিই পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ হওয়ার পর কী এমন উপার্জন করলেন যাতে তাঁর কাঁচা বাড়ি পাকা দোতলা বাড়ি হয়ে গেল?