Subhash Sarkar: ‘সরকারের ল্যাজেগোবরে অবস্থা’, প্রথম দিনের মনোনয়ন দেখে মন্তব্য সুভাষ সরকারের
Subhash Sarkar: একই সঙ্গে বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বিজেপি বিধায়ক হরকালী প্রতিহারের উপর যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, তার কড়া নিন্দা করেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।
বাঁকুড়া: পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে প্রশাসনের ব্যবস্থাপনা নিয়ে। রাজ্যের একাধিক জেলা থেকে সামনে এসেছে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির ছবি। কোথাও হয়েছে ভাঙচুর, কোথাও ছোড়া হয়েছে ইট। আবার কোথাও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার অভাবে মনোনয়ন প্রক্রিয়াই বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। এই পরিস্থিতির জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকারকেই দূষলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার।
বাঁকুড়া জেলা জুড়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ে তোপ দেগেছেন সুভাষ সরকার। শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার তড়িঘড়ি নির্বাচনের দিন ঘোষণা করে ভেবেছিল, তাতে শাসক দলের সুবিধা হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল তার উল্টো ছবি। নিজেদের দলাদলি আর মারামারির কারণে বাঁকুড়ার কোনও ব্লকে তৃণমূলের প্রার্থীরা বিডিও অফিসেই পৌঁছতে পারলেন না।” তাঁর দাবি, বাঁকুড়ার সমস্ত বিডিও অফিসে প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়ে মনোনয়নের জন্য হাজির হয়েছিলেন বিজেপির প্রার্থীরা।
বাঁকুড়ার একাধিক ব্লকে মনোনয়ন-বিভ্রাট নিয়ে প্রশাসনকে দূষেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকারের এতটাই ল্যাজেগোবরে অবস্থা হয়েছে যে রাইপুর, সিমলাপাল, মেজিয়া সহ একাধিক ব্লকে কোথাও ডিসিআর পৌঁছয়নি, আবার তো কোথাও ভুল মনোনয়ন পত্র পৌঁছেছে। তার জেরে প্রথম দিনে ওই ব্লকগুলিতে মনোনয়ন পেশের প্রক্রিয়ায় অংশই নিতে পারলেন না প্রার্থীরা।”
একই সঙ্গে বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বিজেপি বিধায়ক হরকালী প্রতিহারের উপর যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, তার কড়া নিন্দা করে মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার কড়া সমালোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।
আজ শুক্রবার থেকে মনোনয়ন পেশের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সময় আছে আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত। এত কম সময়ে কীভাবে ৭৪ হাজার প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। এই সময়সীমা পরিবর্তন করার বিষয়ে বিবেচনা করা প্রয়োজন বলে পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিও।