Bankura: একা দানা নয়, কৃষকদের সব শস্য-সবজি নষ্টের পিছনে দায়ী এরাও
Bankura: চলতি বছর বর্ষা ভাল হওয়ায় জেলার অন্যান্য অঞ্চলের মতোই বাঁকুড়ার বাঁকাদহ রেঞ্জেও আমন ধানের চাষ ভাল হয়েছিল। পুজোর আগে নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতি হলেও তারপর আদা, লাউ-সহ বিভিন্ন মাচা সবজি ও শীতকালীন সবজির চাষ শুরু করেছিলেন এলাকার কৃষকরা।
বাঁকুড়া: একদিকে দানার প্রভাবে ভারী বৃষ্টি। তার জেরে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি। কার্যত মাথায় হাত কৃষকদের। কী ভাবে এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠবেন তা বুঝে ওঠার আগেই নেমে এল আরও এক বিপদ। বাঁকুড়ায় একরের পর একর জমির ফসল যেটুকু বেঁচে ছিল তাও সাবাড় করে দিল ৩০ থেকে ৩২ হাতির দল। ফলে এই জোড়া ফলার মাঝে পড়ে চূড়ান্ত লোকসানের মুখে বাঁকুড়ার বাঁকাদহ রেঞ্জের হাজার হাজার কৃষক।
চলতি বছর বর্ষা ভাল হওয়ায় জেলার অন্যান্য অঞ্চলের মতোই বাঁকুড়ার বাঁকাদহ রেঞ্জেও আমন ধানের চাষ ভাল হয়েছিল। পুজোর আগে নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতি হলেও তারপর আদা, লাউ-সহ বিভিন্ন মাচা সবজি ও শীতকালীন সবজির চাষ শুরু করেছিলেন এলাকার কৃষকরা। কিন্তু তীরে এসে তরি ডোবার মতো অবস্থা তাদের। একদিকে দানার আক্রমণ আর অন্যদিকে হাতির দলের উৎপাতে এখন দিশেহারা বাঁকাদহ রেঞ্জের খড়িডোবা,বগডহরা,জামশোল সহ আশপাশের গ্রামগুলির কৃষকরা। গত বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সীমানা পেরিয়ে ৩০-৩২ টি হাতির দল প্রবেশ করে বাঁকুড়ার বাঁকাদহ রেঞ্জের জঙ্গলে।
সন্ধ্যা নামলেই গত দু’দিন ধরে হাতির দল জঙ্গল ছেড়ে নেমে আসছে পার্শ্ববর্তী জঙ্গল লাগোয়া ধান ও সবজির জমিতে। হাতির হানায় একরের পর একর জমিতে হানা দিয়ে তছনছ করে দিচ্ছে ধান, সবজী ও ফসলের জমি। এমনিতেই দানার ভারী বৃষ্টিতে আমন ধান ও সবজির ব্যপক ক্ষতি হয়েছে কৃষকদের। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো এখন আবার হাতির দলের তাণ্ডবে একরের পর একর ফসল নষ্ট হওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে তাঁদের। বন দফতরের দাবি হাতিগুলির গতিবিধি যতটা সম্ভব জঙ্গলের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ প্রসঙ্গে “ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এরপর হাতির তাণ্ডব। এতে ধানের ক্ষতি হয়েছে। এক বিঘা আদা চাষ করতে ষাট থেকে সত্তর হাজার টাকা খরচ। সেই আদা পুরো নষ্ট হয়ে গিয়েছে।”