Bankura: পুলিশ হেফাজতে ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যু, থানায় বিক্ষোভ পরিবারের

Bankura Police: মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ন'টা নাগাদ হঠাৎই গোবিন্দধাম এলাকায় অমৃতের বাড়িতে হানা দেয় একদল পুলিশ।

Bankura: পুলিশ হেফাজতে ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যু, থানায় বিক্ষোভ পরিবারের
বাঁকুড়ায় মৃত্যু
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 17, 2022 | 12:55 PM

বাঁকুড়া: সবে তখন সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত নেমেছে। বাড়ির বাইরে ভারী বুটের শব্দ। কিছুক্ষণ নিস্তব্ধতার পরেই দরজায় কড়া নাড়ার আওয়াজ। কিন্তু দোর খুলতেই, এ কী! গটগট করে ঘরে ঢুকে এল একদল পুলিশ। মুখে কোনও কথা নেই অথচ টানতে টানতে তারা নিয়ে চলে গেল গৃহকর্তা অমৃত বাউড়িকে। আর তারপর? পরদিনই এল মৃত্যু সংবাদ। পুলিশ হেফাজতে ‘মৃত’ অমৃত। পুলিশ বলছে আত্মহত্যা, কিন্তু আসলে কি তাই? ধন্দে পরিবার।

মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ন’টা নাগাদ হঠাৎই গোবিন্দধাম এলাকায় অমৃতের বাড়িতে হানা দেয় একদল পুলিশ। পরিজনদের সঙ্গে কোনও কথা না বলেই তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় গঙ্গাজলঘাটি থানায়। এমনটাই অভিযোগ পরিজনদের। তবে কেন তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? প্রশ্নটা বারবার কর্তাদের দিকে ছুড়েছিল পরিবার। উত্তর দেয়নি কেউ। আশঙ্কাটা তখন থেকেই মনে দানা বাদ দিয়ে শুরু করে। পরবর্তী ঘটনা ঘটে শনিবার।

কাক ভোরে অমৃতের স্ত্রী সহ গোটা পরিবারকে থানায় তুলে নিয়ে যায় গঙ্গাজলঘাটির পুলিশ। সেখানে একাধিক নথিতে টিপসই দেওয়ানো হয় কার্যত জোর করেই। এরপরে এক আধিকারিক এসে জানান, পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে অমৃতর। কারণ হিসেবে জানানো হয়, আত্মহত্যা করেছেন তিনি। এই খবর মেলার পরেই তার যত উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোবিন্দধাম এলাকায়। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খোঁজার দাবিতে সরব পরিবার। দফায়-দফায় থানার সঙ্গে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।

পরিবারের প্রশ্ন, বৃহস্পতিবার অমৃতকে নিয়ে আসা হলেও কেন শুক্রবার তাকে আদালতে হাজির করা হল না? কেন তার মৃত্যুর খবর বাড়ি পৌঁছে না দিয়ে তুলে আনা হলো গোটা পরিবারটাকেই? যে নথিপত্রে টিপসই দেওয়ানো হয়েছে সেগুলিই বা কিসের কাগজ?

মৃতের বৌদি বলেন, ‘আমার দেওর বোধহয় মদ খেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। সেই সময় আচমকা ওকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর রাত আড়াইটের সময় ওর বড় ছেলে আমায় ডাকতে গিয়ে বলে যে জেঠিমা ওঠো। আমার বাবা থানায় মারা গিয়েছে। এরপর আমরা ফোন করি। এরপর আমরা থানায় যাই। তারপর ওর স্ত্রীকে কোনও একটা কাগজে টিপ ছাপ দেওয়ায় ওরা। এরপর জানতে পারি মৃত্যু হয়েছে তাঁর।’

অপরদিকে,  পুলিশের তরফে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।