Kurmi Movement: আদিবাসী স্বীকৃতির দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়ে গ্রেফতার, অবশেষে জামিন ২ কুড়মি নেতার
Kurmi Movement: ১৪ দিন জেল হেফাজত শেষে গতকাল ফের পুলিশ ধৃত ২ জনকে খাতড়া মহকুমা আদালতে পেশ করলে আদালত শর্ত সাপেক্ষে দুজনেরই জামিন মঞ্জুর করে। জামিন হতেই দুই কুড়মি নেতাকে আদালত চত্বরেই ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেয় কুড়মি নেতারা।
বাঁকুড়া: ১৪ দিন কারাবাসের পর অবশেষে মুক্তি পেলেন দুই কুড়মি নেতা। মঙ্গলবার বাঁকুড়ার খাতড়া মহকুমা আদালত কৃষ্ণ মাহাতো ও তাপস মাহাতো নামের দুই কুড়মি নেতাকে শর্তসাপেক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করে। জামিন হওয়ার পর কার্যত মিছিল করে ওই দুই কুড়মি নেতাকে নিয়ে যাওয়া হয় দেদুয়া মোড়ে। দুই নেতার মুক্তির পর আগামীদিনে কুড়মি আন্দোলন আরও জোরদার করার হুঁশিয়ারি দেয় কুড়মি নেতারা।
আদিবাসী স্বীকৃতির দাবিতে গত ২০ সেপ্টেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলি ও পুরুলিয়ার কুস্তাউরে রেল ও সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছিল কুড়মি সমাজ। ১৯ সেপ্টেম্বর বিকালে ওই আন্দোলন বেআইনি ঘোষণা করে কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্ট বেআইনি ঘোষণা করতেই আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয় কুড়মিরা। ওইদিনই পুরানো দুটি মামলায় সিমলাপাল থানা তাপস মাহাতো ও খাতড়া থানা কৃষ্ণ মাহাতো নামের দুই কুড়মি নেতাকে গ্রেফতার করে।
২০ সেপ্টেম্বর ধৃত দুই নেতাকে খাতড়া মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে আদালত দুজনকেই ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। ১৪ দিন জেল হেফাজত শেষে গতকাল ফের পুলিশ ধৃত ২ জনকে খাতড়া মহকুমা আদালতে পেশ করলে আদালত শর্ত সাপেক্ষে দুজনেরই জামিন মঞ্জুর করে। জামিন হতেই দুই কুড়মি নেতাকে আদালত চত্বরেই ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেয় কুড়মি নেতারা। এরপর ওই দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে খাতড়া শহরে মিছিল করে কুড়মি নেতৃত্ব। পরে কুড়মি নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায় এভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে কুড়মি আন্দোলন ঠেকিয়ে রাখা যাবে না। আদিবাসী স্বীকৃতির দাবিতে আগামীদিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে কুড়মি সমাজের নেতৃত্ব।