Bankura Flood: বাঁকুড়া যেন আস্ত দ্বীপ! ১৭-১৮ গ্রামে ঢুকে পড়ল দ্বারকেশ্বর
Bankura Flood Situation: সেচ দফতর সূত্রে খবর, মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে আপাতত ৩৪ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে। এর জেরে কংসাবতীর নিম্ন অববাহিকা এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। গতকাল রাত থেকে দ্বারকেশ্বর নদের জলস্তর ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাঁকুড়া: নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। তারপর আবার বুধবার বিকেল থেকে বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলাজুড়ে প্রবল ভারী বৃষ্টি। দুয়ের জেরে আরও অবনতি বাঁকুড়ার বন্যা পরিস্থিতির। ডিভিসির দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ কমানো হলেও মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে।
সেচ দফতর সূত্রে খবর, মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে আপাতত ৩৪ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে। এর জেরে কংসাবতীর নিম্ন অববাহিকা এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। গতকাল রাত থেকে দ্বারকেশ্বর নদের জলস্তর ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। এই মূহুর্তে কানায় কানায় বইছে নদীর জল। ভাদুল সেতু,মীনাপুর সেতু, ভেলাইডিহা সেতু সহ জেলা জুড়ে বেশ কয়েকটি সেতু জলের তলায় থাকায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে একাধিক এলাকা। ঘুরপথে মানুষ যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন।
বন্যা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন সবদিক থেকে প্রস্তুতি রাখলেও,সব হারানোর আশঙ্কায় আতঙ্কের প্রহর গুনছেন বাঁকুড়া জেলার নদী তীরবর্তী এলাকার হাজার হাজার মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দা নাড়ুগোপাল চক্রবর্তী বললেন, “যাতায়াত করার রাস্তা নেই। চারিদিকে শুধু জল আর জল। সাত আটটি গ্রাম জলে ভেসে গিয়েছে। আমাদের গ্রাম নদীর পাশেই। এখন ওই রেল ব্রিজ ছাড়া যাওয়ার আর কোনও পথ নেই। কী রাস্তা বানাল যে ভেঙে গেল রাস্তা।” আরও এক বাসিন্দা বলেন, “রাত দুটো থেকে দেখি চার ফুট উপরে জল উঠেছে। পনেরো থেকে সতেরোটা গ্রাম বিচ্ছিন্ন। রাস্তা নেই।”