Mamata in Bankura: ‘দিদি যদি হেরে গিয়েও চলে আসতে পারে…’, তপ্ত বাঁকুড়ায় কর্মীদের তাতালেন মমতা

Mamata in Bankura: আগে বাঁকুড়ায় ভাল ফল না হলেও এবার আর জমি ছাড়তে চান না মমতা। ঝাঁপিয়ে পড়ে কাজ করার বার্তা দিলেন কর্মীদের।

Mamata in Bankura:  ‘দিদি যদি হেরে গিয়েও চলে আসতে পারে…’, তপ্ত বাঁকুড়ায় কর্মীদের তাতালেন মমতা
বাঁকুড়ার মঞ্চে মমতা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 01, 2022 | 12:08 PM

বাঁকুড়া: ২১-এর নির্বাচনে তৃণমূল নিরঙ্কুশ জয় পেলেও বাঁকুড়ায় শাসক দল কিছুটা আশাহত হয়েছিল। সায়ন্তিকার মত তারকা- প্রার্থী জেলায় গিয়ে দিনের পর দিন প্রচার চালালেও হেরে গিয়েছিলেন। তার আগে লোকসভাতেও বাঁকুড়া জেলা হতাশ করেছিল তৃণমূলকে। বাঁকুড়ায় সুভাষ সরকার আর বিষ্ণুপুরে সৌমিত্র খাঁ জয় এনে দিয়েছিলেন পদ্ম শিবিরে। তাই বাঁকুড়ার ফল নিয়ে যে তৃণমূল নেত্রীর মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল, সে কথা স্বীকার করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী বুধবার বাঁকুড়ায় গিয়ে সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে দলীয় কর্মীদের পুনরায় উজ্জ্বীবিত করার চেষ্টা করেন। তিনি উল্লেখ করেন, তিনি নিজে যদি হেরে গিয়েও আসতে পারেন, তাহলে কর্মীদেরও উচিত সব ভুলে আবার মাঠে নেমে পড়া।

এ দিন বাঁকুড়ার মঞ্চে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, ‘বিধানসভায় মাত্র ৪ টে আসনে জিতেছি, সংসদেও জিতিনি। তা সত্ত্বেও সরকারে এসেছি।’ হারের কারণ হিসেবে মমতার ব্যাখ্যা, ‘নিশ্চয় আমাদের কর্মীদের কোনও ভুল ছিল অথবা আমরা বিজেপির অপপ্রচারের কাছে মাথানত করেছিলাম। তাই এই ফল হয়েছে।’ তবে বিজেপি ওই সব এলাকায় জিতলেও কোনও কাজ করেনি বলেই তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, যাঁরা জিতেছিলেন, তাঁদের চেহারা ওই এলাকায় দেখা যায় না। আর বাঁকুড়াবাসীকে মনে করিয়ে দেন, এলাকায় না জিতলেও তৃণমূল সরকারের সব সুবিধাই পান সেখানকার মানুষ।

মানুষের জন্য তৃণমূল পরিচালিত সরকার কী কী করেছেন, তার তালিকা দিতে গিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, জয় জহর ভাতা, তফশিলী ভাতা, কৃষক ভাতা, শিল্পী ভাতার কথা উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া যাঁরা কেন্দু পাতা তোলেন তাঁদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তৃণমূল সুপ্রিমো। পাশাপাশি, বাঁকুড়ার তাঁতিদের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখন আর বাইরে থেকে শাড়ি আসে না। তাঁতিরা তৈরি করে। তাঁদের তিন মাসের অর্ডার দেওয়া হয়, তাঁদের খাবারটুকু নিশ্চিত করা হয়।’ মমতা আরও উল্লেখ করেছেন, বাঁকুড়ার ছেলেমেয়েরা পড়াশোনায় ভাল বলেই বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছেন তিনি।

বাঁকুড়া-পুরুলিয়া জুড়ে ৭২ হাজার কোটির বিনিয়োগ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে মমতা দাবি করেন লক্ষ লক্ষ ছেলেমেয়ের চাকরি হবে। তাই পরের ভোটে তৃণমূলের পাশে থাকার বার্তা দেন মমতা।অভিনেত্রী-রাজনীতিকের প্রশংসা করে মমতা বলেন, ‘সায়ন্তিকা হেরে গেলেও বারবার বাঁকুড়ায় আসেন। এরকম ছেলেমেয়ে দরকার।’ সব শেষে কর্মীদের বার্তা দিয়ে মমতা বলেন, ‘এক বছর তো ঘর থেকে বেরননি। হেরে গিয়ে কষ্ট পেয়েছিলেন। দিদি যদি হেরেও চলে আসতে পারে, তাহলে আপনারাও বেরিয়ে পড়ুন। মানুষের দরজায় দরজায় যান। তাঁদের অসুবিধার কথা শুনুন।’