AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bankura: প্রবল বৃষ্টিতেই একেবারে রাক্ষুসে রূপ, গিলে যাচ্ছে বিঘার পর বিঘা জমি, চোখে জল নিয়ে প্রশাসনের দিকে চেয়ে কোতলপুরের লোকজন

Bankura: সেতু ভেঙেছে, প্রতিদিন একটু একটু করে খাল গিলে খাচ্ছে তিন ফসলি চাষের জমি। দিশেহারা কোতুলপুরের ডিঙাল খাল পাড়ের বাসিন্দারা। মেরামতির বিষয়ে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে স্থানীয় বিধায়কের তরফে আশ্বাস মিলেছে।

Bankura: প্রবল বৃষ্টিতেই একেবারে রাক্ষুসে রূপ, গিলে যাচ্ছে বিঘার পর বিঘা জমি, চোখে জল নিয়ে প্রশাসনের দিকে চেয়ে কোতলপুরের লোকজন
চিন্তা বাড়ছে এলাকার লোকজনের Image Credit: TV-9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 03, 2024 | 9:36 AM
Share

কোতলপুর: সেতুর দুপাশের সংযোগকারী রাস্তা আগেই ভেঙেছে। খালের মাঝখানে কোনওরকমে সেতু নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখলেও তা দিয়ে খাল পারাপার চলে না। ভারী বর্ষায় সেই খালই এবার গিলে খাচ্ছে দু’পাড়ের তিন ফসলি জমি। প্রতিদিন একটু একটু করে খাল এগিয়ে আসায় বিঘের পর বিঘে জমি হারানোর যন্ত্রণা নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন বাঁকুড়ার কোতুলপুর ব্লকের ডিঙাল খাল পাড়ের বাসিন্দারা। 

বাঁ কুড়ার কোতুলপুর ব্লকের ডিঙাল খাল। সারা বছর এই খাল শুকনো পড়ে থাকলেও বর্ষায় সেই খালই হয়ে ওঠে ভয়ঙ্কর। দুপাড় ভাসিয়ে খাল দিয়ে বেগে বইতে থাকে জল। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় দু’পাড়ের যোগাযোগ। বছর কয়েক আগে দু’পাড়ের মানুষের এই যোগাযোগ অবিচ্ছিন্ন রাখতে ডিঙাল খালের উপর সেতু তৈরি করেছিল প্রশাসন। কিন্তু তৈরির পর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ডিঙাল সেতুর দুপাশের সংযোগকারী রাস্তা ভাসিয়ে নিয়ে যায় ডিঙাল খালের জল। 

খালের মাঝখানে ঝুলে থাকে সেতুর কংক্রিটের অংশ। ফলে বর্ষা এলেই ফি বছর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় দু’পাড়ের মধ্যে। তবে শুধু সেতুর সমস্যাই নয়, ডিঙাল খাল পাড়ের মানুষের কাছে এখন সবথেকে বড় সমস্যা ভাঙন। ভাঙনের গ্রাসে প্রতিদিন একটু একটু করে খালের গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে তিন ফসলি জমি। বিঘের পর বিঘে ফলন্ত জমি হারিয়ে এখন স্থানীয়দের সম্বল শুধুই চোখের জল। ডিঙাল খালের পাড় বাঁধানোর পাশাপাশি হারানো ফসলের ক্ষতিপূরণ না মিললে বছরভর অনাহারে দিন কাটানোর আশঙ্কা এখন তাড়া করে বেড়াচ্ছে খাল পাড়ের গ্রামের মানুষকে। তবে মেরামতির বিষয়ে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে স্থানীয় বিধায়কের তরফে আশ্বাস মিলেছে। দ্রুত সেতু মেরামতির পাশাপাশি খাল পাড়ের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া চেষ্টা চলছে বলেও জানানো বয়েছে।