ICDS: ডিম, সবজির টাকা না দিলে জেলাজুড়ে রান্না বন্ধ, হুঁশিয়ারি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের

Bankura: বাঁকুড়া জেলায় মোট ৫৭৩৯ টি আইসিডিএস কেন্দ্র রয়েছে। যা পরিচিত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র হিসাবে। এই কেন্দ্রগুলি থেকে প্রায় দেড় লক্ষ শিশু ও প্রসূতি প্রতিদিন রান্না করা পুষ্টিকর খাবার পান।

ICDS: ডিম, সবজির টাকা না দিলে জেলাজুড়ে রান্না বন্ধ, হুঁশিয়ারি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 15, 2023 | 9:52 PM

বাঁকুড়া: দিনের পর দিন সবজি, ডিমের বিল আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের (ICDS Worker) ভাতা বন্ধেরও। তারই প্রতিবাদে এবার বড়সড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বাঁকুড়া (Bankura) জেলার আইসিডিএস কর্মীদের। অবিলম্বে ডিম, সবজির তিন মাসের বকেয়া বিল ও কর্মীদের বকেয়া ভাতা না মেটালে জেলাজুড়ে আইসিডিএস কেন্দ্রগুলিতে রান্না বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। সোমবার বাঁকুড়ায় জেলাশাসকের দফতরে এ নিয়ে বিক্ষোভও দেখায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের সংগঠন রাজ্য আইসিডিএস কর্মিসমিতি। যদিও এর দায় কেন্দ্রের ঘাড়েই ঠেলছে বাঁকুড়া জেলা পরিষদ।

বাঁকুড়া জেলায় মোট ৫৭৩৯ টি আইসিডিএস কেন্দ্র রয়েছে। যা পরিচিত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র হিসাবে। এই কেন্দ্রগুলি থেকে প্রায় দেড় লক্ষ শিশু ও প্রসূতি প্রতিদিন রান্না করা পুষ্টিকর খাবার পান। মূলত গর্ভবতী মহিলারা এবং একেবারে ছোট বাচ্চারা এই কেন্দ্র থেকে খাবার পায়। অভিযোগ, এই কেন্দ্রগুলিতে চাল ও ডাল সরকার সরাসরি সরবরাহ করে। তবে ডিম, সবজি, রান্নার গ্যাসের খরচ বাবদ একটা অর্থ বরাদ্দ রয়েছে। শিশুদের মাথাপিছু ৮ টাকা ও প্রসূতিদের মাথাপিছু ১১ টাকা হারে বরাদ্দ রয়েছে।

এই টাকা মাসের শেষে জেলা প্রশাসন সংশ্লিষ্ট অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীদের হাতে তুলে দেয়। কিন্তু বাঁকুড়া জেলার আইসিডিএস কর্মীদের একটা বড় অংশের দাবি, তিনমাস ধরে ডিম, সবজি ও রান্নার গ্যাসের খরচ তাঁরা পাচ্ছেন না। এই টাকা না পাওয়ায় কেন্দ্রগুলি চালানো দুষ্কর হয়ে পড়ছে বলেও দাবি তাঁদের। এই পরিস্থিতিতে ক্রমশ ঋণের বোঝা বাড়ছে আইসিডিএস কর্মীদের কাঁধে।

বিক্ষোভকারী আইসিডিএস কর্মীদের দাবি, মাইক্রো ফিনান্সের মতো সংস্থাগুলির কাছে ঋণ নিয়ে তাঁরা এতদিন কেন্দ্র চালিয়ে আসছিলেন। কিন্তু একদিকে তিন মাস ধরে বরাদ্দ বন্ধ, অন্যদিকে দু’মাস ধরে জেলায় আইসিডিএস কর্মীদের দু’মাস ধরে ভাতা বন্ধ থাকায় এবার বিপদ চরমে।

এরপরই সোমবার বাঁকুড়ার জেলাশাসকের দফতরে বিক্ষোভ দেখিয়ে হুঁশিয়ারি দেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। এ প্রসঙ্গে বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু বলেন, “৭৫ শতাংশ টাকা কেন্দ্র দেয়, ২৫ শতাংশ টাকা দেয় রাজ্য। এখন কেন্দ্র কিছুই দিচ্ছে না। পুরোটাই রাজ্য সরকারকে দেখতে হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে তো বিরোধীদেরও সরব হওয়া দরকার। মুখে কুলুপ কেন? ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ, গ্রামসড়ক যোজনার টাকা বন্ধ, আবাসের টাকা বন্ধ। আইসিডিএসের খাবারের টাকাও বন্ধ করে দিয়েছে।”